পিরোজপুরের নেছারাবাদে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটেছে। ডাকযোগে আসা চিঠিতে স্থানীয় দুই জামায়াত নেতাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে রাজনীতি ছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই চিঠিতে মোটা অঙ্কের চাঁদাও দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আব্দুর রহমানকে চিঠিতে হুমকি ও চাঁদা দাবি
শনিবার (১৬ আগস্ট) নেছারাবাদের সমুদয়কাঠী ইউনিয়নের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. আব্দুর রহমান ডাকযোগে একটি রেজিস্ট্রিকৃত চিঠি পান। চিঠিতে তাকে জামায়াতের রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।
চিঠির খামের ওপরে প্রেরকের নাম লেখা ছিল মো. কবির মিয়া এবং ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে নেছারাবাদ উপজেলার কামারকাঠী গ্রাম।

শরিফুল ইসলামও একইভাবে হুমকির শিকার
এর আগে গত ১৩ আগস্ট একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াতের ওলামা বিভাগের সভাপতি মো. শরিফুল ইসলামও ডাকযোগে একই ধরনের হুমকিমূলক চিঠি পান। ওই চিঠির খামে প্রেরকের নাম লেখা ছিল মো. জাহিদ সিকদার, যিনি নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভার বাসিন্দা বলে উল্লেখ রয়েছে।
থানায় লিখিত অভিযোগ জমা
ঘটনার পর স্থানীয় জামায়াত নেতাদের পরামর্শে উভয় নেতা পৃথক পৃথকভাবে নেছারাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্বরূপকাঠি পৌর শাখার আমির মাওলানা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন,

“আমাদের দলের ইউনিয়নের দু’জন নেতাকে ডাকযোগে হুমকি দিয়ে রাজনীতি ছাড়তে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়েছে। একইসঙ্গে চাঁদা দাবির বিষয়টিও উদ্বেগজনক। আমরা অভিযোগে চিঠিতে দেওয়া নাম-ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর উল্লেখ করেছি।”
আরো পড়ুন:
সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড মহাখালীতে
পুলিশের তদন্ত চলমান
নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বনি আমিন জানান,
“আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। চিঠিতে যে মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়েছে, তা ট্র্যাকিং করে জানতে পেরেছি—সেগুলো চট্টগ্রামের। তারপরও বিষয়টি নিয়ে আমাদের তদন্ত চলছে।”
এলাকায় আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা
একই ইউনিয়নের দুই নেতাকে টার্গেট করে চিঠির মাধ্যমে রাজনীতি ছাড়ার হুমকি এবং চাঁদা দাবির ঘটনা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনায় শুধু জামায়াত নয়, সাধারণ মানুষের মাঝেও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ সংবাদভিত্তিক এবং নিরপেক্ষভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে উল্লেখিত তথ্য স্থানীয় সূত্র, অভিযোগকারী পক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
উৎস: ঢাকা মেইল