ঢাকার পলাশী মোড়ে অনুষ্ঠিত জন্মাষ্টমীর উৎসবে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, এই দেশ সবার। এখানে ধর্ম, জাতি, বর্ণ বা গোত্রের কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। আমরা সব সময় আপনাদের পাশে থাকব। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি নিশ্চয়তা দেন, যাতে তারা স্বাধীনভাবে উৎসব উদ্যাপন করতে পারেন।
উৎসবে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, এবং নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান। জন্মাষ্টমী মিছিল ও অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি এবং শ্রীশ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, শত শত বছর ধরে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, বাঙালি, পাহাড়ি, উপজাতি সবাই মিলে শান্তিতে ও সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছে। আমরা সেই ঐক্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখব। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এই উৎসবের মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশকে সবসময় অটুট রাখা হবে।
নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেন, জন্মাষ্টমী কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়; এটি শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার প্রতীক। আমাদের দায়িত্ব স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং দেশকে সুখী ও সমৃদ্ধিশালী করা।
বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, সত্যের পথে অটল থাকতে হবে এবং অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে দাঁড়াতে হবে। আমাদের ছোটবেলা থেকেই ধর্মের ওপর কোনো ভেদাভেদ করা হয়নি।
উৎসব ও মিছিলের উদ্বোধন করা হয় প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে। মিছিলটি পলাশী মোড় থেকে শুরু হয়ে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হয়। এতে হাজারো নারী-পুরুষ ও শিশুরা অংশ নেন, কেউ রাধা কেউ কৃষ্ণ সাজে, এবং শ্রীকৃষ্ণের রথ টেনে নিয়ে আসে একটি হাতি।
আরো দেখুন: হজ নিবন্ধন ফি জমা দেওয়া যাবে ৩৩ ব্যাংকে: ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তালিকা প্রকাশ
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা এই উৎসবে অংশ নিয়ে দেশে শান্তি ও ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।