২০২৫ সালের হজ কার্যক্রমে নিবন্ধন ও প্রাক-নিবন্ধনের অর্থ জমা দেওয়ার জন্য দেশের ৩৩টি ব্যাংককে অনুমোদন দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। গত ১৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) হজ-২ শাখা থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. রফিকুল ইসলাম।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজযাত্রীরা নির্ধারিত এসব ব্যাংকে গিয়ে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন ফি জমা দিতে পারবেন। তবে ব্যাংকগুলোকে এ সংক্রান্ত অর্থ সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত হিসাবে জমা করতে হবে। প্রতি ৩০ দিন অন্তর প্রাক-নিবন্ধনের অর্থ সোনালী ব্যাংকে স্থানান্তরের নিয়মও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
অনুমোদিত ৩৩ ব্যাংকের তালিকা
যেসব ব্যাংকে হজ নিবন্ধনের অর্থ জমা দেওয়া যাবে:
- সোনালী ব্যাংক
- জনতা ব্যাংক
- অগ্রণী ব্যাংক
- রূপালী ব্যাংক
- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ
- আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক
- পূবালী ব্যাংক
- আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক
- ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক
- ইউনিয়ন ব্যাংক
- এক্সিম ব্যাংক
- এনসিসি ব্যাংক
- এনআরবি ব্যাংক
- ওয়ান ব্যাংক
- ট্রাস্ট ব্যাংক
- দি সিটি ব্যাংক
- ডাচ-বাংলা ব্যাংক
- ন্যাশনাল ব্যাংক
- প্রাইম ব্যাংক
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
- বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক
- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
- ব্যাংক এশিয়া
- মার্কেন্টাইল ব্যাংক
- মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক
- যমুনা ব্যাংক
- সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক
- সাউথইস্ট ব্যাংক
- সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
- স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক
- স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
- প্রিমিয়ার ব্যাংক
- শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক
শর্ত ও বিধিনিষেধ
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে:
- হজযাত্রীর প্রাথমিক নিবন্ধন বা নিবন্ধনের অর্থ এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে জমা থাকবে।
- এই অর্থ অনুমোদিত খাত ছাড়া অন্য কোনো খাতে ব্যবহার বা স্থানান্তর করা যাবে না।
- কোনো হজ এজেন্সিকে হজযাত্রীর অর্থের বিপরীতে ঋণ দেওয়া যাবে না।
- পুরো প্রক্রিয়ায় ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২২ (সংশোধিত)’ অনুসরণ করতে হবে।
এছাড়া, অনুমোদিত প্রতিটি ব্যাংককে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। এর মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়াটি আরও স্বচ্ছ ও সহজতর হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আরো দেখুন: রাজশাহী কোচিং সেন্টার থেকে অস্ত্র ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার
হজযাত্রীরা সাধারণত নিবন্ধন ফি জমা দিতে গিয়ে ব্যাংক নির্বাচনে বিভ্রান্ত হন। এজন্যই ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রতি বছর আগে থেকেই অনুমোদিত ব্যাংকের তালিকা প্রকাশ করে থাকে। এতে হজযাত্রীদের ভোগান্তি কমে, একই সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা বজায় থাকে।