ডারউইনের মাঠে অবশেষে হাসলো বাংলাদেশ ‘এ’। টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে হারের হতাশা কাটিয়ে এবার জয়ের দেখা পেলো দলটি। শনিবার নেপালের বিপক্ষে ব্যাটে জিশান আলম আর বল হাতে রাকিবুল হাসানের নৈপুণ্যে ৩২ রানের জয় পায় টাইগাররা।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আত্মবিশ্বাসী শুরু পায় বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটিতে নাঈম শেখ ও জিশান আলম ৬২ রান যোগ করেন। নাঈম ২৫ রানে ফিরলেও অন্য প্রান্তে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যান জিশান। মারেন ৫টি ছক্কা ও ৪টি চার। তাঁর ৭৩ রানের ইনিংস ভর করে দল বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে তোলে।
মধ্য ওভারে কয়েকটি দ্রুত উইকেট হারালেও শেষ দিকে ঝড় তোলেন আফিফ হোসেন। মাত্র ২৩ বলে ৯টি চার মেরে ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের রান ১৮৬-এ নিয়ে যান। প্রতিপক্ষের হয়ে রিজান ধাকাল সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নেপালের শুরুটা ছিল হতাশাজনক। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচের চাপ সামলাতে পারেনি তারা। তবে দলের হয়ে একাই লড়াই চালান কুশল মাল্লা। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ রানের ইনিংস খেলে দলের পরাজয় কিছুটা হলেও কমিয়ে আনেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান আসে আসিফ শেখের ব্যাট থেকে। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় ইনিংস থামে ১৫৪ রানে।
বাংলাদেশের বোলাররা শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে নেপালকে চাপে রাখেন। বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। তাঁকে সঙ্গ দেন পেসাররাও। ফলে শেষ পর্যন্ত ৩২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
এই জয়ে টুর্নামেন্টে নতুন করে উজ্জীবিত হলো বাংলাদেশ ‘এ’। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে হেরে কিছুটা চাপে থাকলেও এবার জয় পেয়ে দলের আত্মবিশ্বাস ফিরেছে। বিশেষ করে তরুণ ব্যাটার জিশান আলমের দুর্দান্ত ফিফটি এবং আফিফের ইনিংস দলকে নতুন করে আশাবাদী করে তুলেছে।
অন্যদিকে, নেপালকে আবারও হতাশ হতে হলো ব্যাটিং ব্যর্থতায়। শুরুর পাঁচ ব্যাটারের চারজনই দুই অঙ্কে পৌঁছালেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ। ফলে কুশল মাল্লার একার লড়াই বৃথা যায়।
আরো দেখুন: আলাস্কা শীর্ষ বৈঠক: পুতিনের কূটনৈতিক জয়, খালি হাতে ফিরলেন ট্রাম্প
এই ম্যাচে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল ব্যাটিংয়ে আক্রমণাত্মক শুরু এবং মধ্য ওভারে বোলিং সাফল্য। জিশানের মতো তরুণ ব্যাটারের আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে। অন্যদিকে, রাকিবুলের স্পিনে নেপালের ব্যাটাররা একেবারেই সাড়া দিতে পারেনি।
এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলেও এই জয়ে বাংলাদেশ প্রমাণ করলো, তারা শিরোপার দৌড়ে পিছিয়ে নেই।