রাজশাহীর কাদিরগঞ্জের একটি কোচিং সেন্টার হঠাৎ রূপ নিল ভয়ের ঘরে। শনিবার সকালে সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে সেখানে মিলল অস্ত্র, গুলি, বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ বিপুল সংখ্যক সামরিক মানের সরঞ্জাম। আটক করা হলো তিনজনকে ঘটনাটি নীরব এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ঘিরে নানা প্রশ্ন তুলছে স্থানীয়দের মনে।
অভিযান চলাকালে আটক রবিনের মা নাসরিন বেগম ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। ভিড়ের মধ্যে কান্না ভেজা কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার ছেলে কিছুই জানে না। এক মাস হলো এখানে শুধু ঘর মোছার কাজ করছে। তাকে কেন আটক করল? মায়ের এই অসহায় আহাজারি অভিযানের ভয়ংকর চিত্রের ভেতর এক মানবিক ট্র্যাজেডি হয়ে উঠেছে।
সেনা বাহিনীর বিজ্ঞপ্তি জানাচ্ছে দীর্ঘ এক মাসের গোয়েন্দা নজরদারির পর অভিযানটি চালানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কোচিং সেন্টারের আড়ালে গড়ে উঠেছিল অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুতের গোপন ঘাঁটি।
এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। স্থানীয় এক দোকানদার (উদাহরণস্বরূপ মন্তব্য) বলেন, প্রতিদিন যাওয়া-আসা করতাম ওখান দিয়ে। ভাবতেই পারিনি এমন কিছু ভিতরে চলছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবহারের আড়ালে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বাড়ছে কিনা তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সন্তানদের কোচিংয়ে পাঠানো নিয়ে। নিরাপত্তা জোরদারে প্রশাসন নতুন কৌশল নেবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরো পড়ুন: রাজশাহীর কাদিরগঞ্জে কোচিং সেন্টার ঘিরে সেনা অভিযান: আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম মনে করেন,
এ ধরনের ঘটনা কেবল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ঝুঁকি বাড়ায় না, বরং তরুণদের শিক্ষার পরিবেশকেও হুমকির মুখে ফেলে। নিয়মিত গোয়েন্দা নজরদারি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ভেতরে কার্যক্রমের ওপর কড়া মনিটরিং এখন জরুরি।