HomeAndroid Tips২০২৫ সালের ভিডিও এডিটিং করার সেরা ১০টি মোবাইল অ্যাপস

২০২৫ সালের ভিডিও এডিটিং করার সেরা ১০টি মোবাইল অ্যাপস

২০২৫ সালের ভিডিও এডিটিং করার সেরা ১০টি মোবাইল অ্যাপস

২০২৫ সালের ভিডিও এডিটিং করার সেরা ১০টি মোবাইল অ্যাপস

বন্ধু আপনি যদি অনলাইনে কনটেন্ট তৈরি করে আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রকাশ রাখতে হবে ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে সবচাইতে ভালো এবং আপনার যেটা প্রয়োজন সেই অনুপাতে কোন অ্যাপ্লিকেশনটিতে রয়েছে সে টুলসগুলো সেটি বেছে ব্যবহার করা। এই কারণে আজকের এই পোস্টে আমি আপনাকে দেখাবো যে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় দশটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন যেগুলো এখন মানুষ কন্টেন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতেছে। 

ভিডিও এডিটিং করার জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন অনেক অ্যাপস রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে আলাদা আলাদা টুলস এবং ক্যাটাগরি। তবে তার মধ্য থেকেও সবাই চেষ্টা করতেছে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে যাওয়ার অ্যাপ্লিকেশনগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান যে ১০ টি এপ্লিকেশন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করতেছে তার নিচে লিস্ট আকারে দেয়া হলো:

1. CapCut

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং করার সফটওয়্যার হল CapCut. CapCut অ্যাপটি আপনি মোবাইলে এবং কম্পিউটার দুটো ইতেই ব্যবহার করতে পারবেন। CapCut খুব দ্রুত এবং হাতের নাগালে সকল টুলস ব্যবহার করা হয়েছে এই ক্যাপকাট এর মধ্য। বর্তমানে ছোট ছোট কনটেন্ট ক্লিটর এবং বিশেষ করে যারা শর্ট ভিডিও তৈরি করেন তারা এই CapCut app টি ব্যবহার করে থাকেন। যার কারণে এই একটি বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনি এই অ্যাপটি প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন সেখানে গিয়ে সার্চ করলে অথবা আপনি প্লে স্টোরে ঢুকলেই পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে ইন্সটল করে সম্পূর্ণ ফ্রিতে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। তাছাড়া CapCut এর প্রিমিয়াম ভার্সন রয়েছে যেটি আপনাকে টাকা দিয়ে সাবস্ক্রাইব্শন করে ব্যবহার করতে হবে। তবে আপনি যদি একটু প্রফেশনাল হন তাহলে আপনি প্রিমিয়াম ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ফ্রিতে যে সকল টুলস পাবেন সেগুলো দিয়ে আপনি আপাতত ভাল প্রফেশনাল ভাবেই ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। তাই আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন এবং শুরু করতে চান তাহলে আপনি ফ্রি এফ টি ব্যবহার করেই ভিডিও এডিটিং চালিয়ে যেতে পারেন।

3. YouCut

YouCut এপ্লিকেশনটি বর্তমান দ্বিতীয় নাম্বার ভিডিও এডিটিং অ্যাপস গুলোর মধ্যে অবস্থান রয়েছে। এই অ্যাপসটি ক্যাপ-কাট এর সাথে মিলিত রেখে রেংকিংয়ে এগিয়ে গেছে। কিন্তু এদের পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড ও অনেক ভালো কারণ এটি স্ক্রিনশট কোম্পানির অ্যাপ্লিকেশন যেটা অনেক আগেই পপুলার ছিল। তাই তাদের পপুলারিটি ধরে রাখার জন্য তারা একটু কপি করার চেষ্টা করেছে তবে শুধু নামটাই কপি করছে কিন্তু কাজের যে টুলস গুলো রয়েছে সেগুলো আপনি ক্যাপকাটে পাবেন না। সেজন্য আপনাকে এই YouCut অ্যাপটি ব্যবহার করতে হবে। 

এই অ্যাপসটি দিয়ে মূলত আপনি শর্ট ভিডিও খুব সুন্দর প্রফেশনাল ভাবে এডিটিং করতে পারবেন। এখানে যে ফিচারগুলো পাবেন সে ফিচারগুলো আপনি আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করলে সেই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি থাকে। বর্তমান ভাইরাল হওয়ার মূল কারণ হলো ভিডিওর মধ্যে আকর্ষণীয় ইফেক্ট ব্যবহার করা। তাই যদি ভিডিও এডিটিং করতে চান তাহলে অবশ্যই আকর্ষণই এফেক্ট গুলো খুবই জরুরী। সেজন্য আপনি আপনার ভিডিও এডিটিং এর জন্য এই অ্যাপসটিও বেছে নিতে পারেন। তবে যারা লং ভিডিও তৈরি করবেন তাদের জন্য এই অ্যাপস টি সাজেস্ট নয়।

3. KineMaster

বর্তমান সময়ে এবং পূর্বের সময়েও এই অ্যাপসটি মার্কেট কাঁপিয়েছে। ভিডিও এডিটিং এর মোবাইল অ্যাপস এর মধ্যে কিং হিসেবে পরিচিত কাইনমাস্টার। এই অ্যাপসটি দিয়ে আপনি প্রফেশনাল শর্টস এবং লং ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এই অ্যাপসটি দিয়ে আপনি যেকোনো ধরনের ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। 

আপনি যেকোন ক্যাটাগরির ভিডিও তৈরি করে না কেন সেগুলো এই অ্যাপসটির মাধ্যমে কাস্টম ভাবে বিভিন্ন লেয়ারের মাধ্যমে এডিটিং করতে পারবেন। তাই ভিডিও এডিটিং করতে হলে অবশ্যই এই অ্যাপসটা ব্যবহার করা খুবই জরুরী। কাইনমাস্টার ভবিষ্যতেরও কিং হবে এবং পূর্বেও ছিল।

4. Video Maker

ইনশট কোম্পানির আরো একটি জনপ্রিয় অ্যাপস ভিডিও মেকার। এই অ্যাপসটি দিয়েও আপনি যেকোনো ধরনের ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এই অ্যাপসগুলো আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন তবে এদের প্রিমিয়াম ভার্সানো রয়েছে।

এই অ্যাপটির মধ্যে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির এ আই টুল ব্যবহার করা। যেখানে আপনার প্রতিটা স্টেপের কাজটাই সহজ করে দিবে। আপনি শুধু এখানে কি ডিরেকশন দিতে চাচ্ছেন কিভাবে ভিডিও এডিটিং করতে যাচ্ছেন সেগুলো দেখে দিলে অটোমেটিক ভিডিওটি এডিটিং হয়ে যাবে। এই অ্যাপটি বর্তমানের সময় খুবই জনপ্রিয় রয়েছে তাই আপনি চাইলে এই অ্যাপসটি ব্যবহার করতে পারেন আপনার করার ক্ষেত্রে। 

5. Ai Video Editor

বর্তমানে মানুষের কাজটার সহজ করে দিছে এ আই। আর এই এআই ব্যবহার করেই এই অ্যাপ্লিকেশনটি বানানো হয়েছে। রাত্রির মধ্যে রয়েছে দারুন দারুন ফিচার এবং ইউনিক কিছু ইফেক্ট তাছাড়া আপনি টেক্সটেরও কাজ করতে পারবেন।

তাই ভিডিও এডিটিং করার ক্ষেত্রে রুটিনের মধ্যে এই অ্যাপ্লিকেশনটি রেখে দিতে পারেন আপনার। এপ্লিকেশনটি দিয়ে আপনি হাই কোয়ালিটি ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। যেহেতু এই অ্যাপ্লিকেশনটি ফ্রি তাই আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতেই ব্যবহার করতে পারবেন। তাছাড়া এদের প্রিমিয়াম ভার্সন রয়েছে চাইলে আপনি যখন প্রফেশনাল হয়ে যাবেন তখন টাকা দিয়ে কিনে নিতে পারেন। আপাতত আপনি অ্যাপ্লিকেশনটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে অথবা আপনার অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। 

6. Beat.ly:

যদি আপনি শুধুমাত্র টিকটক এবং শর্ট ভিডিও তৈরি করার জন্য সুন্দর একটি এপ্লিকেশন বর্তমান সময়ে ভাইরাল টেমপ্লেট গুলো চান তাহলে আপনার জন্য এই Beat.ly অ্যাপ্লিকেশনটি সেরা। এই অ্যাপ্লিকেশনটি দ্বারা আপনি ভাইরাল কিছু ইফেক্ট ব্যবহার করতে পারবেন তাছাড়া আপনি আরো বিভিন্ন ধরনের টুলস এর কাজ পাবেন। 

যেগুলো শুধুমাত্র আপনার পিকচারগুলো আপলোড করে দিলেই একটি ভিডিও তৈরি হয়ে যাবে। অটোমেটিক এখানে ভিডিও জেনারেট হয় তাই আপনি স্বল্প সময়ে দ্রুত ভালো কোয়ালিটির ভিডিও তৈরি করতে চাইলে এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে পারেন। 

7. VITA:

বর্তমান সময়ে এই অ্যাপ্লিকেশনটিও খুবই জনপ্রিয়। ভিটা অ্যাপটি দিয়ে আপনি যেকোনো ধরনের ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। তাছাড়া এই অ্যাপসটির ভিতর আপনি অনেকগুলো লেয়ারে কাজ করতে পারবেন। আপনার যদি মিড রেঞ্জ মোবাইল ফোন হয়ে থাকে তাহলে এই অ্যাপ্লিকেশনটি আপনি ইজিলি ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনি এখানে অনেক কয়টি লেয়ারের মাধ্যমে আলাদা আলাদা করে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এই অ্যাপটি দিয়ে আপনি প্রফেশনাল হাই কোয়ালিটি যেকোনো ধরনের ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। 

8. Alight Motion:

একসময় এই অ্যাপ্লিকেশনটি খুবই জনপ্রিয় ছিল এবং শীর্ষ স্থানে ছিল। তবে এখনো এই অ্যাপসটি শীর্ষস্থানে রয়েছে। Alight Motion অ্যাপসটির মধ্যেই এতটা পরিমাণ টুলস রয়েছে এবং কাজ রয়েছে যেগুলো একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর এর জন্য প্রয়োজনীয়। এক কথায় বলতে গেলে আপনি এই একটি অ্যাপসের মাধ্যমেই সকল প্রকার টুলস পাবেন। 

তাই এই অ্যাপটি অবশ্যই আপনার ব্যবহার করা উচিত যদি আপনি একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হতে চান। এই অ্যাপসটি আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন তাই ফ্রিতে এত পরিমান ভিসার কোন অ্যাপ্লিকেশন আপনাকে দিতে পারবে না। এইজন্য আপনি ভিডিও এডিটিং করার ক্ষেত্রে অবশ্যই এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এই অ্যাপটি আপনার শর্ট টাইম এর মধ্যে ভালো সুন্দর এবং হাই কোয়ালিটির ভিডিও আউটপুট দেবে। 

9. VN:

আমার মনে হয় স্বল্প সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেটিং পাওয়া এবং সবগুলো ফাইভ স্টার সেই অ্যাপসটির নাম হল VN. এই অ্যাপটিও তাদের জন্য প্রয়োজন যারা আসলে শর্ট ভিডিও এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে হাই কোয়ালিটি ভিডিও তৈরি করতে চান তাদের জন্য।

এপ্লিকেশনটি প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করুন অথবা আপনি যদি অ্যাপ স্টোর ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অ্যাপ স্টোর থেকে ইন্সটল করতে পারবেন। ফ্রিতে ব্যবহার করা যাচ্ছে তাই আপনি এটি ফ্রীতে ব্যবহার করতে পারেন।

10. Filmora:

এক সময় প্লেস্টোরে কাইনমাস্টারের সঙ্গে ফিল্মোরা অ্যাপ্লিকেশনটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল এবং শীর্ষ এক থেকে দুই স্থানে দখল করেছিল। এখনো রয়েছে তবে এই অ্যাপ্লিকেশনটি তাদের জন্য যারা লং ভিডিও তৈরি করতে চান। এই অ্যাপ্লিকেশনটি দ্বারা আপনি লং ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। 

তাই আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই ফিল্মোরা অ্যাপসটি ব্যবহার করতেই হবে। কারণ এই অ্যাপটিতে যে সকল টুলস রয়েছে তা অন্য কোন অ্যাপ্লিকেশন এর মধ্যেও আপনি পাবেন না। এই অ্যাপটি এক সময় ফ্রিতে পাওয়া যেত তবে এখন তাদের প্রিমিয়াম ভার্সন রয়েছে যদি আপনি প্রফেশনাল এডিটিং করতে চান তাহলে কিনতে পারেন। না হলে আপনি এখনো ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন। 

বন্ধুরা উপরে দেওয়া সেরা দশটি ভিডিও এডিটিং করার সফটওয়্যার আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। এখন অনেকেই এখান থেকে বলতে পারেন যে এই অ্যাপ্লিকেশনটি কিভাবে সেরা হল। দেখুন প্রত্যেকটার সময় কোন একটি কোম্পানি বা কোন একটি অ্যাপস কখনোই নাম্বার ওয়ানে থাকতে পারে না। তাই সময়ের সাথে সাথে আধুনিক ছোঁয়ায় সব কিছুরই পরিবর্তন হয়। তাই উপরে যে সকল অ্যাপ্লিকেশন আপনার মাঝে শেয়ার করলাম সেগুলো যেকোনো একটা দিক দিয়েই সবার থেকে এগিয়ে রয়েছে। 

যার কারনে তারা বর্তমান মার্কেটে সেরা স্থানে দখল করে রয়েছে। যে অ্যাপ্লিকেশনটি ভালো সার্ভিস দেবে এবং যে অ্যাপ্লিকেশনটি মানুষের ব্যবহারে উপযুক্ত হবে সেটাই কিন্তু সবার উপরেই থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই এর থেকে ভালো ভালো এপ্লিকেশনও থাকতে পারে কিন্তু এখন তাদের মার্কেট শেষ এই কারণে তারা নিচের দিকে চলে গেছে এবং যারা নতুন কিছু নিয়ে আসছে তারাই কিন্তু টপ লেভেল রয়েছে। 

এরমধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এখনো ধরে রয়েছে কাইন মাস্টার, ফিল্মোরা ও ক্যাপ কাট। এখন আপনি যেকোন ভিডিও এডিটিং করার ক্ষেত্রে একটি অ্যাপের আশায় বা একটি অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়। সেহেতু আপনি প্রতিটা এপ্স থেকেই ভিডিও এডিটিং ক্লিপ করে করে নিতে হবে। তাহলে আপনি প্রফেশনাল টপ লেভেলের ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন আপনার হাতের মোবাইল ফোন দিয়ে। 

আপনার ভিডিও যত ভাল এডিটিং করা হবে তত মানুষের কাছে ভালো লাগবে। আর যত ভালো লাগবে তত আপনার ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েই চলবে। এই কারণে বর্তমান সময় এবং ভবিষ্যতেও পৃথিবীতে সকল কাজের মধ্য এই ভিডিও এডিটিং খুবই জনপ্রিয় রয়েছে এবং থাকবে। একজন ভিডিও এডিটরের মূল্য অন্যান্য কাজের তুলনায় অনেক বেশি। তাই আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হন তাহলে আপনি ভালো দামি কিছু করতে পারবেন।

- Advertisement -
Star Shanto
Star Shantohttps://starshanto.com/
Shanto Ghose is the CEO and MD of Star Shanto. I have 7 years of Online Experience.
Latest news
- Advertisement -
- Advertisement -
Related Post

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here