৯ম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ষান্মাসিক মূল্যায়ন প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৪
কাজ ১:
খবরের শিরোনাম লিখি (দলগত কাজ):
খবরের কাগজ পড়ে বন্ধুদের সঙ্গে আলেচনার মাধ্যমে নমুনা ছক অনুযায়ী খবরের শিরোনাম লিখে তালিকা তৈরি করো।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:
আমার চোখে গুরুত্বপূর্ণ খবর (একক কাজ) | বন্ধুদের চোখে গুরুত্বপূর্ণ খবর (দলীয় কাজ) | |
কাজ ১ উত্তর:
আমার চোখে | বন্ধুদের চোখে |
---|---|
বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাস পাচ্ছে, তবে ধনী-গরিবের ব্যবধান বৃদ্ধি পাচ্ছে (বাংলাদেশ প্রতিদিন) | বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন: অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ (প্রথম আলো) |
বাংলাদেশের অর্থনীতি: দ্রুত বৃদ্ধি, নতুন সম্ভাবনা (সমকাল) | বাংলাদেশে শিশুদের অধিকার: উন্নয়ন ও প্রতিবন্ধকতা (দ্য ডেইলি স্টার) |
বাংলাদেশে কর্মসংস্থান: চ্যালেঞ্জ ও সমাধান (ইনকিলাব) | বাংলাদেশের সংস্কৃতি: বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্য (দৈনিক নয়া দিগন্ত) |
কাজ ২ উত্তর:
কাজ ৩
নৈতিক ও মানবিক গুণাবলির কথা বলি (একক কাজ):
তোমার দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো কোনগুলো হিন্দুধর্মের নৈতিক ও মানবিক গুণের প্রদর্শন করছে আর কোনগুলো করছে না তা ব্যাখ্যাসহ বলো।
কাজ ৩ উত্তর:
হিন্দু ধর্মের নৈতিক ও মানবিক গুণাবলীর প্রতিফলন পাওয়া শিরোনামগুলোঃ
1. বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন: অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ (প্রথম আলো)
- প্রতিফলন: নারীর ক্ষমতায়ন হলো হিন্দু ধর্মের দয়া, সহানুভূতি এবং ন্যায়বিচারের মূল্যে। এটি মহিলাদের সমানাধিকার ও সুযোগসুবিধা প্রদানে সহায়ক, যা সমাজের সমতাপূর্ণ ও ন্যায্য উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয়।
2. বাংলাদেশে শিশুদের অধিকার: উন্নয়ন ও প্রতিবন্ধকতা (দ্য ডেইলি স্টার)
- প্রতিফলন: শিশুদের অধিকার রক্ষা করা হিন্দু ধর্মের করুণা ও দয়ার মূল্যবোধের প্রতিফলন। শিশুদের সুরক্ষা ও উন্নয়নের বিষয়গুলি দেখানো আমাদের মানবিক দায়িত্বের অংশ।
3. বাংলাদেশের সংস্কৃতি: বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্য (দৈনিক নয়া দিগন্ত)
- প্রতিফলন: বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সম্মান করা, তা যত বৈচিত্র্যময়ই হোক না কেন, হিন্দু ধর্মের একতা ও বিভিন্নতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রতিফলন।
হিন্দু ধর্মের নৈতিক ও মানবিক গুণাবলীর প্রতিফলন না পাওয়া শিরোনামগুলো:
1. বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাস পাচ্ছে, তবে ধনী-গরিবের ব্যবধান বৃদ্ধি পাচ্ছে (বাংলাদেশ প্রতিদিন)
- না পাওয়া: যদিও দারিদ্র্য হ্রাস একটি ভালো দিক, তবে ধনী-গরিবের ব্যবধান বৃদ্ধি পাওয়া সমাজে ন্যায়বিচার ও সমতার ঘাটতি নির্দেশ করে, যা হিন্দু ধর্মের ন্যায়বিচার এবং সহানুভূতির মূলনীতির বিপরীত।
বাংলাদেশের অর্থনীতি: দ্রুত বৃদ্ধি, নতুন সম্ভাবনা (সমকাল)
- না পাওয়া: অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে এতে ধনী-গরিবের বৈষম্য, দারিদ্র্য, ও সামাজিক অসাম্যর বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত না থাকলে, এটি ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
3. বাংলাদেশে কর্মসংস্থান: চ্যালেঞ্জ ও সমাধান (ইনকিলাব)
- না পাওয়া: কর্মসংস্থান সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ ও সমাধান গুরুত্বপূর্ণ, তবে তা যদি সব স্তরের মানুষের জন্য ন্যায্যভাবে ও সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বিতরণ না হয়, তাহলে এটি হিন্দু ধর্মের ন্যায়বিচার ও সমতার মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না।
কাজ ৪
প্রতিবেদন লিখি (একক কাজ):
তোমার বিদ্যালয় বা এলাকার একটি ইতিবাচক উদ্যোগ চিহ্নিত করো। হিন্দুধর্মের প্রধান প্রধান গ্রন্থের নির্দেশনা, হিন্দুধর্মীয় রীতিনীতি ইত্যাদির আলোকে ইতিবাচক উদ্যোগটির স্বরূপ,
তোমার বিদ্যালয় বা এলাকার একটি ইতিবাচক উদ্যোগ চিহ্নিত করো। হিন্দুধর্মের প্রধান প্রধান গ্রন্থের নির্দেশনা, হিন্দুধর্মীয় রীতিনীতি ইত্যাদির আলোকে ইতিবাচক উদ্যোগটির স্বরূপ, উদ্যোগ গ্রহণের কারণ ও ফলাফল বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন লেখো।
কাজ ৪ উত্তর:
প্রতিবেদন: অন্নপূর্ণা সহায়তার হাত
প্রকল্পের নাম: অন্নপূর্ণা সহায়তা প্রকল্প
প্রকল্পের সরূপ: অন্নপূর্ণা সহায়তা প্রকল্প একটি সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প যা খাদ্য সুরক্ষা এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে কাজ করে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র ও অতিমূল্যবান পরিবারগুলোকে সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রকল্পটির নামকরণ করা হয়েছে হিন্দু ধর্মের দেবী অন্নপূর্ণার নামে, যিনি খাদ্য ও পুষ্টির দেবী হিসেবে পূজিত হন এবং খাদ্য সম্পদের প্রাচুর্য ও সুরক্ষার প্রতীক।
উদ্দেশ্য: অন্নপূর্ণা সহায়তার প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো নিম্নআয়ের পরিবারগুলিকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। প্রকল্পটি খাদ্য সংকট মোকাবেলা, পুষ্টিহীনতা কমানো এবং দারিদ্র্য নিরসন করার জন্য কাজ করছে। এই উদ্দেশ্যটি হিন্দু ধর্মের ঐতিহ্য ও রীতিনীতির সাথে মিলে যায়, যেখানে খাদ্যদান ও দান করা গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কর্তব্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
উদ্দেশের কারণ: ভারতীয় সমাজে খাদ্য অপ্রতুলতা ও দারিদ্র্য একটি বড় সমস্যা। বিশেষ করে গ্রামীণ ও শহরের নিম্ন আয়ের জনগণের জন্য খাদ্য নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দু ধর্মের প্রেক্ষিতে, খাদ্যকে ‘প্রসাদ’ হিসেবে গণ্য করা হয় যা জীবনের মৌলিক প্রয়োজন পূরণের প্রতীক। অন্নপূর্ণা দেবী খাদ্য ও পুষ্টির প্রদানকারী হিসেবে পূজিত হন, যা প্রকল্পের উদ্দেশ্যকেও ধর্মীয়ভাবে সমর্থন করে।
ফলাফল, সোনপর্ণা মহামানা পतालन नामনাসন ও কার্যক্রनी नानश्रान गाমাসে নিম্নলিখিত চলাচল পাওয়া গেছে-
1. খাদ্য সুরক্ষা: প্রকল্পের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের পরিবারের সদস্যরা নিয়মিত খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে, যা তাদের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করছে। এই ব্যবস্থা হিন্দু ধর্মে অন্নদান’ বা খাদ্য দানের গুরুত্বকে পুনর্ব্যক্ত করে, যা ধর্মীয় রীতিনীতিতে অত্যন্ত প্রশংসিত।
2. পুষ্টি উন্নয়ন: প্রকল্পের আওতায় পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে, যা পুষ্টিহীনতার সমস্যা কমাচ্ছে। হিন্দু ধর্মের গ্রন্থ ‘ভগবদ গীতা’ খাদ্য ও পুষ্টির গুরুত্বের ওপর জোর দেয়, যেখানে সুস্থ জীবনযাপনের জন্য উপযুক্ত খাদ্য গ্রহণের গুরুত্ব বলা হয়েছে।
3. দারিদ্র্য হ্রাস: খাদ্য সহায়তা দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়তা করছে, যার ফলে সামগ্রিক জীবনের মান উন্নত হচ্ছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে, হিন্দু ধর্মে দয়া’ এবং ‘দান’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় গুণ হিসেবে বিবেচিত, যা প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
কাজ ৫ উত্তর:
কাজ ৫: নিউজলেটার তৈরি করি (দলগত ও একক কাজ)
খবরের কাগজে যে ইতিবাচক খবরগুলো পেয়েছ তা চিহ্নিত করো। এই খবরগুলোতে যেসব মানবিক ও নৈতিক গুণাবলি রয়েছে তা দলগত আলোচনার মাধ্যমে খুঁজে বের করো। তারপর তোমার ও তোমার বন্ধুদের পরিবারে, হিন্দুধর্মীয় শিক্ষার আলোকে, এই গুণাবলি কীভাবে অনুশীলন করছে তা আলোচনা করে খাতায় নোট রাখো। এবারে তোমার সংগৃহীত মানবিক ও নৈতিক গুণাবলি অনুশীলনের খবরগুলো দিয়ে এককভাবে এক পৃষ্ঠার একটি নিউজলেটার তৈরি করো। নিউজলেটারে যা যা থাকতে পারে- নিটিকালটারের নাম শিরোনাম হাবব ছবি সাক্ষাতকার ইত্যাদি।