আট মাসের সংলাপের পর রাষ্ট্র সংস্কারে জুলাই সনদ চূড়ান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বড় অনুষ্ঠানে স্বাক্ষরের কথা থাকলেও বাস্তবায়ন নিয়ে মতপার্থক্য থাকায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে বেশিরভাগ বিষয়ে দলগুলো একমত হলেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রস্তাবে ভিন্নমত রয়েছে। গণভোট আয়োজন ও প্রক্রিয়া এখনও সরকার নির্ধারণ করবে।
কোন কোন প্রস্তাবে ঐকমত্য এবং ভিন্নমত
৮৪টি সংস্কারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একমত বিষয়গুলো হলো:
- প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ ১০ বছরের মেয়াদ।
- ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধী দল গঠন।
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা।
- রাষ্ট্রপতি ক্ষমতা ও দায়িত্ব সংশোধন।
- জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ১০০-এ উন্নীত করা।
- গণহত্যা ও ভোট জালিয়াতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কমিশন গঠন।
ভিন্নমতের বিষয়গুলোতে রয়েছে:
- একজন ব্যক্তি একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হতে পারবে না।
- সংবিধান বিলুপ্তি ও স্থগিত করা।
- সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠন।
- রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজন।
- ন্যায়পাল নিয়োগ।
- পরবর্তী নির্বাচনে নারীদের ৫% আসনে মনোনয়ন।
- নোট অব ডিসেন্ট’ সংযুক্ত করে এসব ভিন্নমতের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন : জনদুর্ভোগ ঠেকাতে রাস্তা অবরোধ বন্ধ করতে চায় পুলিশ
সনদ স্বাক্ষর ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া
শুক্রবার অনুষ্ঠানে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেবেন, প্রতি দল থেকে দুইজন সই করবেন। স্বাক্ষরের পর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে তা সরকারের সিদ্ধান্তে নির্ভর করবে। গণভোটের প্রয়োজনীয়তা সব দল মেনে নিয়েছে, তবে তার দিন, পদ্ধতি ও বিষয় এখনও নির্ধারিত হয়নি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট করার সম্ভাবনা রয়েছে। দলগুলোর মধ্যে এখনও কিছু মতপার্থক্য থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত প্রক্রিয়াটি অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।