৮ম শ্রেণির বাংলা ষান্মাসিক মূল্যায়ন নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৪
এটি একটি নমুনা প্রশ্ন তাই বই পড়ার পাশা পাশি এটি পড়বেন। আপনাদের এই রকম প্রশ্ন ও উত্তর আসতে পারে তবে হুবহু না।
তাই পরিক্ষার আগের রাতে সময় মত প্রশ্ন ও উত্তরপত্র একই সাথে পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের টেলিগ্রাম, ফেসবুক বা হোয়াটসআ্যাপ ফলো করে রাখুন। অথবা আমাদের ওয়েবসাইটটি সেভ করে রাখুন।
আমরা আপনাদের জন্য সকল প্রশ্ন ও উত্তরপত্র একই সাথে একটি মাত্র পোস্টে দিয়ে থাকি। তাই আপনি খুব সহজেই প্রশ্ন ও উত্তরপত্র পেয়ে যাবেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে। আর আপনাকে অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করতে হবে না।
ষান্মাসিক মূল্যায়ন ২০২৪
বাংলা
অষ্টম শ্রেণি
নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১। একক কাজ:
তোমাদের বিদ্যালয় বা শ্রেণিকক্ষের কোনো একটি সমস্যা চিহ্নিত করো (শ্রেণিকক্ষের ভিতরে পাঠাগার স্থাপন)। এই সমস্যা দূর করার জন্য কার সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে, সেটি ঠিক করো। এই কাজে লিখিত যোগাযোগের প্রয়োজন হলে কীভাবেলিখবে, তা আলোচনা করো।
উত্তর:
১০ জুলাই, ২০২৪
প্রধান শিক্ষক
ফুলঝুরি উচ্চ বিদ্যালয়
বরগুনা সদর উপজেলা, বরগুনা।
বিষয়: ক্লাসরুম পাঠাগার তৈরির জন্য অনুমতি ও অনুদানের আবেদন।
মহোদয়, আমরা ফুলঝুরি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আমাদের ক্লাসরুমের ভিতরে আমরা একটি পাঠাগার তৈরি করতে চাই। ক্লাসরুমের ভিতরে একটি পাঠাগার থাকলে বিরতির সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে পারব যা আমাদের অনেকেরই পছন্দের কাজ। পাঠাগার স্থাপনের জন্য আমাদের একটি বইয়ের সেলফের প্রয়োজন, যা শ্রেণিকক্ষের এক কোনায় রাখা হবে। এছাড়া এই সেলফে রাখার জন্য কিছু বই কেনারও প্রয়োজন। শ্রেণিশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে আমরা এই পাঠাগার পরিচালনা করতে চাই।
এজন্য আপনার সদয় অনুমতি এবং আর্থিক অনুদান কামনা করি।
বিনীত
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীবৃন্দ,
ফুলঝুরি উচ্চ বিদ্যালয়।
প্রশ্ন ২. একক কাজ:
তোমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে একটি পরিস্থিতির উল্লেখ করো। ঐ পরিস্থিতিতে তুমি কীভাবে তোমার উদ্দেশ্য ও চিন্তা-অনুভূতির প্রকাশ করেছিলে, সেটি লেখো। আর কীভাবে প্রকাশ করলেএইচিন্তা-অনুভূতির প্রকাশ আরো ভালোভাবে হতে পার বলে মনে করো?
উত্তর:
পরিস্থিতি:
অমর একুশে বইমেলায় যাওয়া।
যোগাযোগের উদ্দেশ্য:
অমর একুশে বইমেলায় গিয়েছিলাম আমার প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের কিছু বই কিনতে। আর পুরো মেলাটা ঘুরে দেখতে।
যে ধরনের চিন্তা ও অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে:
অমর একুশে বইমেলায় যাওয়া নিয়ে আমি খুবই উৎসাহী ছিলাম। আমার খুব ভালো লাগছিল। মনে হচ্ছিল বই তো কিনবই। সেই সাথে অনেক পরিচিত লেখকের সাথে দেখাও হবে। বিশেষ করে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার প্রতি বছর মেলায় আসেন। তাঁর লেখা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির বইও কিনব। সেই সাথে তাঁরলেখা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির বইও কিনব। সেই সাথে তাঁর অটোগ্রাফও নেব। চিন্তা হচ্ছিল যে, হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বই কোন স্টলে বেশি পাওয়া যায় সেটা বুঝব কীভাবে? আবার জাফরইকবাল স্যার আজ মেলায় আসবেন কিনা?
আর যে উপায়ে যোগাযোগ করা যেত:
অভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে জেনে নেওয়া যেত যে কোন স্টলে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বই বেশি পাওয়া যায়। তারপর মেলার তথ্যকেন্দ্র থেকে সেই স্টলের নম্বর জেনে নিয়ে সরাসরি সেখানে যাওয়া যেত। তাহলে ভিড়ের মধ্যে খুঁজে পেতে আর বিড়ম্বনায়
পড়তে হতো না। তারপর জাফর ইকবাল স্যার করে মেলায়আসতে পারেন সেই অনুযায়ী গেলে ভালো হতো।
প্রশ্ন ৩| জোড়ায় কাজ:
‘যাত্রা’ গল্পের কোন চরিত্রে কী ধরনের চিন্তা ও আবেগ প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর:
যাত্রা’ গল্পটিতে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এখানে লেখক কয়েকটি চরিত্রের মধ্য দিয়ে যুদ্ধকালীন চিন্তা ও আবেগের প্রকাশ ঘটিয়েছেন।
গল্পের অন্যতম চরিত্র হলো প্রফেসরের স্ত্রী, নাম বিনু। বিনুর মধ্য দিয়ে আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তার প্রকাশ ঘটেছে। ঢাকায় থাকা অবস্থায় দুশ্চিন্তায় তার চোখের নিচে কালি পড়েছে। তার মধ্যে অসহায়দের প্রকাশও ঘটেছে।
রাখালের মায়ের মধ্য দিয়েও ভয় ও হতাশার প্রকাশ দেখা গেছে। সে তার ছেলে রাখালকে রেখেই নৌকায় উঠে পড়েছে হুড়োহুডিরমধ্যে। নৌকাও ছেড়ে দিয়েছে। তখন তার মুখে অসহায়ত্বের চিৎকার শোনা যায়।
গল্পের অন্যতম একটি চরিত্র হলো রায়হান সাহেব। তিনি একজন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর। তার মধ্যেও উৎকণ্ঠা ও দিশেহারা এবং হানাদার বাহিনির প্রতি ঘৃণা প্রকাশ পেয়েছে।
হাসান চরিত্রের মধ্য দিয়ে দৃঢ়প্রত্যয়ীভাব ব্যক্ত হয়েছে। পায়ে আঘাত পেয়েছে কিন্তু তার পরেও এগিয়ে যেতে হবে এ ধরনের মানসিকতার প্রকাশ তার মধ্যে পাওয়া যায়।
আসগার গল্পের আর একটি প্রধান চরিত্র। সে হলো মুক্তিযোদ্ধা তার মধ্য দিয়ে আশাবাদী ও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে।
‘যাত্রা’ গল্পটি মূলত যুদ্ধকালীন মানুষের দুর্দশার চিত্র। এ গল্পের প্রায় প্রতিটি চরিত্রের মধ্য দিয়ে হতাশা, আতঙ্ক, ভয় ইত্যাদি প্রবাণ পেয়েছে।
প্রশ্ন ৪| একক কাজ:
‘৭ই মার্চের ভাষণ’ শিরোনামের রচনাটিকে কী কী কারণে প্রায়োগিক লেখা বলা যায়?
উত্তর:
‘৭ই মার্চের ভাষণ’ শিরোনামের রচনাটিকে যে যে কারণে প্রায়োগিক লেখা বলা যায়, তা হলো-
১. এ মার্চের ভাষণ শিরোনামের রচনাটিতে প্রায়োগিক লেখার সাধারণ বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন ঘটেছে।
২. এ রচনায় ঐতিহাসিক ঘটনা প্রবাহের বর্ণনা বাস্তব
অভিজ্ঞতাপ্রসূত।
৩.এ ভাষণে বক্তা তাঁর জীবন দ্বারা উপলব্ধি করে অন্যায়ের প্রতিবাদ ও ন্যায্যতার দাবি করেছেন।
৪. এ ভাষণের প্রেক্ষাপট এবং উপস্থাপন রীতি সাধারণ গদ্য রচনার
৫.এ রচনায় লেখক বা বন্ধুর বাস্তব জীবনের ঘটে যাওয়া বিষয়ের প্রতিফলন ঘটেছে।
৬. এ রচনার কোনো বিষয়ই বক্তার অজানা বা মনগড়া নয়। সবহ ঐতিহাসিক ও বাস্তব সত্য।
৭. এ রচনার বা ভাষণের পুরোটাই জাতীয় কল্যাণ সাধনে অধিকার সচেতন করে স্বদেশবাসীকে অধিকার আদায়ের চেতনায় সম্পৃক্ত করার বাস্তব যোগাযোগ স্থাপনের জন্য নিবেদিত।
প্রশ্ন ৫।একক কাজ:
‘স্কুলে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ’ বিষয়ের উপর একটি লিখিত ভাষ বা বক্তৃতা তৈরি করো।
উত্তর:
নবীনবরণ অনুষ্ঠান
উপস্থিত আজকের ‘নবীনবরণ’ অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি, প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, উপস্থিত সুধীমন্ডলী ও আমার পাণপ্রিয় ছাত্র-ছাত্রী ভাইবোনেরা, আমার শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।
হে নবীন বন্ধুরা,
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে জীবনকুসুমকে প্রস্ফুটিত করার আকাঙ্ক্ষায় চোখে-মু নতুন স্বপ্ন নিয়ে তোমরা এসেছ এ মহাবিদ্যালয়ের সবুজ-শ্যামল চত্বরে। যাত্রার প্রাক্কালে তোমাদেরকে জানাই স্বাগত এবং একরাশ
ফুলেল শুভেচ্ছা। তোমাদের সকলের সমবেত প্রাণবন্যায়, উদ্যমতায় মুখর হয়ে উঠুক এই বিদ্যাঙ্গন।
হে শিক্ষার্থী ভাই-বোনেরা,
তোমরা এসেছ এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞানের অন্বেষায়, নিজেকে প্রস্ফুটিত পুষ্পের মতো বিকশিত করার লক্ষ্যে। আমরা তোমাদের স্বাগত জানাই। এই জ্ঞানতীর্থের পবিত্র অঙ্গনে তোমাদের আর আমাদের মিলন পরস্পরের জ্ঞান অর্জনের সহায়ক হবে। সুদৃঢ় আমাদের তীর্থযাত্রা।
হে সূর্যসৈনিকরা,
তোমরা নবীন। ঝরনাধারার মতো তোমাদের চলার ছন্দগতি। তোমাদের এই উর্মিমুখর আগমনী বার্তাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। সাহসী সৈনিকের মতো সকল বাধা-বিঘ্ন, প্রতিবন্ধকতাকে দলিত মথিত করে তোমরা সম্মুখে এগিয়ে যাবে- এটিই আমাদের কামনা।
হে অগ্রনায়ক বন্ধুগণ,
তোমরা দুর্বার, দুরন্ত গতিময় ও অসীম সাহসী। এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষালাভ করে তোমরা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে অগ্রনায়কের ভূমিকা পালন করবে। তোমাদের কাছে এই প্রত্যাশা আমাদের।
হে নবীন শিক্ষার্থীরা,
তোমরা নবীন প্রাণের তারুণ্যে উদ্দীপ্ত। তোমাদের মন সবুজ, সতেজ ও’সজীব। এ শিক্ষাঙ্গনে জ্ঞানাহরণ শেষে তোমরা মানবসেবায় ছড়িয়ে পড়বে। শিক্ষার আলোয় আলোকিত করখে অন্ধকারাচ্ছন্ন, কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজ, দেশ, পৃথিবী।
হে পুণ্যপথের অভিযাত্রীরা,
শিক্ষালাভ ধর্মীয় দিক থেকেও পুণ্যের কাজ। এ পুণ্য লাভের যাত্রাপথে তোমরা এখন উচ্চ প্রাসাদের স্বপ্নসিঁড়িতে। এ পথ তোমরা সাফল্য ও সার্থকতার সাথে অতিক্রান্ত করবে বলে আমার বিশ্বাস।
হে জ্ঞানপিপাসু বন্ধুরা,
শিক্ষাঙ্গন জ্ঞানের ভান্ডার, আর তোমরা হলে জ্ঞানপিপাসু। এ শিক্ষা সাগর থেকে জ্ঞান আহরণ করে তোমরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। সে শিক্ষার আলোকে তোমরা নিজেদের জীবন পরিচালনা করে দোকা ও জাতির উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
হে নবাগত সাথিরা,
তোমরা আমাদের প্রাণের প্রীতি নাও। তোমরা সফল হও। ফুন্দর সুন্দর হোক তোমাদের জীবন, সার্থক হোক তোমাদের অভিযাত্রা জ্ঞান ও কল্যাণের পথে।
পরিশেষে পরম করুণাময়ের দরবারে তোমাদের সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ জীবন কামনা করছি। সেই সঙ্গে আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্দেশে নিবেদন করছি অন্তর উজাড করা শ্রদ্ধা ও ভক্তি। ধন্যবাদ সবাইকে।
প্রশ্ন ৫। একক কাজ:
যোগাযোগের সময় আমরা আমাদের চিন্তা, অনুভূতি ও চাহিদা কি সব সময় প্রকাশ করতে পারি?
উত্তর:
যোগাযোগের সময় অনেক ক্ষেত্রে আমরা আমাদের চিন্তা, অনুভূতি ও চাহিদা প্রকাশ করতে পারি না। এর পেছনে দুটি প্রধান কারণ কাজ করে।
প্রথমত, অনেক সময় চিন্তা, অনুভূতি ও চাহিদা প্রকাশে সঠিকভাবে বিষয়টি উপস্থাপনে ব্যত্যয় ঘটে। চিন্তা, অনুভূতি বা চাহিদাটিকে ভাষায় প্রকাশ করতে সমস্যা হয়।
দ্বিতীয়ত, যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম থাকে। যেমন- মৌখিক মাধ্যম, লিখিত মাধ্যম এবং যান্ত্রিক মাধ্যম। আমরা যখন যোগাযোগ করি তখন সব মাধ্যম আমাদের থাকে না। যখন মৌখিকভাবে যোগাযোগ করি তখন হয়তো লিখিত এবং যান্ত্রিক মাধ্যমের উপাদানগুলো আমাদের কাছে নাও থাকতে পারে। তখন আমরা পরিপূর্ণভাবে যোগাযোগ করতে পারি না। ফলে আমাদের যোগাযোগের উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হয় না।
তাই যোগাযোগের সময়ে আমাদের যে চিন্তা-চেতনা, অনুভূতি ও চাহিদা থাকে তা আমরা সবসময় উপকরণের অভাবে পূরণ করতে পারি না। যোগাযোগের উদ্দেশ্য পূরণ করতে আমাদের পূর্বপ্রস্তুতি রাখতে হবে। তবেই যোগাযোগের উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হবে।
ধন্যবাদ