৬ষ্ট শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ষান্মাসিক মূল্যায়ন প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৪

কাজ ১: চলো সহপাঠীকে জানি

উত্তর কাজ ১ঃ

বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আমার সহপাঠীর পরিবারের

আত্মপরিচয়:

ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট:

আমার সহপাঠী দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশে বসবাস করে তারা বাংলাদেশের দক্ষিণের জেলা কক্সবাজারে থাকে। এ অঞ্চলটি সমুদ্র তীরবর্তী এবং আবহাওয়া সমভাবাপন্ন।

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট:

ভাষা: বাংলা

সংস্কৃতি: বাঙালি সংস্কৃতি

পোশাক: সাধারণ বাঙালি পোশাক। আমার সহপাঠী পাঞ্জাবি, পায়জামা, গেঞ্জি, শার্ট-প্যান্ট ইত্যাদি পোশাক পরিধান করে।

রীতিনীর্তি: আমার সহপাঠী মুসলিম পরিবারের সন্তান, তাই তারা মুসলিম রীতিনীতি অনুসরণ করে।

পেশা: আমার সহপাঠী একজন শিক্ষার্থী। তার বাবা একজন

শিক্ষক এবং মা গৃহিণী। তার বড় বোন ডাক্তার।

আমি গাজী পরিবারের সন্তান। আমি আমার পরিবার ও সমাজের সদস্যদের সাথে মিলেমিশে বসবাস করি।

খ) জোড়া গঠন ও তথ্য সংগ্রহ:

১. তোমার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কি?

২. তোমার পারিবারিক প্রেক্ষাপট কি?

৩. তোমার ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট কি?

৪. তোমার সামাজিক প্রেক্ষাপট কি?

৫. তোমার সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট কি?

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট:

  • রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় পরিচয় (বাংলাদেশিা|
  • রাজনৈতিক চেতনা: মুক্তিযুদ্ধের চেতনাদর্শী।

পারিবারিক প্রেক্ষাপট:

  • পরিবারের ধরন: পিতৃতান্ত্রিক পরিবার/ একক পরিবার
  • পূর্বপুরুষের নাম: ইকরামুল হাসান (দাদা)

ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট:

  • পূর্বপুরুষের আবাসস্থল জালালাবাদ, সিলেট
  • বর্তমান ঠিকানা: কেক্সবাজার

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট:

পেশাগত পরিচয়: বন্ধু: মাহমুদ হাসান (শিক্ষার্থী) বাবা: নাজমুল হাসান (শিক্ষক) মা সেলিনা হোসেন (গৃহিণী)

ভাষা: বাংলা

ধর্ম: ইসলাম

প্রথা: মহররমের দিন আত্মীয়-স্বজনরা সবাই একসাথে হয়ে খিচুড়ি খাওয়া
রীতি-নীতি: আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিয়ে না দেওয়া

গ) তথ্য সাজাই:

প্রাপ্ত তথ্যকে বিশ্লেষণ করে উপরে উল্লেখিত দুটি প্রেক্ষাপটে সহপাঠীর আত্মপরিচয়ের বিবরণ লিখা হলো:

ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট:

আমার সহপাঠী দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশে বসবাস করে। তারা বাংলাদেশের দক্ষিণের জেলা কক্সবাজারে থাকে।

এ অঞ্চলটি সমুদ্র তীরবর্তী এবং আবহাওয়া সমভাবাপন্ন। সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষের আচরণিক রীতি তৈরিতে সমুদ্র প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ সমুদ্রকে কেন্দ্র করেই তাদের জীবন ও জীবিকা পরিচালিত হয়।

আমার সহপাঠী একজন শিক্ষার্থী। তার বাবা একজন শিক্ষক এবং মা গৃহিণী। তার বড় বোন ডাক্তার। সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের অধিবাসী হওয়ায় তারা সাহসী, সংগ্রামী, লড়াকু, উদার ও অভিযোজনে অধিক পারদর্শী হয়ে থাকে।

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট:

আমার সহপাঠীর পরিবারের ভাষা বাংলা, তারা বাঙালি সংস্কৃতি মনে প্রানে লালন করে, তারা সাধারণ বাঙালি পোশাক পরিধান 4/6 করে। আমার সহপাঠী পাঞ্জাবি, পায়জামা, গেঞ্জি, শার্ট-প্যান্ট ইত্যাদি পোশাক পরিধান করে। আমার সহপাঠী মুসলিম পরিবারের সন্তান, তাই তারা মসলিম রীতিনীতি অনুসরণ করে।
আমার সহপাঠী একজন শিক্ষার্থী। তার বাবা একজন শিক্ষক এবং মা গৃহিণী। তার বড় বোন ডাক্তার। সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের অধিবাসী হওয়ায় তারা সাহসী, সংগ্রামী, লড়াকু, উদার ও অভিযোজনে অধিক পারদর্শী হয়ে থাকে।

ঘ) সতীর্থ মূল্যায়ন:

১. আমার সহপাঠী অনুসন্ধানের জন্য বিষয়বস্তু নির্ধারণ করেছে?

উত্তর: হ্যাঁ।

২. আমার সহপাঠী অনুসন্ধানের জন্য সুনির্দষ্ট প্রশ্ন উপস্থাপন করেছে?

উত্তর: হ্যাঁ।

৩/ আমার সহপাঠী প্রশ্ন থেকে মূল বিষয়গুলো খুঁজে বের করেছে?

উত্তর: হ্যাঁ।

৪. আমার সহপাঠী তথ্যের উৎস নির্ধারণ করেছে?

উত্তর: না।

৫. আমার সহপাঠী তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রশ্নমালা তৈরি করেছে?

উত্তর না।

৬. আমার সহপাঠী সাক্ষাৎকার গ্রহণের জন্য সহপাঠী আমার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে?

উত্তর: হ্যাঁ।

৭. আমার সহপাঠী প্রশ্নমালার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছে?

উত্তর: না।

৮. অামার সহপাঠী প্রাপ্ত তথ্যকে প্রদত্ত দুটি প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করেছে ও মতামত দিয়েছে?

উত্তর: হ্যাঁ।

উত্তর কাজ ২ঃ

ক. অতীত ও বর্তমান মানুষের জীবন ও জীবিকা

সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল:

সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষের আচরণিক রীতি তৈরিতে সমুদ্র প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সমুদ্রকে কেন্দ্র করে তাদের জীবন ও জীবিকা পরিচালিত হয়। সমদ তীরে টিকে থাকা ও
সমুদ্র তীরে টিকে থাকা ও বিভিন্ন সামুদ্রিক ঝড় মোকাবিলা করার ফলে এ অঞ্চলের মানুষরা প্রচন্ড সাহসী, সংগ্রামী ও লড়াকু হয়ে থাকে। ঝড়ে বাসস্থান ভেঙে গেলে পুনরায় তা ঠিক করা তাদের নৈমেত্তিক কাজ। তাই তারা অধিক অভিযোজনে সক্ষম। সমুদ্রের বিশালতাও তাদের আচরণিক রীতিতে প্রভাব রাখে। এ অঞ্চলের ভাষা ও গান অন্যান্য অঞ্চল হতে পৃথক। মোটকথা সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষরা সাহসী, সংগ্রামী, লড়াকু, উদার ও অভিযোজনে অধিক পারদর্শী
হয়ে থাকে।

হাওর অঞ্চল:

হাওর অঞ্চলের মানুষের আচরণিক রীতিতে হাওরের প্রভাব রয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান ও আর্থসামাজিক অবস্থা অন্য এলাকা হতে ভিন্ন। এখানকার মানুষ কৃষি ও মৎস্য
শিকারের ওপর নির্ভরশীল। হাওর ছয় মাস পানির নিচে থাকে এবং ছয় মাস শুকনো থাকে। এখানে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয় যার সাথে লড়াই করে এখানকার মানুষ টিকে থাকে। এখানকার বিভিন্ন উৎসব ও গান মানুষের সাংস্কৃতিক জীবনকে উন্নত ও সমুদ্ধ 4/5 করে। যেমন- ধামাইল গান, পালো বাওড়া উৎসব, বটকির গান, পুঁথি পাঠ ইত্যাদি। এ অঞ্চলের মানুষ সাহসী, সংগ্রামী, মিশুক এবং উন্নত সাংসুতিক জীবনের অধিকারী হয়ে থাক|

নদাবিধোত অঞ্চল:

নদীকে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশের অধিকাংশ জনপদ সৃষ্টি হয়েছে। নদী মানুষের জীবিকার অন্যতম উৎস। নদী বিধৌত অঞ্চলের মানুষ কৃষিকাজ, মৎস্য শিকার, নদীকেন্দ্রিক গড়ে ওঠা বিভিন্ন বাণিজ্য ও যাতায়াত পেশার সাথে সম্পৃক্ত। নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে গাওয়া বিভিন্ন গান এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক অংশ। এ অঞ্চলের মানুষরা নদী ও নদী বিধৌত উর্বর পলি মাটির কল্যানেই আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করে থাকে। এ অনঞ্চলের মানুষরা সংগ্রামী, লড়াকু, সরল জীবনযাত্রা, পরিশ্রমী ও আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে থাকে।

পাহাড়ি অঞ্চ:

পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষরা পাহাড় বা এর পাদদেশে বসবাস করে থাকে। তারা পাহাড়ে জুম চাষ করে। তারা মাটি থেকে খুঁটি দিয়ে তৈরি উঁচু মাচায় ঘর তৈরি করে যাতে বন্যপ্রাণী আক্রমণ না করতে পারে। এসব অঞ্চলের মানুষের সাধারণত নিজস্ব পোশাক, ভাষা উৎসব ও সংস্কৃতি রয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি অত্যন্তউন্নত। পাহাড়ের গম্ভীরতা তাদের আচরণে প্রভাব ফেলে থাকে। এ অঞ্চলের মানুষরা প্রচন্ড সংগ্রামী, সাহসী, লড়াকু, পরিশ্রমী, নিজস্ব ঐতিহ্য সমৃদ্ধ ও উন্নত সাংস্কৃতিক জীবনের অধিকারী।

খ. উত্তর

ছক ২: বিভিন্ন ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য এবং মানুষের জীবন ও জীবিকা

ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যঅতীতে মানুষের জীবন ও জীবিকাবর্তমানে মানুষের জীবন ও জীবিকা
নদী অঞ্চলজেলে, নৌকা চালক, মৎস্য চাষমৎস্য চাষ, পর্যটন, নদী সংক্রান্ত ব্যবসা
পাহাড়ি অঞ্চলঝুম চাষ, শিকার, বনজ দ্রব্য সংগ্রহপর্যটন, ফল ও সবজি চাষ, হস্তশিল্প
সমতল অঞ্চলধান চাষ, পাট চাষ, কৃষি প্রধানআধুনিক কৃষি, কলকারখানা, বাণিজ্য
সৈকত এলাকালবণ চাষ, মৎস্য চাষ, কাঁকড়া সংগ্রহপর্যটন, হোটেল ব্যবসা, মৎস্য চাষ
দ্বীপ অঞ্চলকৃষি, মৎস্য চাষ, নারকেল ও অন্যান্য ফলের চাষপর্যটন, সামুদ্রিক মৎস্য চাষ, ফল ও সবজি চাষ
চরের এলাকাচরাঞ্চলে ফসল চাষ, পশু পালনআধুনিক কৃষি, চর উন্নয়ন প্রকল্প, পশু পালন
বনাঞ্চলবনজ দ্রব্য সংগ্রহ, শিকারপর্যটন, বনজ পণ্য উৎপাদন, গাছ লাগানো ও বন সংরক্ষণ
নগর এলাকাব্যবসা-বাণিজ্য, কারিগরি কাজ, হস্তশিল্পশিল্প কারখানা, সেবা খাত, আধুনিক ব্যবসা

উত্তর কাজ ৩ঃ

কাজ ৩: দায়িত্বশীল ভূমিকায় আমি

ক) আত্মপ্রতিফলন: আমাদের সমাজে বিভিন্ন আত্মপরিচয়ের মানুষের বসবাস। আমরা সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে পারি কিছু নিদিষ্ট উপায়ে:

সহনশীলতা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন: সকলের প্রতি সমান সম্মান দেখানো এবং তাদের মতামত ও সংস্কৃতিকে মূল্যায়ন করা।

সচেতনতা বৃদ্ধি: বিভিন্ন সংস্কৃতি, ধর্ম এবং ভাষার প্রতি সচেতন থাকা এবং সেগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা।

সহযোগিতা: সমাজের সকল মানুষের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করা এবং তাদের সাহায্য করা।

বিচারহীনতা: কোনো প্রকার বিচার বা বৈষম্য না করা এবং সবার প্রতি সমান আচরণ করা।

সমস্যার সমাধান: সমাজে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সবাই মিলে তার সমাধান খুঁজে বের করা।

আন্তর্জাতিকতা: বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে মিলেমিশে থাকা এবং তাদের গ্রহণ করা।

খ) দল গঠন ও আলোচনা:

এখন আমরা ৪ জনের একটি দল গঠন করব। দলে বসে আমরা ইতোমধ্যে যে আত্মপ্রতিফল লিখেছি তা শেয়ার করব। এরপর সমাজের নানারকম আত্মপরিচয়ের মানুষের সাথে মিলেমিশে থাকার জন্য করণীয় নির্ধারণ করব।

উত্তর :

সমাজের নানারকম আত্মপরিচয়ের মানুষের সাথে মিলেমিশে থাকার জন্য করণীয় নির্ধারণ করা হলো

১. কারোও আত্মপরিচয় ভিন্ন হওয়ার কারণে তার সাথে খারাপ আচরণ করব না, বাজে মন্তব্য করব না।

২. প্রত্যেকের পছন্দকে সম্মান জানাতে হবে এবং কারোও পছন্দের বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা চলবে না।

৩. প্রত্যেকটা মানুষের ভৌগোলিক পরিচয়, পারিবারিক পরিচয়, সাংস্কৃতিক পরিচয় কে সম্মান জানাবো।

৪. নিজ এলাকা, ভাষা, ধর্ম, বর্ণ বা গোত্রের মানুষ না হওয়ার কারণে কাউকে কখনো অসম্মান করব না|

৫. কারোও খাদ্যাভ্যাসে বাধা দেওয়া যাবে না।

৬. নিজের আত্মপরিচয় নিয়ে সচেতন থাকবো এবং হীনমন্যতায় ভুগবো না।

গ) প্রতিবেদন লেখা:

উত্তর:

প্রতিবেদকের নাম: আবদুর রহমান

দায়িত্বশীল ভূমিকায় আমি

মানুষ সামাজিক জীব। আর সমাজে বসবাস করতে গেলেসকলকে একসাথে মিলেমিশে থাকতে হয়। সমাজের নানারকম আত্মপরিচয়ের মানুষের সাথে মিলেমিশে থাকার জন্য আমি যা যা করতে পারি তার তালিকা:

১. কারোও আত্মপরিচয় ভিন্ন হওয়ার কারণে তার সাথে খারাপ আচরণ করব না।

২. প্রত্যেকের পছন্দকে সম্মান জানাতে হবে।

৩. কারোও পছন্দের বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবো না।

৪. প্রত্যেকটা মানুষের ভৌগোলিক পরিচয়, পারিবারিক পরিচয়, সাংস্কৃতিক পরিচয় কে সম্মান জানাবো।

৫. নিজ এলাকা, ভাষা, ধর্ম, বর্ণ বা গোত্রের মানুষ না হওয়ার কারণে কাউকে কখনো অসম্মান করব না।

আমি যা করতে পারি তালিকা থেকে যেকোনো একটি কাজ যেভাবে বাস্তবায়ন করবো:

অনেক সময় ভিন্ন পরিবার, এলাকা, ভাষা বা গোত্রের মানুষ হওয়ার কারণে বিভিন্ন রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে আমি যদি তাদের সাথে খারাপ আচরণ করি, তাহলে তারা মনে কষ্ট পাবে এবং হীনমন্যতায় ভুগবে।
তাই আত্মপরিচয় বিবেচনা না করে মানুষ হিসেবে সবাইকে ভালোবাসতে হবে এবং যথাসম্ভব সহযোগিতা করতে হবে। তা নাহলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।

সমাজের নানারকম আত্মপরিচয়ের মানুষের সাথে মিলেমিশে থাকার জন্য আমরা সবাই একসাথে যা করতে পারি তার তালিকা:

সমাজে বসবাস করতে গেলে ব্যক্তি হিসেবে যেমন আমাদের ব্যক্তিগত কিছু দায়িত্ব বা কর্তব্য রয়েছে তেমনি দলবদ্ধভাবে বা সমাজবদ্ধ হয়ে আমাদের প্রত্যেকের প্রত্যেকের প্রতি কিছু দায়িত্ব বা কর্তব্য রয়েছে। আমাদের করণীয় কাজগুলো সকলকে মেনে

চলতে হবে। ডিন এলাকা ভ্রামা ধর্ম বর্ণ বা গোত্রের মানুষদের
অসম্মান করা চলবে না বরং সবার প্রতি সহনশীল থাকতে হবে এবং সবাইকে যথাসম্ভব সহযোগিতা করতে হবে।

এবং সবাইকে যথাসম্ভব সহযোগিতা করতে হবে।

আমরা সবাই একসাথে যা করতে পারি এর তালিকা থেকে যেকোনো একটি কাজ যেভাবে বাস্তবায়ন করব:

আমাদের সমাজে ভিন্ন ভাষাধর্মীর মানুষ থাকতে পারে বা আঞ্চলিক ভাষার মানুষ থাকতে পারে। তার আঞ্চলিক ভাষায় কথাবলে তাদের নিয়ে কখনো ঠাট্টা বিদ্রুপ করা যাবে না। এটা তাদের অধিকার, তারা আঞ্চলিক ভাষাতে কথা বলতেই পারে। কখনো যদি দেখি কেউ কাউকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করছে তার ভাষার জন্য, তাহলে আমাদের উচিত হবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া। এভাবেই আমরা একটা সুন্দর সমাজ গড়ে তোলার মাধ্যমে সুন্দর সামাজিক পরিবেশ বজায় রাখতে পারবো।

Post Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 Comment