মুম্বাইবাসী এই মুহূর্তে এক অদ্ভুত আতঙ্ক ও অসুবিধার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। রোববার থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতে শহরের রুটিন কার্যক্রম পুরোপুরি স্তব্ধ। চারপাশ ভিজে, যানজট বেড়ে, ট্রেন ও ফ্লাইটে বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। এই মুহূর্তে মানুষ শুধুই চাইছে নিরাপদে থাকার এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করার সুযোগ।
ভারী বৃষ্টির জন্য রেড অ্যালার্ট
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (IMD) ঘোষণা করেছে মুম্বাই ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টার জন্য রেড অ্যালার্ট। এর মধ্যে আছে থানে, পালঘর, রাইগড়, এবং রত্নাগিরি জেলা। এই এলাকায় খুব ভারী বৃষ্টি হবে এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি হতে পারে, কখনো কখনো ৬০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছাবে।
IMD এক পোস্টে লিখেছে, “মহারাষ্ট্রে ভারী বৃষ্টি এবং বজ্রসহ: থানে, পুনে, রাইগড়; মধ্যপ্রদেশে: সাগর, বালঘাট; মুম্বাই শহর। মুম্বাইয়ের জন্য কম্পিত বৃষ্টি সম্ভাবনা – মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।”

অফিস বন্ধ হবে কি?
বর্তমানে মুম্বাইয়ে অফিস বন্ধের কোনো ঘোষণা করা হয়নি, তবে বৃষ্টি এবং শহরের জলাবদ্ধতার কারণে কর্মজীবীদের সচেতন থাকা উচিত।
মুম্বাইতে কেন এত ভারী বৃষ্টি?
হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাঙ্গালোর উপসাগরে তৈরি একটি নিম্নচাপের এলাকা এবং মনসুনের শক্তিশালী হাওয়ার কারণে মুম্বাইতে এই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
ভারত-চীন সম্পর্কের নতুন দিশা: বাণিজ্য ও কূটনীতি নিয়ে অগ্রগতি
মুম্বাই বৃষ্টির শীর্ষ ঘটনা
- রাইগড় ও পুনের পাহাড়ি অঞ্চলে বুধবার রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
- থানে, পালঘর, রত্নাগিরি, এবং সিন্দুদুর্গ জেলার জন্য কম্পিত (অরেঞ্জ) অ্যালার্ট দেওয়া হয়েছে।
- মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে মোনোরেল দুইটি স্থানে ভেঙে গিয়েছে, একটি আচার্য আত্রে থেকে ওয়াডালা স্টেশন পর্যন্ত, আরেকটি মাইসোর কলোনির কাছে।
- শহরের বিভিন্ন অংশে ট্রেন ও ফ্লাইট সার্ভিস ব্যাহত হয়েছে।
- মিঠি নদী বিপজ্জনকভাবে ৪ মিটার উচ্চতায় পৌঁছেছে, ফলে নিম্নাঞ্চল থেকে মানুষকে সরানো হয়েছে।
- সিএসএমটি থেকে কুরলা পর্যন্ত হরবার লাইনেও সাবওয়ে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ ছিল ১২ ঘণ্টারও বেশি সময়।
- BMC জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৪টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে শহরে ২০০ মিমি’র বেশি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

সামনের দিনগুলোতে কেমন থাকবে আবহাওয়া?
IMD জানিয়েছে, বুধবার থেকে বৃষ্টি কিছুটা হ্রাস পেতে পারে, তবে সপ্তাহ জুড়ে ভারী বৃষ্টি চলার সম্ভাবনা রয়েছে। মুম্বাইবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্য IMD এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাম্প্রতিক ঘোষণার ভিত্তিতে তৈরি। আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তন বা জরুরি পরিস্থিতির জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি।
সূত্র: মিন্ট