আজ, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি একটি আংশিক সূর্যগ্রহণ, যেখানে চাঁদ পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে অবস্থান নেয় এবং সূর্যের আলো আংশিকভাবে আটকায়। এই প্রাকৃতিক ঘটনা পর্যবেক্ষকদের জন্য একটি চমকপ্রদ দৃশ্য তৈরি করে।
সূর্যগ্রহণের ধরন ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে চার ধরনের সূর্যগ্রহণ ঘটে—
- পূর্ণ সূর্যগ্রহণ (Total Eclipse): সূর্য সম্পূর্ণভাবে চাঁদের আড়ালে চলে যায়, কিছু মিনিটের জন্য দিন রাতের মতো অন্ধকার দেখা যায়।
- আংশিক সূর্যগ্রহণ (Partial Eclipse): সূর্যের কেবল একটি অংশ আড়াল হয়।
- উপবৃত্তাকার সূর্যগ্রহণ (Annular Eclipse): চাঁদ সূর্যের কেন্দ্র ঢেকে দেয়, কিন্তু প্রান্তগুলো দেখা যায়, যার ফলে “ফায়ারের রিং” তৈরি হয়।
- হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ (Hybrid Eclipse): পূর্ণ ও আংশিক সূর্যগ্রহণের মিশ্রণ, যা খুবই বিরল।
আজকের সূর্যগ্রহণ আংশিক (Partial) এবং এটি পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধের কিছু অংশ থেকে দেখা যাবে—যেমন অস্ট্রেলিয়া, অ্যান্টার্কটিকা, প্যাসিফিক ও আটলান্টিক মহাসাগরের কিছু অঞ্চল।
ভারতের আকাশে দেখা যাবে না
ভারত, এশিয়া মহাদেশে অবস্থান করায় আজকের এই সূর্যগ্রহণ দেখা সম্ভব হবে না। দেশটি দক্ষিণ ও পূর্ব গোলার্ধে থাকায়, এই আংশিক সূর্যগ্রহণ ভারতের আকাশে দৃশ্যমান নয়।
আরো পড়ুন: হৃদয়ের দুর্দান্ত ফিফটি: সমালোচনা পেছনে ফেলে দলের জয় নিশ্চিত
সূর্যগ্রহণের সময়সূচি (IST অনুযায়ী)
যদি আপনি পৃথিবীর সেই অঞ্চলে থাকেন যেখানে এটি দৃশ্যমান:
- সূর্যগ্রহণ শুরু: ১০:৫৯ পি.এম. IST
- শীর্ষবিন্দু: ১:১১ এ.এম. IST (চাঁদ সূর্যের বৃহত্তম অংশ ঢেকে রাখবে)
- সূর্যগ্রহণ শেষ: ৩:২৩ এ.এম. IST
সূর্যগ্রহণের সময় করণীয় ও সতর্কতা
- সময় ও পথ জানা: স্থানীয় সময় ও অবলোকনের জন্য সূর্যগ্রহণের পথ সম্পর্কে নিশ্চিত হোন।
- চোখের সুরক্ষা: প্রত্যক্ষ দেখার জন্য সার্টিফায়েড ইক্লিপ্স চশমা ব্যবহার করুন।
- সঠিক স্থান নির্বাচন: খোলা, বাধাহীন এলাকা বেছে নিন।
- যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করুন: ক্যামেরা, ট্রাইপড, ফিল্টার প্রস্তুত রাখুন।
- শিক্ষা ও জ্ঞান ভাগাভাগি: সূর্যগ্রহণের ধাপ সম্পর্কে জানুন এবং অন্যদেরও জানান।
প্রাণীও অনুভব করে সূর্যগ্রহণ
অনেক প্রাণী হঠাৎ অন্ধকারে চুপচাপ হয়ে যায়, ঘরে ফিরে যায় বা রাতের মতো আচরণ দেখায়—যেমন সূর্যাস্তের সময়।
বার্ষিক সূর্যগ্রহণের ঘটনা
সাধারণত প্রতি বছর পৃথিবীর কোথাও না কোথাও অন্তত দুইবার সূর্যগ্রহণ ঘটে। একই স্থানে দেখা বিরল, কখনো কয়েকশ বছর পর একবার মাত্র দেখা যায়।
সূর্যগ্রহণ মানব ইতিহাস জুড়ে কৌতূহল, বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান ও সংস্কৃতিক বিশ্বাসকে প্রভাবিত করেছে। এটি আমাদের মহাবিশ্বের বিস্ময় এবং মানব জীবনের ক্ষুদ্রতা মনে করিয়ে দেয়।