স্বপ্নদোষ কেন হয় – স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির উপায়
ছেলে মেয়ে উভয় যখন ১০ থেকে ১২ বছর পার হয় তখনই তাদের শৈশব শুরু হয়। আর শৈশব শুরু হওয়ার সময় এই সমস্যাটাই হয়ে থাকে এটি হল স্বপ্নদোষ। স্বপ্নদোষ একটি কমন বিষয় যেটা সবারই হয়ে থাকে। তাই এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছুই নাই। আজকের পোস্টে আমি আপনাদেরকে স্বপ্নদোষ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো:
এই পোষ্টের শিরোনামঃ
আজকে আমি আপনাদেরকে স্বপ্নদোষ সম্পর্কে কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর দেব এবং আপনাদের কিছু কমন ভুল রয়েছে যেগুলো আজকের পোস্টে জানতে পারবেন।
স্বপ্নদোষ কি?
এক কথায় বলতে গেলে স্বপ্নদোষ হল ঘুমের মধ্যে বীর্যপাত হওয়া।
স্বপ্নদোষ হওয়া কি স্বাভাবিক?
সবারই এই একটাই প্রশ্ন থাকে যে স্বপ্নদোষ হওয়া কি স্বাভাবিক কিনা? হ্যা স্বপ্নদোষ হওয়াটাই সম্পূর্ণ স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। স্বপ্নদোষ শৈশরকালীন সময় শুরু হয় তাই এটা নিয়ে লজ্জা বা অপরাধ নয়। কারো কারো নয় বছর বয়সে প্রথমবার স্বপ্নদোষ হতে পারে আবার কারো কারো ১০-১১ বছর পরে হতে পারে। কৈশোর কালেই সবচেয়ে বেশি স্বপ্নদোষ হয়ে থাকেন এবং বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে স্বপ্নদোষ কমতে থাকে।
কত ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হওয়া স্বাভাবিক
স্বপ্নদোষ হওয়ার কোন বাধা নেই। তার কারণ হলো কারো কারো সপ্তাহে দুইবার আবার কারো মাসে একবার হয়ে থাকে। এর থেকে বেশিও হতে পারে। আবার দেখা যায় কারও ১ বছরের মধ্যেও স্বপ্নদোষ হয় না। তাই স্বপ্নদোষ হওয়া কোন অস্বাভাবিক নয় এটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বিষয়।
অনেকেই মনে করেন যে ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। আবার মনে করে শরীরের শক্তি চলে যায় এবং শরীর বৃদ্ধি হয় না। আবার দেখা যায় অনেকে মনে করে এটি একটি শারীরিক অসুস্থতা। কিন্তু এগুলো ধারণার কোন ভিত্তি নেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে।
স্বপ্নদোষের কারণে কোন শরীর দুর্বল হয় না বা শরীরের শক্তি চলে যায় না। শরীরের বৃদ্ধি ভেঙে যায় না তাই স্বপ্নদোষ একটি স্বাভাবিক বিষয়। স্বপ্নদোষ হলে এর কোন শারীরিক সমস্যা হয় না।
স্বপ্নদোষ কতদিন পর পর হয়
স্বপ্নদোষ সাধারণত কৈশোর কাল শুরু হওয়ার পর থেকেই স্বপ্নদোষ শুরু হয়। তাই এটার কোনো নির্ধারিত সময় বাধা নাই যে ওই সময় স্বপ্নদোষ হবে। তাই কারো কারো সপ্তাহে ২ – ১ বার আবার কারো মাসে একবার হয়ে থাকে। আবার দেখা যায় অনেকের ঘন ঘন হয়ে থাকে।
স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির উপায়
আসলে স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির কোন উপায় নেই। কারণ এটি মানুষের কৌশর কাল বা যৌবন শুরু হওয়ার সময় থেকে স্বপ্নদোষ হবেই। তাই এটা বন্ধ করার কোন উপায় নেই।
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কেন হয়
আসলে প্রতিটা মানুষের কতবার স্বপ্নদোষ হয় প্রতিমাসে এটা কোন বার নির্ধারিত নয়। স্বপ্নদোষ স্বাভাবিকভাবেই হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকে দেখা যায় অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে এর কারণ হলো মানসিক চাপ মাথায় সৃষ্টি হওয়া। মানসিক চাপ বিভিন্ন কারণে সৃষ্টি হতে পারে। তবে এর প্রধান কারণ হলো মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ভিডিও দেখা।
- খারাপ ভিডিও দেখা
- একা একা থাকা
- ফোনে খারাপ কথা বলা গার্লফ্রেন্ডের সাথে
- কারও কথা সবসময় খারাপ দৃষ্টিতে মনে করা
এই সকল বিষয় যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে আপনার অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হতে পারে। তাই এই সকল বিষয় থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
স্বপ্নদোষ কি মেয়েদের হয়
হ্যাঁ ছেলে মেয়ে উভয় স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে। যদি কোন মেয়ের স্বপ্নদোষ হয় তাহলে তার হালকা পিচ্ছিল ভেজা ভেজা মনে হবে বা ভিজে যেতে পারে। আবার অনেক সময় সাদা স্রাব ভাঙতে পারে।
স্বপ্নদোষ হলে কি ক্ষতি হয়
না কোন ক্ষতি হয় না স্বপ্নদোষ হলে। স্বপ্নদোষ হলে একটি স্বাভাবিক বিষয় যেটা আমি আগেই বলেছি।
স্বপ্ন দোষ না হলে কি সমস্যা
কোন সমস্যা নেই কারণ অনেকেরই স্বপ্ন দোষ হয় না। যাদের হয় না তারা আবার দুশ্চিন্তা করে। তাই আপনার যদি স্বপ্নদোষ না হয় তাহলে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন বিষয় নাই। কারণ স্বপ্নদোষ হলেও সমস্যা নেই আবার না হলেও কোন সমস্যা নেই।
আরো পড়ুনঃ
ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হলে করনীয় কি
যদি আপনার ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে তা হল:
আপনাকে একা একা কখনো থাকা যাবে না। একা একা থাকলে মাথায় খারাপ চিন্তা ভাবনা চলে আসে তাই আপনি যতটা সময় পারবেন আপনার পরিবার অথবা আশেপাশে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে থাকার চেষ্টা করবেন। এছাড়া আপনি যদি অতিরিক্ত খারাপ ভিডিও দেখেন তাহলে সেগুলো বাদ দিবেন। তেজস্বী খাবার বেশি খাবেন না।
যদি আপনার অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে তাহলে আপনার কাছের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। তবে স্বপ্নদোষ নিয়ে কোন ওষুধ গ্রহণ না করাই ভালো।
স্বপ্নদোষ হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায় কেন
স্বপ্নদোষ হলে শরীর কখনোই দুর্বল হয় না তবে শরীর দুর্বল অনুভূতি সৃষ্টি হয়। তবে শরীর দুর্বল হওয়ার কারণ হচ্ছে যখন অন্ডকোষ থেকে বীর্য উৎপাদন করে বাইরে চলে যায় তখন শরীরের শক্তি হারায় যেমন ক্ষুধা লেগে যায়। আরে ক্ষুধা লাগার কারণেই শরীর ক্লান্ত ও শক্তি চলে যায় এরকম অনুভূতি সৃষ্টি হয়ে থাকে।
স্বপ্নদোষ ও হস্তমৈথুন সম্পূর্ণটাই আলাদা। তাই স্বপ্নদোষ হওয়াটাই স্বাভাবিক প্রতিটা মানুষেরই কিন্তু হস্তমৈথুন এটা অস্বাভাবিক বিষয় যেটা ব্যক্তি নিজেই করে থাকে যার কারণেই শক্তি হারিয়ে যায় এবং শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই এর ভিত্তিতে অনেকেই স্বপ্নদোষ ও হস্তমৈথুন একই বিষয়ে মনে করেন। কিন্তু এই দুটো বিষয় সম্পূর্ণটাই আলাদা।
সর্বশেষে:
এই ধরনের সকল তথ্য পেতে এখনই আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।