সেরা ৫ টি স্কিল

২০২৪ সালে ফ্রিল্যান্সারদের সেরা ৫ টি স্কিল – 5 Skills To Learn For Freelancing

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে চান। তাহলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের হাজারো কাজের মধ্যেও সবচেয়ে বেশি চাহিদা যে সকল কাজ রয়েছে সেগুলো বেঁছে বের করা। আর যারা নতুন রয়েছে তারাই এই ভুল কাজটি করে থাকেন। তারা জানে না কোন কাজের ডিমান্ড সবচেয়ে বেশি ফ্রিল্যান্সিং। তাই আজকে আপনাদেরকে জানাবো শুধু ২০২৪ সাল নয় আগামী দিনগুলোর এই পাঁচটি স্কিল সবচেয়ে বেশি ডিমান্ড হবে এবং এখনো হচ্ছে।

তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখতে চান বাঁ শিখতেছেন তাহলে এই পাঁচটি স্কিল গঠন করুন। তাহলে ভবিষ্যতে আপনি ভালো র‌্যাংকিং হতে পারবেন। এছাড়া আপনার কাজের কোন অভাব হবেনা। আজকে যে পাঁচটি স্কিল সম্পর্কে বলবো সেগুলো একটু কঠিন হতে পারে। তারপরও চেষ্টা করুন এই স্কিল গুলো নিজের মধ্যেও প্রফেশনাল ভাবে আয়ত্ত করা।

১. SEO

বর্তমানে মার্কেটে এসইও কাজ সবচেয়ে বেশি পপুলার রয়েছে। আমরা সাধারণত অনলাইন থেকে যেকোনো কিছু জানার জন্য সরাসরি ইউটিউব, google অথবা অন্য কোন ব্রাউজারে গিয়ে সার্চ করি। আর এই সার্চ করার পরে যে টপিকটা আমরা সবার প্রথম দেখি সেটার মধ্যেই মূলত বেশি এসইও করা হয়েছে। আর যে সবচেয়ে বেশি কীওয়ার্ড রিচার্চ করে কনটেন্ট ক্রিয়েট করবে। তার কনটেন্ট সবার প্রথমে দেখাবে এবং সবচেয়ে বেশি মানুষ তার কনটেন্টই দেখবে।

আর যতদিন যাচ্ছে ততই মানুষ অনলাইনের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়তেছে। আর এই সুযোগেই আমরা অনেকেই একটি ইউটিউব চ্যানেল অথবা একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে। কনটেন্ট আপলোড করি অথবা অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি করি। এছাড়া অনেকেই নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে। এই সকল কাজেই সবচেয়ে বেশি ডিমান্ড হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্চ। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ পেতে চান তাহলে এসইও নিয়ে কাজ শুরু করুন।

কিভাবে এসইওর কাজ শিখবেন এটা নিয়ে google অথবা ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন। তাহলে ওখানে কিছু কনটেন্ট পেয়ে যাবেন সেগুলো দেখে এসইও কাজ শিখতে পারেন।

২. Video Editing

নতুন কোন কোম্পানি তৈরি করতে হলে অথবা কোন একটা জিনিস নিয়ে বিজনেস করতে হলে তার একটি ভিডিও তৈরি করতে হয়। ভিডিও তৈরীর মাধ্যমেই মানুষের কাছে সবচেয়ে পরিচিত লাভ করে। এছাড়া বর্তমানে ইউটিউব ফেসবুকে কনটেন্ট প্রচুর একটা ইনকাম রয়েছে। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান এবং ভবিষ্যতে কাজের ডিমান্ড বাড়াতে চান। তাহলে আপনি ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখতে পারেন। বর্তমানে ভিডিও এডিটিং এর কাজ খুবই জনপ্রিয়। কারণ যেকোনো কিছুর পরিচয় করতে হলে সেটার ভিডিও তৈরি করা আবশ্যক। কারণ বর্তমানে মানুষ ভিডিও দেখতে খুবই পছন্দ করে এবং ভিডিওর মধ্য সবচেয়ে ভালোভাবে সেই সম্পর্কে বুঝে থাকে।

তাই ফ্রিল্যান্সিং জগতে হাজারো কাজ রয়েছে তার মধ্য ভিডিও এডিটিং খুবই জনপ্রিয় এবং চাহিদা মূলক। তাই আপনি প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটিং করা শিখুন। ভিডিও এডিটিং করে আপনি প্রতিনিয়ত ভালো একটা ইনকাম করতে পারবেন। এবং ভবিষ্যতেও এই কাজের চাহিদা বেশি থাকবে কারণ বর্তমানে অনলাইনে সবাই নির্ভরশীল।

৩. Website Developer

বর্তমান জেনারেশনে এসে সবাই চাই নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা। এছাড়া বর্তমানে অনলাইন থেকে প্রোডাক্ট কেনার প্রতি মানুষের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সেই কারণে অনলাইনে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে প্রোডাক্ট সেল করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। তাই প্রতিটা মানুষই তার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান। কিন্তু সবাই তো আর ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন না। তাই তারা ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য দক্ষ developer খুজে থাকেন।

তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্য দীর্ঘদিন টিকে থাকার জন্য কাজ করতে চান তাহলে ওয়েবসাইট ডেভেলপার নিয়ে কাজ করতে পারেন। ওয়েবসাইট ডেভেলপার কাজ ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্য করার আগে। নিজেকে অবশ্যই প্রফেশনাল ভাবে একজন ওয়েবসাইট ডেভলপার তৈরি করুন। বর্তমানে আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে গুগল অথবা ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন ওয়েবসাইট ডেভলপার নিয়ে। সেখানে হাজারো কনটেন্ট হাজারো ভিডিও পাবেন সেগুলো দেখে নিজেকে একটু একটু করে প্রফেশনাল তৈরি করুন। মনে রাখবেন কোন একটা কনটেন্ট থেকে অথবা একটি ভিডিও থেকে সম্পূর্ণ গাইড পাবেন না। সেখানে কিছু ধারনা পাবেন এবং নিজেকে সেগুলো ভালো করে রিচার্জ করে নতুন কিছু আবিষ্কার করতে হবে।

তাই বর্তমানে ওয়েবসাইট ডেভেলপের কাজ খুবই চাহিদা মূলক। তাই আপনি যদি ওয়েবসাইট ডেভেলপের কাজ সম্পূর্ণভাবে শিখতে পারেন তাহলে মার্কেটে আপনার ভ্যালু খুবই বেশি হবে। তার সাথে সাথে আপনি প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।

৪. Apps Developer

এখনকার সময় মানুষ ওয়েবসাইট তৈরি করলেও তারা ভবিষ্যতে অ্যাপস এ কনভার্ট হবে। কারণ বর্তমানে ওয়েবসাইটের মধ্য সার্চ করার থেকে এটি অ্যাপ পেলে সেটি বেশি ব্যবহার করে। তাই মার্কেটে অ্যাপস ডেভেলপের কাজ খুবই ডিমান্ড এর কাজ। কারণ বর্তমানে খুবই অল্প পরিমান অ্যাপস ডেভলপার রয়েছে তাই তাদের চাহিদা ও অনেক বেশি। সবচেয়ে কষ্টদায়ক কাজ হচ্ছে app developer.

কারণ অ্যাপস ডেভেলপার শিখতে হলে প্রচুর পরিমাণে জাবা স্ক্রিপ্ট শিখতে হবে। তাই এই কাজটা যতটা কঠিন ততো এর ডিমান্ড বেশি। তাই আগে যদি ভবিষ্যতে একটি ক্যারিয়ার গঠন করতে চান তাহলে অ্যাপস ডেভেলপের কাজ শিখতে পারেন। কারণ এই কাজের শেষ কখনই হবে না। এই কাজটা শিখতে হলে অবশ্যই পেইড কোর্স করতে হয়। কিন্তু আপনি যদি চেষ্টা করেন তাহলে ফ্রিতেই google এবং ইউটিউবের সহায়তা নিয়ে। সেখান থেকে আস্তে আস্তে শিখতে পারবেন।

৫. Cyber Security

বর্তমানে বড় বড় কোম্পানি হোক বা ছোট কোম্পানি অথবা নিজস্ব কোন একটি অ্যাকাউন্ট অনলাইন রয়েছে সেটার কিন্তু সাইবার সিকিউরিটির প্রয়োজন রয়েছে। কারণ যেকোনো সময় হ্যাক হয়ে যেতে পারে। তাই সাইবাস সিকিউরিটির সব সময়ই প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এই কাজটা কেন জানি মানুষ প্রফেশনাল ভাবে নিচ্ছে না। কিন্তু মার্কেটে ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্য সাইবার সিকিউরিটির খুবই ডিমান্ড রয়েছে।

তাই ভবিষ্যতে যত দিন যাবে ততই সাইবার সিকিউরিটি এর উপর নির্ভর করবে। তাই আপনি যদি একজন সাইবার সিকিউরিটি হিসেবে দক্ষ তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার কাজের শেষ নাই। সাইবার সিকিউরিটি মানে অন্যের কিছু চুরি করে আনা নয়। অন্যের কোন কিছু হ্যাক হয়ে গেলে সেটা ফিরিয়ে আনা। অথবা বড় বড় কোম্পানির সাইবার সিকিউরিটি হিসেবে কাজ করা। এই কাজের ভ্যালু অনেক বেশি। তাই আপনি যদি এই কাজটা শিখতে পারেন তাহলে আপনি মোটা অংকের একটি টাকা আয় করতে পারবেন।

টেলিটক নিয়ে আসছে ই-সিম – টেলিটক ই-সিম ব্যাবহার পদ্ধতি

তো বন্ধুরা ২০২৪ সালের সেরা পাঁচটি স্কিল ফ্রিল্যান্সিংদের জন্য বললাম। এই পাঁচটির মধ্যে আপনি যদি একটি স্কিল প্রফেশনাল ভাবে তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে পারবেন। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্য বেশ কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো ডিমান্ড কমে গেছে। কিন্তু আপনি যদি এই আমার দেওয়া পাঁচটি স্কিলের মধ্য একটি স্কিল তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার কাজ কখনই শেষ হবে না। বরং আপনি প্রতিনিয়ত বেশি কাজ পাবেন।

সর্বশেষে

আপনি যদি এই ধরনের টিপস পেতে চান তাহলে এখনই আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

Post Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *