ইতিহাসের প্রথম টাই ম্যাচের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ, এরপর খেলেছে প্রথম সুপার ওভারও। কিন্তু সেই সুপার ওভার নিয়েই এখন তুমুল আলোচনা বিশেষ করে কেন ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয়নি রিশাদ হোসেনকে? সাম্প্রতিক দুই ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা এই লেগস্পিনারকে পাশে রেখে দল ভরসা রেখেছিল সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান ও শান্তর ওপর। ফলাফল সুপার ওভারে মাত্র ৯ রান ।
ম্যাচের মূল পর্বে বাংলাদেশের শেষ বলের ড্রামায় টাইয়ের পর উত্তেজনা ছড়ায় সুপার ওভারে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান ও শান্ত-তিন ব্যাটার মিলেও ৯ বলে তুলতে পারেন মাত্র ৯ রান।
অন্যদিকে, মিরপুরের মন্থর উইকেটে যিনি ঘণ্টা দুয়েক আগেই ১৪ বলে ৩৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন, সেই রিশাদ হোসেনকে মাঠে নামানোই হয়নি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠতেই সৌম্য সরকার বলেন,
কোচ আর অধিনায়ক প্ল্যান করেছিল। সুপার ওভারে কাদের পাঠানো হবে, সেটা তাদের কল ছিল।”
তবে কিছুটা পরে তিনি ব্যাখ্যা দেন ম্যাচ-আপের প্রসঙ্গে-
লেফট আর্ম বোলার বল করছিল, তাই একজন লেফট হ্যান্ড ব্যাটার যাওয়াই ভালো ছিল।
অর্থাৎ, দল মূলত বোলার ও ব্যাটারের দিক বিবেচনায় (match-up) পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটি কোনো কাজেই আসেনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সুপার ওভারের সময় “ম্যাচ আপ” তত্ত্বে অতিরিক্ত নির্ভর করেই ভুল করেছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।
কারণ, মিরপুরের ধীর উইকেটে রিশাদ বারবার প্রমাণ করেছেন স্পিনারদের বিপক্ষে বড় শট খেলতে তার বিশেষ দক্ষতা আছে। আকিল হোসেইনের বলেই আগের ইনিংসে এক ওভারে করেছিলেন ১৬ রান (একটি ছক্কা ও একটি চারসহ)।
তবু সেই আকিলের বিপক্ষেই সুপার ওভারে তাকে মাঠে না পাঠানো ছিল অনেকের চোখে “ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত”।
ম্যাচ | বল | রান | স্ট্রাইক রেট | ছক্কা | চার |
---|---|---|---|---|---|
১ম ম্যাচ | ১৩ | ২৬ | ২০০.০০ | ২ | ১ |
২য় ম্যাচ | ১৪ | ৩৯ | ২৭৮.৫৭ | ৩ | ২ |
আরো পড়ুন : নাঈম শেখের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ক্ষুব্ধ কোচ সিমন্স
এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে, ছোট লক্ষ্যেও রিশাদই ছিলেন সবচেয়ে কার্যকর বিকল্প।
ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত টাই থেকে পরাজয়ে গড়াল মূলত কৌশলগত ভুলে।
শেষ বলে সোহানের হাত ফসকে পড়া ক্যাচ যেমন ম্যাচে প্রভাব ফেলেছিল,
তেমনি সুপার ওভারে রিশাদকে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত ম্যাচের গতিপথই বদলে দেয়।