সিরিয়ার হোমস এবং লাতাকিয়ায় ইসরাইলি বিমান হামলা সরাসরি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। স্থানীয়রা বিস্ফোরণের শব্দ ও অ্যাম্বুলেন্সের গতি লক্ষ্য করেছেন। যদিও প্রাথমিকভাবে হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি, সিরিয়ার সরকার এ ধরনের হামলাকে তাদের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আক্রমণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
নিউজ: সিরিয়ার হোমস এবং উপকূলীয় লাতাকিয়ার কাছে একাধিক স্থানে ইসরাইলি বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ভোরে এই হামলার খবর প্রকাশ করেছে সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা। সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা যায়, এই হামলা সিরিয়ার নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য সরাসরি হুমকি স্বরূপ। সিরিয়ার সরকার ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই আক্রমণের অবিলম্বে সমালোচনা ও প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছে।
হোমসে ইসরাইলি বিমানগুলো একটি সিরিয়ান বিমান ঘাঁটিতে আক্রমণ চালায়। স্থানীয়দের মতে, বিস্ফোরণের তীব্র শব্দ শোনা গেছে। তবে প্রাথমিকভাবে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
লাতাকিয়ায় ইসরাইলি বিমান একটি সামরিক ব্যারাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। হামলার পর এলাকার অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে এখানেও প্রাথমিকভাবে হতাহতের তথ্য নেই।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরাইলের এই অব্যাহত আক্রমণ দেশের ভূখণ্ডের ওপর ধারাবাহিক ও উস্কানিমূলক পদক্ষেপের অংশ। মন্ত্রণালয় দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সকল ধরনের হামলা প্রত্যাখ্যান করছে।
আরো দেখুন: দুর্গাপূজায় ভারতে রপ্তানি হবে ১২০০ টন ইলিশ
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, এই বছরের মধ্যে ইসরাইল প্রায় ১০০টি হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে ৮৬টি আকাশপথ এবং ১১টি স্থলবাহিনীর হামলা। এ কারণে দেশের প্রায় ১৩৫টি স্থান ধ্বংস হয়েছে এবং ৬১ জন নিহত হয়েছেন।
সিরিয়ার সরকার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই ধরনের হামলা বন্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।