সকাল ১০:২৫ মিনিটে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম আদালতে হাজির হন। পলক ও জাহাঙ্গীর আলম উভয়ের হাতকড়া পরা ছিল। পুলিশ কনস্টেবলরা তাদের হাতকড়া খুলে দেওয়া পর দু’জনেই লোহার রেলিং ধরে কাঠগড়ার সামনে দাঁড়ান।
পলক তার আইনজীবীদের কাছে জানান, তার কাছে থাকা সমস্ত কাগজপত্র আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হোক। তিনি উল্লেখ করেন, ৫ আগস্টের পরে সেনাবাহিনীর হেফাজতে থাকার সময় তার বাসা থেকে লাইসেন্সকৃত দুটি অস্ত্র লুট হয়েছে। পরে পুলিশ তাকে হস্তান্তর করলে তার কাছে থাকা মালামালের তালিকা তৈরি করা হয়। পলক আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, তার নামে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র যদি ভুল হাতে চলে যায় বা অন্যায়ভাবে ব্যবহার করা হয়, তার দায় তার ওপরই পড়বে।
আরো পড়ুন:
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আজ ঢাকায়
অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম আদালতে দাবি করেন, ২০০৪ সালের নির্বাচনের সময় তিনি নির্বাচন কমিশনের সচিব হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন এবং ওই নির্বাচনে কোনো অনিয়মের খবর বা অভিযোগ ছিল না। তিনি মামলার ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন।
আদালত উভয় মামলার শুনানি শেষে জাহাঙ্গীর আলমকে শেরে বাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দেন। এছাড়াও, কাফের থানায় দায়ের করা হত্যা চেষ্টার মামলায় জুনায়েদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দেওয়া হয়।