বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পুনর্নির্ধারণে সরকার নতুন কমিটি গঠন করেছে। ‘সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি, ২০২৫’ শিরোনামে জারি করা এই প্রজ্ঞাপন সদস্যদের আর্থিক ও পেনশন সুবিধায় বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
কমিটি গঠনের ঘোষণা
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. ফয়জুর রহমানকে প্রধান করে ৯ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সদস্যরা হলেন:
- মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ
- রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জহির উদ্দিন
- এয়ার ভাইস মার্শাল রুসাদ দীন আছাদ
- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং চ ছা মং
- এয়ার কমডোর জামিল উদ্দিন আহম্মদ
- প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিলিয়া শারমিন
- ক্যাপ্টেন মো. তৌহিদ সাগর
- সদস্যসচিব: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিশাদুল ইসলাম খান
কাজের পরিধি ও দায়িত্ব
কমিটিকে আগামী ৩১ অক্টোবর, ২০২৫-এর মধ্যে তাদের সুপারিশ জমা দিতে বলা হয়েছে।
তাদের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে:
- বেতন-ভাতা, অবসর সুবিধা ও পারিবারিক পেনশন পুনর্নির্ধারণ
- বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত, উৎসব ভাতা যৌক্তিকীকরণ
- বিদ্যমান বেতনক্রমের অসংগতি দূরীকরণ
- জীবনযাত্রার ব্যয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য নিরসন বিবেচনা
- সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিশেষ দায়িত্ব প্রতিফলন
জাতীয় বেতন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয়
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই কমিটি জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫-এর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। প্রয়োজনে তিন বাহিনীর জন্য পৃথক সাব-কমিটি গঠন এবং বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি বা সংস্থার সহায়তা নেওয়ারও সুযোগ থাকবে।
কেন এই পদক্ষেপ জরুরি?
বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনী শুধু দেশের প্রতিরক্ষা নয়, দুর্যোগ মোকাবিলা ও শান্তিরক্ষা মিশনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাদের দায়িত্ব ও ঝুঁকি বিবেচনায় দীর্ঘদিন ধরেই আধুনিক জীবনযাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বেতন কাঠামোর দাবি ছিল। নতুন কমিটি সেই প্রয়োজন পূরণের দিকেই অগ্রসর হয়েছে।
আরো দেখুন: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ইসির নতুন ইউটিউব চ্যানেল উদ্বোধন
এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আর্থিক নিরাপত্তা বাড়বে, কর্মপ্রেরণা বাড়বে এবং পেশাদারিত্ব আরও দৃঢ় হবে। সাধারণ মানুষের জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল সশস্ত্র বাহিনী দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত।