একটি ব্যাগের ভেতর লুকানো ছোট ছোট প্যাকেট। বাইরে থেকে সাধারণ ফয়েল পেপারে মোড়ানো মনে হলেও ভেতরে ছিল ভয়াবহ এক সত্য-কোকেন। রোববার গভীর রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমনই এক নাটকীয় ঘটনায় ধরা পড়েছেন গায়েনার এক নারী যাত্রী। উদ্ধার হওয়া মাদকের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১৩০ কোটি টাকা।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, তাঁদের কাছে আগেই গোপন খবর পৌঁছায়—দোহা থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজ ঢাকায় নামবে, আর এতে থাকা এক যাত্রী মাদক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। সেই সূত্র ধরে গোয়েন্দারা মধ্যরাতে সতর্ক অবস্থানে থাকেন বিমানবন্দরে। অবশেষে রাত আড়াইটার দিকে উড়োজাহাজটি অবতরণ করলে শুরু হয় তল্লাশি।
গোয়েন্দারা যাত্রীর পরিচয় শনাক্ত করে ব্যাগ স্ক্যানিং করেন। স্ক্যানিং শেষে দেখা যায়, ব্যাগের ভেতরে রয়েছে মোট ২২টি ডিম্বাকৃতির প্যাকেট, যা ফয়েল পেপারে মোড়ানো। সন্দেহ ঘনীভূত হলে ব্যাগ খোলা হয় এবং বেরিয়ে আসে সাড়ে ৮ কেজি কোকেন।
আরো পড়ুন:
একাত্তরের গণহত্যায় ক্ষমা নয়, ‘হৃদয় পরিষ্কারের হাদিস’ শুনালেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
আটক হওয়া যাত্রীর নাম এম এস কারেন পেতুলা স্টাফেল। শুল্ক গোয়েন্দারা জানান, উদ্ধারকৃত মাদক বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে পরীক্ষা করা হয় এবং পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরীক্ষায়ও নিশ্চিত হওয়া যায়, এগুলো কোকেন। বর্তমানে তাঁকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিন নতুন কৌশলে মাদক দেশে প্রবেশের চেষ্টা হলেও গোয়েন্দাদের সতর্ক নজরদারিতে অনেক চক্র ধরা পড়ছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে এই অভিযান প্রমাণ করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটা সতর্ক ও দৃঢ়ভাবে কাজ করছে। তবে একইসঙ্গে এটি একটি বড় প্রশ্নও সামনে আনে—মাদক চোরাচালানকারীরা কীভাবে এতদূর আসতে পারে এবং তাদের নেটওয়ার্ক কতটা বিস্তৃত।
ডিসক্লেমার: এই প্রতিবেদনটি বিভিন্ন অনলাইন সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে প্রকাশিত তথ্য কেবলমাত্র পাঠকদের অবগতির উদ্দেশ্যে প্রদান করা হলো।