জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তাবিত বিকল্প প্রতীক নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। দলটির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, “ইসির সিদ্ধান্ত স্বেচ্ছাচারী ও চাপিয়ে দেওয়া। নির্বাচন কমিশন এখন রিমোট কন্ট্রোলে চলছে, তারা একেবারেই স্পাইনলেস (মেরুদণ্ডহীন)।”
শাপলা প্রতীকে অনড় এনসিপি
রোববার সকালে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ইসি ভবনে যান এনসিপি নেতারা। সেখানে তারা দলীয় প্রতীক ‘শাপলা’ বরাদ্দের দাবিতে অনড় অবস্থান জানিয়ে ইসিকে একটি লিখিত জবাবও দিয়েছেন।
দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, শাপলা প্রতীকই এনসিপির রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রতীক, এটি পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। বিকল্প হিসেবে ‘সাদা শাপলা’ ও ‘লাল শাপলা’ প্রস্তাব করা হলেও ইসি তা বিবেচনা না করে অন্য প্রতীক চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নেতারা।
“নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছে”
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আমরা দেখেছি নির্বাচন কমিশন একটি স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তারা যেন জনগণের নয়, অন্য কারও নির্দেশে চলছে। রাজা-বাদশাহদের মতো আচরণ করছে ইসি। বর্তমানে ইসিতে প্রাতিষ্ঠানিক এক ধরনের অটোক্রেসি তৈরি হয়েছে।”
আরো পড়ুন: ১০০+ শুভ দীপাবলি ২০২৫ শুভেচ্ছা বার্তা
তিনি আরও বলেন, “বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতীক বরাদ্দের কোনো নীতিমালা নেই। এটা এমন এক পরিস্থিতি, যেখানে নিয়মের পরিবর্তে ব্যক্তিগত ইচ্ছা কাজ করছে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের যোগ্যতা হারিয়েছে।”
ইসিকে দেওয়া এনসিপির লিখিত জবাব
এনসিপি তাদের লিখিত জবাবে জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন এখনো পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করেনি। দলটি বারবার ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দের আবেদন করলেও ইসি সেটি গ্রহণ না করে অন্য প্রতীক চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে, যা দলীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী।
চিঠিতে আরও বলা হয়, “মনবযািন কমিশন যদি সত্যিই নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে চায়, তবে আইন অনুযায়ী দলের প্রস্তাবিত প্রতীক বরাদ্দ দিতে হবে। অন্যথায় জনগণের কাছে তাদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
“শাপলা ছাড়া কোনো প্রতীক গ্রহণযোগ্য নয়”
এনসিপি স্পষ্ট জানিয়েছে, শাপলা প্রতীক ছাড়া কোনো প্রতীক তারা নেবে না। দলটির আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম বলেন, “শাপলা আমাদের রাজনৈতিক আদর্শের প্রতীক। জনগণের ভালোবাসা ও বিশ্বাসের প্রতীক এটি। নির্বাচন কমিশনের আরোপিত প্রতীক আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।”
দলটি আরও জানায়, ইসির এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তারা গণতান্ত্রিক দলগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করছে এবং জনগণের আস্থা হারাচ্ছে। এনসিপি তাদের দাবির প্রতি অনড় থাকবে বলে ঘোষণা দেয়।