বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, শাপলা চত্বরের শহীদদের স্বীকৃতি এবং ১৯৭১ সালের জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয়। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ১৯৭২ সালের বাহাত্তরের সংবিধান বাংলার মাটিতে চলতে দেওয়া হবে না।
শুক্রবার রাতে ঢাকার ধুপাখোলা মাঠে বাংলাদেশ জাতীয় সিরাত কমিটি আয়োজিত সিরাতুন্নবী মহাসম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন। মঞ্চে তার পাশের চেয়ারে ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
নির্বাচনের আগে শাপলা চত্বর ও জুলাই সনদ
মামুনুল হক বলেন, “নির্বাচনফির্বাচন অনেক পরের কাহিনি, কিসের নির্বাচন? ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের শহীদদের রক্তকে প্রথম স্বীকার করতে হবে। ১৯৭১ সালের জুলাই যোদ্ধারা যে জন্য রক্ত দিয়েছিলেন, সেই আধিপত্যবাদের উৎখাত নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই সনদ বাংলার মাটিতে কার্যকর করতে হবে। বাহাত্তরের সংবিধান বাংলার মাটিতে চলবে না, চলতে দেওয়া হবে না।”
আরো পড়ুন:
নুরের হামলার কারণে জাতীয় পার্টি কি নিষিদ্ধ হবে? জাহেদ উর রহমানের সতর্কবার্তা
তিনি আরও বলেন, “চব্বিশের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করে যারা আবার বাহাত্তরের বাকশালী ব্যবস্থার দিকে ফিরতে চান, তারা যদি শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম মুখে উচ্চারণ করেন, তাহলে তাদের আরেকবার ওজু করা দরকার। আমরা জীবন দেব, রক্ত দেব, রক্তের সাগর বইবে, কিন্তু চব্বিশের বিপ্লব ব্যর্থ হতে দেবো না।”
রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ও ভাস্কর্য বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি
মামুনুল হক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “জুলাই যোদ্ধাদের নামে বা আমাদের মহান শহীদদের জন্য রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ভাস্কর্য স্থাপনের চেষ্টা কেউ করবে না। যদি কেউ আমাদের শহীদদের নামে কোনো ভাস্কর্য স্থাপন করতে চায়, তা প্রতিহত করা হবে, ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। আদর্শের জায়গায় কোনো কম্প্রোমাইজ করার সুযোগ নেই।”
তিনি বলেন, “বাহাত্তরের চেতনাকেই প্রতিনিধিত্ব করে বাহাত্তরের সংবিধান। এই সংবিধানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধকে হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীনতা ভারতের চরণতলে বলি দেওয়া হয়েছে। আগামীর বাংলাদেশ বাহাত্তরের চেতনার মাধ্যমে একাত্তরের চেতনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। বাহাত্তরের ভারতীয় আধিপত্যবাদের চেতনা বাংলাদেশে আর চলতে দেওয়া যাবে না।”