রেমাল ঘূর্ণিঝড় : রেমাল ঘূর্ণিঝড় অবস্থান সতর্ক সংকেত | cyclone remal update
বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়েছে। এটি আরো ঘনিভূত হয়ে উত্তর দিকে এগিয়ে আসছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরের উপর সতর্ক সংকেত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল
সাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্ন চাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ২৫ মে সন্ধ্যা ছয়টায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়েছে। এ জন্য মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ছয়টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ৪০৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্ধর থেকে ৪৫৫কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড়টি কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ প্রতিবেগ ঘণ্টায় ৬২কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া বিদ্যরা জানায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল আরো শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ২৬ মে সকাল আর ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত আনা শুরু করতে পারে ২৬ মে বিকাল ০৫:৩০ মিনিট থেকে ২৭ মে রাত ২:৩০ মিনিটের মধ্যে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ফিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অধীরবর্তী দ্বীপ ও চক্রবর্তীর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সারাদেশে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হবে। ২৪ ঘণ্টায় ৩০০ মিনি.মি. সম্ভাবনা রয়েছে এতে ভূমিদসের সতর্কবার্তাও দেওয়া হবে।
এদিকে উপকূলের খুলনা যশোর সাতক্ষীরা পটুয়াখালী নোয়াখালী ভোলা বরিশাল এসব জেলায় রেমালের সরাসরি প্রভাব থাকবে এছাড়া কুষ্টিয়া ফেনি কুমিল্লা লক্ষ্মীপুর চট্টগ্রাম কক্সবাজার এসব জায়গায় সরাসরি রেমালের প্রভাব থাকবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলাস সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয় থাকতে বলা হয়েছে।