ম্যানচেস্টারের মাঠে ইতিহাস গড়ল ইংল্যান্ড। মাত্র ২০ ওভারে তুলল অবিশ্বাস্য ৩০৪ রান, যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টেস্ট খেলুড়ে দলের মধ্যে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে যায় মাত্র ১৫৮ রানে। ফল ইংল্যান্ডের জয় ১৪৬ রানে। তিন ম্যাচ সিরিজ এখন ১-১ এ সমতায়।
সল্টের ব্যাটে ঝড়
ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ঝড়ের নায়ক ফিল সল্ট। ৮ ছক্কা ও ১৫ চারে সাজানো ৬০ বলে ১৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি। শুধু দলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসই নয়, ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন সল্ট। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এটি তাঁর চতুর্থ সেঞ্চুরি।
তাকে দুর্দান্ত সঙ্গ দিয়েছেন জস বাটলার। ৩০ বলে ৮৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে মেরেছেন ৭ ছক্কা ও ৮ চার। স্ট্রাইক রেট ছিল ২৭৬.৬৬। শেষ দিকে ২১ বলে অপরাজিত ৪১ রান করেন অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক।
এক রাতেই বিধ্বস্ত প্রোটিয়া বোলিং
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের জন্য ম্যাচটি রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। কাগিসো রাবাদা ৪ ওভারে দেন ৭০ রান, লিজাদ উইলিয়ামস ৬২ এবং মার্কো ইয়ানসেন ৬০। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে খরুচে বোলিংয়ের তালিকায় সবাই জায়গা করে নিয়েছেন শীর্ষ ছয়ে। শুধু তাই নয়, ৮ ওয়াইড ও ৫ নো-বলে বাড়তি ১৩ রান উপহার দিয়েছেন প্রোটিয়া বোলাররা।
আরো পড়ুন: ইলন মাস্কের সমালোচনায় মাইক্রোসফট কর্মীরা, নাদেলার কাছে জবাব চাইলেন মাস্ক
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং বিপর্যয়
৩০৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ঝড়ো হলেও (৩.৩ ওভারে ৫০ রান) গতি ধরে রাখতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক এইডেন মার্করাম করেছেন ২০ বলে ৪১, বিয়ন ফরচুন ১৬ বলে ৩২। বাকিরা ব্যর্থ। শেষ পর্যন্ত ১৬.১ ওভারে অলআউট হয় ১৫৮ রানে। জফরা আর্চার নিয়েছেন ৩ উইকেট।
ম্যাচসেরা ফিল সল্ট বলেন, “ক্রিজে সময়টা উপভোগ করেছি। চেষ্টা করেছি প্রভাব ফেলতে। আমি চাই যত গভীর পর্যন্ত সম্ভব ভালো স্ট্রাইক রেটে খেলতে। লক্ষ্য বিশ্বের সেরাদের একজন হওয়া।”
সংক্ষিপ্ত স্কোরইংল্যান্ড: ৩০৪/২ (সল্ট ১৪১*, বাটলার ৮৩, ব্রুক ৪১*)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৫৮ (মার্করাম ৪১, ফরচুন ৩২; আর্চার ৩/২৫)
ফল: ইংল্যান্ড জয়ী ১৪৬ রানে।
সিরিজ অবস্থা: ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা।