ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসনে প্রার্থী হতে চাওয়া বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে ঘিরে নির্বাচন কমিশনের গণশুনানিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ধাক্কাধাক্কির অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং দলীয় অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দায়ারোপ করেছেন রাজনৈতিক নেতারা। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম হয়েছে।
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রার্থী হতে গণশুনানিতে অংশ নেন। সেখানে নির্বাচন কমিশনের উপস্থিতিতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে যে, তাকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অনেকেই বলছেন, সরাসরি ধাক্কার প্রমাণ মেলেনি।
ঘটনার পর রুমিন ফারহানা গণমাধ্যমের সামনে অভিযোগ করেন যে, তাকে শারীরিকভাবে হয়রানির চেষ্টা করা হয়েছে। তবে পাল্টা অভিযোগে বলা হয়, আসলে তিনি নিজেই আঙুল তুলে ইঙ্গিত করেছিলেন এবং সেই নির্দেশেই এক পর্যায়ে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আলাউদ্দিন দাবি করেছেন, তাকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়।
এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষ ভিডিও ফুটেজ সামনে এনে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করছে। কেউ বলছে রুমিন ফারহানা ইচ্ছাকৃতভাবে পরিস্থিতিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছেন, আবার অন্যরা মনে করছেন একজন নারী রাজনীতিককে লক্ষ্য করে এ ধরনের আচরণ অগ্রহণযোগ্য। এই দ্বিমতকে কেন্দ্র করেই রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনা তীব্র হয়েছে। কেউ কেউ রুমিন ফারহানার বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, আবার কেউ নারী রাজনীতিকদের প্রতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে একজন নারী নেত্রীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এনসিপির অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আরো পড়ুন: কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলন: প্রত্যাবাসন ইস্যুতে নতুন সমাধানের খোঁজ
সব মিলিয়ে গণশুনানিতে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা, রাজনৈতিক সহনশীলতা এবং নারী রাজনীতিকদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচনী পরিবেশে যদি এই ধরনের সংঘাত অব্যাহত থাকে, তবে তা আস্থা ও শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।