রাশিয়ার তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আবারও উত্তেজনা ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বুধবার মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানালেন, ক্রেমলিনের আয়ের মূল উৎসে আঘাত হানতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এখনই সময় যুদ্ধ থামানোর এবং শান্তির পথে ফেরার। এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছেন, যা সংকটকে আরও গভীর করে তুলেছে।
রাশিয়ার তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বুধবার (২৩ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন, রাশিয়ার দুই প্রধান তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েল–এর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বেসেন্ট বলেন, “এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য ক্রেমলিনের রাজস্বের প্রধান উৎসকে টার্গেট করা। যুদ্ধ বন্ধের এখনই উপযুক্ত সময়।” তিনি রাশিয়াকে শান্তি আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান এবং পশ্চিমা মিত্রদের এই পদক্ষেপে সমর্থন করার আহ্বানও করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞা শুধু রাশিয়ার জ্বালানি খাতেই নয়, বৈশ্বিক তেলের বাজারেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে ইউরোপের কয়েকটি দেশ রুশ তেলের ওপর নির্ভরশীল থাকায় এই পদক্ষেপ তাদের জ্বালানি সরবরাহে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, “বর্তমানে কোনো ইতিবাচক ফলাফল সম্ভব নয়। তবে পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি উভয়েই শান্তি চান। এখনই সময় এই যুদ্ধের অবসান ঘটানোর।
আরো পড়ুন : নেতানিয়াহু বরখাস্ত করলেন ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে
রুশ ও ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের ৪৩ হাজারের বেশি সেনা নিহত এবং প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার আহত হয়েছে। রাশিয়ার ক্ষতির পরিমাণ আরও ভয়াবহ প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার নিহত এবং এক মিলিয়নেরও বেশি হতাহত ও নিখোঁজ।
বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দেবে এবং যুদ্ধবিরতির চাপ আরও বাড়াবে।