Tuesday, October 14, 2025
Homeরাতে কড্ডা নদীতে ফেলে দেওয়া হয় হৃদয়ের মরদেহ: চিফ প্রসিকিউটর

রাতে কড্ডা নদীতে ফেলে দেওয়া হয় হৃদয়ের মরদেহ: চিফ প্রসিকিউটর

জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্র মো. হৃদয়কে হত্যা করে তাঁর মরদেহ রাতে কড্ডা নদীতে ফেলে দেওয়া হয় এমন তথ্য জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১–এ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ তথ্য দেন তিনি।

আরো পড়ুন:প্রতি চারজন নারীর মধ্যে তিনজন স্বামীর সহিংসতার শিকার

তাজুল ইসলাম বলেন,

হৃদয়কে গুলি করার পর তাঁর মরদেহ গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাতে ব্রিজের ওপর থেকে কড্ডা নদীর মাঝখানে ফেলে দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত স্বীকারোক্তি আছে। মরদেহ উদ্ধারের জন্য ডুবুরি নামানো হয়েছিল, তবে এক বছর পর হওয়ায় ও স্রোত থাকার কারণে কিছুই পাওয়া যায়নি।

ভিডিওতে দেখা যায় হত্যার দৃশ্য

আজ ট্রাইব্যুনালে হৃদয় হত্যার একটি ভিডিও দেখানো হয়। সেখানে দেখা যায়, পুলিশের কয়েকজন সদস্য হৃদয়কে রাস্তার ওপর আটক করেছেন। তাঁদের মধ্যে এক পুলিশ সদস্য হৃদয়কে গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর পুলিশ সদস্যরা তাঁকে টেনে নিয়ে যান।

প্রসিকিউটর তাজুল জানান, গুলির দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল মো. আকরাম হোসেন (২২)–কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

নিহত হৃদয়ের পরিচয়

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার আলমগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে হৃদয় কলেজে পড়ার পাশাপাশি গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে থেকে অটোরিকশা চালাতেন

চলমান যুক্তিতর্ক

গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক চলছে। আদালতে আজও প্রসিকিউশনের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ নিউজ