রাজনৈতিক দলের নজর এখন জুলাই সনদ স্বাক্ষরের দিকে। বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সনদে স্বাক্ষরের জন্য নিজেদের প্রতিনিধি ঠিক করেছে। তবে গণভোটের সময়সূচি এবং সনদের চূড়ান্ত খসড়া এখনও হাতে আসেনি। দলগুলো জানিয়েছে, সনদ হাতে পাওয়ার পরই তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। লক্ষ্য একটাই জুলাই সনদ যেন রাজনৈতিক ঐকমত্যের প্রতীক হয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের নতুন অধ্যায় শুরু করে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়া বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি সনদে স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত। বিএনপির পক্ষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ স্বাক্ষর করবেন। বিএনপি মনে করে জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট করলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও বজায় থাকবে।
জামায়াতের পক্ষ থেকে স্বাক্ষরের জন্য ঠিক করা হয়েছে নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তবে তারা সনদে স্বাক্ষর করবেন চূড়ান্ত খসড়া দেখে। দলটি দাবি করেছে, সংখ্যানুপাতিক (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিকে সনদে অন্তর্ভুক্তির বিষয় নিশ্চিত করতে চায়।
এনসিপিও নিজের প্রতিনিধিরা ঠিক করেছে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেছেন, চূড়ান্ত খসড়া হাতে পাওয়ার পরই স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর পাশাপাশি নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন ও এবি পার্টিও সনদে স্বাক্ষরের প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা জানিয়েছেন, সনদ হাতে আসার পরই চূড়ান্ত পদক্ষেপ জানা যাবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে, ১৫ অক্টোবর দক্ষিণ প্লাজায় ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠানটির নেতৃত্ব দেবেন।
আরো পড়ুন:ট্রাম্পকে ফোনে সম্মান জানালেন নোবেলজয়ী মাচাদো:এই পুরস্কার আপনারই প্রাপ্য।
ব্রিফিংয়ে নেতারা জানান, গণভোটের সময় ও পদ্ধতি চূড়ান্ত না হলে জুলাই সনদে ঐকমত্য কতটা দৃঢ় হবে, সেটাই এখন রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বিএনপি ও মিত্ররা জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোটের পক্ষে, অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপি নির্বাচনের আগে গণভোটের পক্ষে।

