সিনেমার পোস্টার প্রকাশের পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়—এটি কি ঢাকার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনির বায়োপিক? কিন্তু বাস্তবে ছবিটির সঙ্গে সেই পরীমনির কোনো সম্পর্ক নেই। বরং ‘পরীমনি’ হলো এক ভয়াবহ অথচ বাস্তবঘন গল্প, যেখানে একটি কিশোরীর জীবনের অন্ধকার, ভয়, অপরাধ আর ভালোবাসা একসাথে মিশে গেছে। এই সিনেমা শুধু ভয়ের আবহই নয়, সমাজের গভীর বাস্তবতাও সামনে আনবে।
বিনোদন নিউজ প্রতিবেদন: সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎ করেই আলোচনায় উঠে এসেছে ‘পরীমনি’ নামের একটি সিনেমা। পোস্টারে দেখা যাচ্ছে আলো–আঁধারির আবহে দাঁড়িয়ে থাকা এক কিশোরীর ছায়া, যার চারপাশে রহস্যময় পরিবেশ। লাল কালিতে লেখা সিনেমার নামই দর্শকদের কৌতূহল আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকেই ভেবে বসেন, হয়তো এটি ঢাকাই তারকা পরীমনির জীবনী অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে।
তবে বিষয়টি একেবারেই অন্যরকম। সিনেমাটি মূলত পশ্চিমবঙ্গের, আর এর সঙ্গে ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনির কোনো সম্পর্ক নেই। ছবিটির পরিচালক সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী ও সৌভিক দে জানিয়েছেন, ‘পরীমনি’ আসলে এক অতিপ্রাকৃতিক আবহে নির্মিত কাহিনি, যেখানে লুকিয়ে আছে সমাজের বাস্তবতা ও মানসিক অস্থিরতার প্রতিচ্ছবি।
এই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছে ‘পরি’ নামের এক কিশোরী। তার জীবনে যেমন রয়েছে সাধারণ আনন্দ-দুঃখ, তেমনি রয়েছে ভয়ের ছায়া, ভালোবাসার টানাপোড়েন এবং অতীতের অন্ধকার অধ্যায়। সবকিছু মিলিয়ে এটি হয়ে উঠছে এক ভিন্নধর্মী কাহিনি, যেখানে ভয় শুধু আতঙ্ক নয়, বরং সমাজের গভীরে লুকিয়ে থাকা সত্যকেও প্রকাশ করবে।

অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী সিনেমাটিতে ‘পরি’র মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন। এছাড়াও রয়েছেন রজতাভ দত্ত, দেবরাজ ভট্টাচার্য ও প্রজ্ঞা গোস্বামীসহ বেশ কয়েকজন পরিচিত শিল্পী। ছবিটি দেওয়ালি উৎসবেই মুক্তি পেতে চলেছে, যা কলকাতার দর্শকদের জন্য এক বড় চমক হতে পারে।
আপনার জন্য: সাহসী প্রেম আর নাটকীয়তায় ভরপুর ওয়েব সিরিজ: Sursuri-Li
পরিচালক সৌভিক দে সংবাদমাধ্যমে বলেন, প্রথমে ‘পরীমনি’কে শুধুমাত্র একটি হরর কনসেপ্ট ভেবেছিলেন। কিন্তু গল্প এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারেন, এটি শুধুই ভয়ের কাহিনি নয়; বরং সমাজের প্রতিচ্ছবি। দর্শক এখানে নিজেদের জীবনের অজানা ভয়ের সঙ্গে মিল খুঁজে পাবেন, যা এই সিনেমাকে আরও আলাদা করে তুলবে।