রক্তশূন্যতার লক্ষণ ও প্রতিকার

রক্তশূন্যতার লক্ষণ ও প্রতিকার – রক্তশূন্যতা দূর করার উপায়

রক্তশূন্যতা কি?

আমাদের রক্তের গ্রুপে লাল রক্ত কনিকা বা হিমোগ্লোবিন কমে যায় তখন তাকে আমরা রক্তশূন্যতা বলে থাকি। হিমোগ্লোবিনের জীন গত রোগ যেমন, থ্যালেসেমিয়াসহ আরো অসংখ্য রোগের সৃষ্টি হতে পারে। সাধারনত আয়রনে কম থাকার কারণে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

সারা বিশ্বে সব চেয়ে বেশি আয়রনে ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। যখন হিমোগ্লোবিন ১০মিঃলি গ্রাম বা তার চেয়ে নিচে নেমে আসলে তখন তাকে আমরা অ্যানিমিয়া বলে থাকি। অন্যদিকে হিমোগ্লোবিন ৬মিঃলি গ্রাম এর নিচে চলে আসলে তখন তাকে আমরা মারাত্বক অ্যানিমিয়া বলে থাকি।

বাচ্চাদের ক্ষেএে কৃমি হলে বুঝতে হবে রক্তশূন্যতায় ভুগছে। মহিলাদের ক্ষেএে পিরিয়ডস হলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। আবার কোন সাইন থেকে যদি রক্ত চলে যায় তখন ও রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

রক্তশূন্যতার লক্ষনসমূহ

রক্তশূন্যতা হলে রক্তের এমন একটি রোগ যেখানে রক্তের লোহিত রক্ত কনিকা(RBC)বা হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক সংখ্যার চেয়ে কম থাকে বা রক্তের অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা হ্রাস পায়। যখন রক্তশূন্যতা ধীরে ধীরে হয় তখন লক্ষন গুলো প্রায়ই অস্পষ্ট হয়।

যেমনঃ ক্লান্তিবোধ করা, দূর্বলতা, চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, বুক ধড়পড় করা, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, মাথা ব্যাথা করা, শ্বাসকষ্ট হওয়া ইত্যাদি।

রক্তশূন্যতা কেন হয়?

আয়রনের অভাবের কারণের রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। ভিটামিন সি, অতিরিক্ত রক্তকরন, খাবারে ফলিড এসিড, আবার ক্যান্সার, কিডনি লিভারসহ অকেজো হয়ে পড়লে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। আবার অনেকের ক্ষেএে বংশগত কারনে এই রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

রক্তশূন্যতা এর চিকিৎসা

রক্তশূন্যতা আসলে নিজ কোন রোগ নয় এটি রোগের উপসগ। আমাদের খাদ্য তালিকায় সঠিক ভাবে চার্ট তৈরী করে খাদ্য গ্রহণ করি তাহলে তাহলে রক্তশূন্যতা থেকে বাঁচা সম্ভব। আমাদের খাবারে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। গাড় শাকসবজি, ছোট মাছ, কলিজা, ডিম, কচু, আলু সিদ্ধ, সীম জাতীয় সবজি খেতে হবে বাদাম, ফলিক এসিড এই সব খেতে হবে। ডালিমে ভিটামিন সি রয়েছে যা  আমদের দেহে রক্তপূরনে সহায়তা করে। এছাড়া ভিটামিন বি -১২, আয়রন ট্যাবলেট, টমেটো, পালং শাক, বাটার। তাছাড়া যেই খাবার গুলো চিনি দিয়ে খায় সেই খাবারে আমরা মধু দিয়ে যোগ করতে পারি। এই সব খাবার আপনার রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। 

তাই আমাদের দেহে ঘাটতি পূরনের জন্য আমাদের খাদ্য তালিকায় দৈনিক আয়রন সমৃদ্ধ রাখতে হবে। এর মূল চিকিৎসা হলো এটির কারন দূরীকরন। শরীলে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। রক্তশূন্যতা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের রুটিন মাফিক চলতে হবে।

সর্বশেষে:

এই ধরনের সকল তথ্য পেতে এখনই আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

Post Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *