মোটা হওয়ার উপায়

সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় – দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়

হ্যালো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদেরকে বলব কিভাবে খুব সহজে মোটা হওয়া যায়। কিছু খাবারের কথা বলব যেটা আপনি সময়মতো খেলে আপনার ওজন বাড়বে। আজকে যে সকল খাবারের কথা বলব সেটা যদি আপনি নিয়ম মেনে সময় মত খাবার খান তাহলে আপনার ওজন বাড়তেই থাকবে। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক যে কি কি খাবার খেলে আপনার ওজন বাড়তে পারে। আজকে যে খাবারে কথাগুলো বলব সেগুলো আপনি অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন। আমি যে খাবার গুলোর কথা বলব সেগুলো প্রাকৃতিক উৎপাদন। এই খাবারগুলো খেয়ে আপনি আপনার ওজন খুব সহজে বাড়িয়ে নিতে পারবেন। এই খাবারগুলো থেকে আপনি প্রতি মাসে এক থেকে পাঁচ কেজি ওজন বাড়িয়ে নিতে পারবেন। অনেকেই মোটা হওয়ার জন্য অনেক কিছু খুঁজে থাকেন কিন্তু সঠিক জিনিসগুলো জানেন না। যেগুলো আমি আপনাদেরকে আজকের এই পোস্টে জানাবো।

আজকে যে খাবারগুলো কথা বলব তার দাম বেশি না আপনি যদি মাত্র ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা খরচ করেন তাহলে আপনি এই টাকা দিয়ে রেজাল্ট পাবেন। এর থেকে বেশি আপনার খরচ করতে হবে না বা অন্য কোন ওষুধ বা কিছুই গ্রহণ করতে হবে না। আপনি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানের খাবার গুলো ব্যবহার করবে আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন। তাহলে চলুন আপনাদেরকে কিছু খাবার কথা বলি?

মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা

১) কলা: আমরা প্রথমে যে খাবারটির কথা বলব সেটি হল কলা। কলা আপনার ওজন কে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। ওজন বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন কলা খাওয়া প্রয়োজন। আপনি প্রতিদিন কমপক্ষে তিনবার কলা সেবন করবেন। এতে আপনার ওজন ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। আপনি যদি এক গ্লাস দুধ খাবার ২০ মিনিট পর কলা খেতে পারেন। এতে সবচাইতে বেশি ফলাফল পাবেন। ২০ মিনিটের ব্যবধান তারাই রাখবেন যাদের হজম শক্তি খুবই কম হয়। আর যদি আপনার হজম শক্তি সঠিকভাবে থাকে তাহলে আপনি ২০ মিনিটের আগেও খেতে পারেন। এছাড়া প্রতিদিন আপনি সকালে নাস্তার সাথে অবশ্যই কলা সেবন করবেন। এতে করে আপনি এক মাসের মধ্যে আপনার ফলাফল পেয়ে যাবেন।
যদি আপনি কলা খেতে পছন্দ না করেন তাহলে আপনার একটি খাবার খেতে পারেন সেটি হল:

২. খেজুর: যদি আপনি কলা খেতে পছন্দ না করেন তাহলে আপনি খেজুর খেতে পারেন। গরম দুধের সাথে খেজুরগুলো মিশিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে দারুন ফলাফল পাবেন। খেজুর শরীরে ওজন বৃদ্ধি করার জন্য খুবই উপকারিতা একটি ফল।
৩. দুধ ও মধু: পরবর্তীতে যে খাবারটি খাবেন সেটি হলো দুধ ও মধু। গরম দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। গরম দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে এতে দ্রুত শরীরে ওজন বাড়তে থাকে। ওজন বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার মধু ও দুধ খাওয়া। আপনি সকাল ও সন্ধ্যায় দুইবার দুধের সাথে মধু সেবন করতে পারেন। এতে আপনি দারুন ফলাফল পাবেন তাই এটা কখনো মিস করবেন না। সঠিক সময় সকাল ও সন্ধ্যায় অবশ্যই সেবন করবেন।

মনে রাখবেন আপনার 5তন্ত্র যদি ভালো না থাকে তাহলে আপনার ওজন কখনোই বাড়বে না। তাই অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন আপনার শরীরের পঞ্চতন্ত্র যেন সঠিক থাকে। তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে খুবই সহজ হবে। তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধির জন্য গরম দুধের সাথে মধু সেবন করতে পারবেন এতে করে আপনার কোন সমস্যা হবে না।

৪. ডিম: ওজন বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে উপযোগী হল ডিম। ডিম খেলে আপনার শরীরে ওজন বাড়বে তবে এটি সঠিক সময় সঠিকভাবে সেবন করতে হবে। ডিম শুধু সকালে খেতে হবে এটা শুধু নয় আপনার যখন খুশি তখনই আপনি এই ডিম খেতে পারবেন। প্রতিদিন কমপক্ষে তিনটি ডিম খেতে হবে। ডিমগুলো আপনি যেমন ইচ্ছা তেমনি ভাবে খেতে পারবেন। অনেকেই সিদ্ধ করে খাইতে পছন্দ করেন আবার অনেকে ভেজে। তাই যার যেটা পছন্দ সে সেই ভাবে ই খেতে পারেন। ডিম শরীরের ওজন বৃদ্ধি করার জন্য সবচেয়ে দরকারি একটি।

৫. টক দই: টক দই আপনি দুপুরে খাবার শেষে খেতে পারেন। আপনি একবারই টক দই খাবেন তাও দুপুরে খাবারের শেষে। টক দই বানানো হয় দুধ দিয়ে তাই এতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি থাকে। এবং এর মধ্যে অনেক উপকারিতা জীবাণু থাকে যেটি আপনার মধ্যে যেটা জীবাণুকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। তবে মিষ্টি দই থেকে সাবধান। মিষ্টি দই সাথে পশুর পরিমাণ চিনি ব্যবহার করা হয় যেটা আপনার শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হবে। তাই অবশ্যই মিষ্টি দই থেকে এড়িয়ে যাবেন। চিনি খেলে শরীর বাড়ালেও সেটি সঠিকভাবে পারেনা অনেক ক্ষতিকর দিক তাই চিনি ভাজাপোড়া থেকে এড়িয়ে চলবেন। তবে মিষ্টি দই খেতে পারেন তবে মাঝেমধ্যে তাও নিয়ম করে। তাই বলে আপনি প্রতিদিন খেতে পারবেন না।

৬. বাদাম: ওজন বাড়ানোর জন্য সবচাইতে ভালো ফুল হলো বাদাম। চিনা বাদাম, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, আপনার সুবিধামতো যে কোন বাদাম আপনি খেতে পারেন। বাদামের ভিতর ভিটামিন ক্যালরি সহ বিভিন্ন উপাদান থাকে। বাদাম বডি বাড়ানোর জন্য সবচাইতে উপকারী ফুড। তাই আপনি অবশ্যই বাদাম খেতে পারেন। বাদাম গুলো দুপুরে নাস্তা শেষে অথবা সন্ধ্যার পরে আপনি খেতে পারেন। যারা এই বাদামগুলো কিনবেন তারা অবশ্যই চেক করে দেখবেন সেই বাদামের সাথে অন্য কোন কিছু মেশানো আছে কিনা। বিশেষ করে যারা বাইরে থাকেন মানে বাংলাদেশের থেকে অন্য কোন দেশে থাকেন তারা অবশ্যই চেক করে দেখবেন কারণ বাজারে বাদামের সাথে অন্যান্য উপাদানগুলো মেশানো থাকে। তাই অবশ্য এগুলো আপনি চেক করে কিনবেন।

৭. কিসমিস: আরেকটি খাবারে কথা হলো কিসমিস যেটা আপনি বাদামের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। কাঁচা আঙ্গুল ফল থেকে শুকিয়ে কিসমিস তৈরি করা হয়। তাই কিসমিসের ভেতরে অনেক পরিমাণে ভিটামিন থাকে। তাই আপনি সারারাত ভিজিয়ে রাখবেন পানির সাথে। তারপরে এটি আপনি সকালবেলা সেবন করতে পারেন। এই অল্প পরিমাণ কিসমিসের মতো প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকে যা আপনার শরীরকে বাড়তে সাহায্য করবে।

কি খাবার খেলে মোটা হওয়া যায়

এই ছিল আপনাদের জন্য সবচাইতে কম দামে মধ্য খাবার গুলো। এই খাবারগুলো যদি আপনি সঠিক নিয়মে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে ওজন খুব দ্রুতই বাড়তে থাকবে। তাই আপনারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন অল্প কিছু পরিমাণ টাকা খরচ করার।

এই টাকার বিনিময়ে আপনি আপনার শরীরে সুস্বাস্থ্যবান হয়ে যেতে পারেন। তাই আপনার আজ থেকেই এই খাবারগুলো ট্রাই করে যান দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি আপনি ফলাফল পেতে থাকবেন। তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের পোস্টটা আশা করি আপনাদের অনেক উপকারে লাগবে। এই ধরনের সকল পোস্ট পাওয়ার জন্য অথবা আমাদের সাইট থেকে আরও বিভিন্ন কিছু জানার জন্য অবশ্যই আমাদের সাইট ফলো করে রাখবেন।

আপনারা প্রতিদিন এসে আমাদের সাইটগুলো ফলো করে দেখবেন এখানে অনেক টিপস এবং টিপস পেয়ে যাবেন। যা আপনার জ্ঞান বাড়তে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ আপনাকে পোষ্টটি সম্পন্ন পড়ার জন্য।

মুখে ব্রণ কমানোর উপায় – ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায় 2024

সর্বশেষে:

এই ধরনের সকল তথ্য পেতে এখনই আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

Post Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *