মুখের পিম্পল দূর করার ঘরোয়া ৭টি উপায় – মুখে ব্রণ কমানোর উপায়

আমরা সবাই চেয়ে থাকি সুন্দর ত্বক ও সুন্দর চেহারা। আর এই সুন্দর চেহারার জন্য আমরা অনেক কিছু ব্যবহার করে থাকি। যার ফলে দেখা যায় বিভিন্ন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ফলে মুখের ত্বকে গুটি গুটি ব্রন বা পিম্পল দেখা যায়। এছাড়া পিম্পল হতে পারে আমাদের অনিয়মের জন্য যেমন: টেনশন, প্রতিদিন রুটিন পরিবর্তন ও হরমোন পরিবর্তন হওয়ার জন্য।

তাই পিম্পল দূর করার জন্য ঔষধ গ্রহণ অথবা কোন ক্রিম না লাগিয়ে ঘরোয়া উপায় দূর করার জন্য আজকের পোস্টে আমি ছয়টি উপায় দেখাবো। এই ছয়টি উপায় আপনি অবলম্বন করলে আশা করি আপনার মুখের ব্রণ দূর হয়ে যাবে।

১.অ্যালোভেরা:

আমাদের ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা খুবই উপকারী একটি জিনিস। মূলত ঘৃতকুমারী গাছের পাতার মধ্যে যে জেলির মতো নরম অংশ তা থেকেই অ্যালোভেরা হয়। তাই ঘৃতকুমারী গাছের পাতা সংগ্রহ করে তার মধ্যে জেলির মতো নরম অংশ পাতা থেকে ছাড়িয়ে পাত্রে রাখুন। এবং এই অ্যালোভেরা জেল মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলো। এটা যেকোনো পিম্পল বা একনের জন্য খুব উপকারী। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক মসৃণ আর উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। মুখের দাগ দূর করতেও অ্যালোভেরা খুব কাজ করে।

২. রসুন:

মুখের পিম্পল বা ব্রন দূর করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী রসুন। রসুনগুলো ভালোভাবে ছারিয়ে একটি পাত্রে রাখুন। এবং রসুনগুলো ভেঙে তার থেকে রস বেড়িয়ে নিতে হবে। তারপর যে স্থানে পিম্পল রয়েছে সেখানে ভালো করে লাগিয়ে নিন। রসুনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পিম্পল সারাতে ভালো কাজ করে।

৩. বরফ:

বরফ শুধু ক্ষতস্থানেই নয়, পিম্পল দূর করার জন্য বরফ অনেক কার্যকর। তাই আপনি নরম কাপড়ের ভেতরে বরফ মুড়িয়ে নিয়ে যে স্থানে পিম্পল রয়েছে, সেখানে ধরে রাখুন। যত দিন না মুখ থেকে পিম্পল পুরোপুরি দূর হচ্ছে এভাবে বরফ নিতে পারেন। তবে যদের একটু ঠান্ডাতে সমস্যা হয় তারা অল্প কিছু সময় ধরে অপেক্ষা করবেন।

৪. কমলার খোসা:

আমরা বাজার থেকে যে সকল কমলা কিনে থাকি খাওয়ার জন্য তা আমরা সবাই খোসা ছাড়িয়ে ফেলে দি। আমরা বেশিরভাগ মানুষ যানি না যে কমলার খোসা কতটা ত্বকের জন্য উপকারী। এই কমলার খোসা পিম্পল দূর করার জন্য খুবই উপকারী। তাই আপনি কমলা থেকে খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর খোসা গুলো বেটে বা হালকা পানির সাথে মিশিয়ে কুচি কুচি করে কেটে পেস্টের মতো করুন। তারপর এই কমলার খোসার থেকে যে পেস্ট বা ক্রিমির মতো অংশ পাবেন তা আপনার পিম্পল এর উপর লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রাখুন। এবং পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ময়শ্চারাইজার নিতে হবে, না হলে ত্বকে শুষ্কভাব দেখাবে।

৫. দুধ ও মধু:

মুখের ত্বক পরিষ্কার ও চকচকে হওয়ার জন্য দুধ ও মধু খুবই একটি উপকারী তবে তার পাশাপাশি আপনার মুখে যদি পিম্পল হয়ে থাকে তাহলে এটি দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। ১চামচ মধুর সাথে ৩-৫ চামাচ দুধের সাথে মিশিয়ে নিন এবং তা মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনি শুধু পিম্পলের জন্য নয় আরো বেশ কিছু উপকারী হয় এই দুধ ও মধু ব্যবহারের ফলে।

৬. বেকিং সোডা ও লেবুর রস:

বর্তমান সবার বাসা বা বাড়িতেই বেকিং সোডা থাকে তাই আপনি এই বেকিং সোডার ব্যবহার করতে পারেন পিম্পলের জন্য। আপনি ১ চামচ বেকিং সোডার সাথে লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিবেন। এর থেকে যে অংশ পাবেন আপনি সেটি আপনার পিম্পলের উপর লাগিয়ে দিবেন। এবং মিশ্রনটি ভালোভাবে মুখে শুকিয়ে তারপর মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

৭. কি কি কারনে মুখে পিম্পল হতে পারে?

  • ময়লা হাত দিয়ে যেকোনো ক্রিম মুখে লাগানো।
  • ময়লা কাপড় দিয়ে মুখ মোছা।
  • অতিরিক্ত রাত জেগে থাকা।
  • সময় মত খাবার না খাওয়া।
  • অপরিষ্কার মাক্স পড়া।
Post Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *