বাংলাদেশের ক্রিকেট মানেই আবেগ, উল্লাস আর নতুন নায়ক খুঁজে পাওয়ার গল্প। গতকাল সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরির পর আজ আবারও এক নতুন আনন্দে ভাসালেন আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান। ব্যাট হাতে আগুন ঝরিয়ে তিনি যেন প্রমাণ করলেন টেস্ট ট্যাগ ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতেও তিনি দারুণ এক ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড় হতে পারেন।
মাহমুদুলের সেঞ্চুরির গল্প
চট্টগ্রামের হয়ে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মাঠে নামা মাহমুদুল শুরুতে ছিলেন ধীরস্থির। প্রথম ৫০ তুলতে লেগেছিল ৪০ বল। তবে এরপরই গিয়ার পাল্টে গেল তাঁর ব্যাটিং। মাত্র ২৩ বলে খেললেন বাকি ৬০ রান। ইনিংসে হাঁকালেন ৯টি বিশাল ছক্কা আর ৫টি চমৎকার চার। শেষ পর্যন্ত ৬৩ বলে ১১০ রান করে আউট হন ইনিংসের শেষ ওভারে। স্ট্রাইক রেট ছিল চোখ ধাঁধানো ১৭৪.৬০।
এটি তাঁর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ২০২০ সালে ফরম্যাটটিতে অভিষেকের পর এতদিনে সাতটি ফিফটি পেলেও শতক ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। অবশেষে চার বছর পর এসে সেঞ্চুরির অপেক্ষা শেষ হলো।
দলের বড় সংগ্রহে অবদান
শুধু মাহমুদুল নন, মুমিনুল হক (১৯ বলে ৩২) ও ইরফান শুক্কুরের (২২ বলে ৪১*) ঝোড়ো ব্যাটিংয়েও বড় ভূমিকা রেখেছে। টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে চট্টগ্রাম নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলেছে ২১৪ রান। বিশেষ করে ইনিংসের মাঝপথে আবু জায়েদের এক ওভারে টানা তিন ছক্কা মারেন মাহমুদুল, যা দলীয় স্কোরকে অনেক এগিয়ে নেয়।
সাদমান থেকে মাহমুদুল: ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা
এনসিএল টি-টোয়েন্টির এবারের আসরে একের পর এক সেঞ্চুরি আসছে টেস্ট ব্যাটারদের কাছ থেকে। গতকাল সাদমান ইসলামের শতক, আজ মাহমুদুলের ঝড় দুটিই যেন প্রমাণ করে, সাদা পোশাকের খেলোয়াড়রাও চাইলে রঙিন পোশাকে সমান কার্যকর হতে পারেন।
আরো পড়ুন : তিন জয়ে শেষ ষোলোতে আর্জেন্টিনা, ছিটকে গেল ব্রাজিল
উপসংহার
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে এ ধরনের সেঞ্চুরি কেবল একজন খেলোয়াড়ের নয়, পুরো দলের মনোবল বাড়িয়ে দেয়। মাহমুদুলের ব্যাট থেকে আসা এই ঝোড়ো ইনিংস নিঃসন্দেহে চট্টগ্রামকে এগিয়ে নিলো জয়পথে এবং ক্রিকেটপ্রেমীদের উপহার দিলো এক স্মরণীয় মুহূর্ত।