২০০০ সালের পরে যারা বড় হয়েছেন, তারা টেলিভিশনে অসংখ্য সিনেমা দেখেছেন। আমাদের মা-কাকিমারা শাবানা-ববিতা বলতে পাগল ছিলেন। আর আমরা যারা ছোট, আমরা পাগল হয়ে যেতাম একমাত্র প্রার্থনা ফারদিন দীঘি-এর সিনেমা দেখতে। দীঘির অভিনীত সিনেমাগুলো বারবার দেখলেও দর্শকরা কখনো ক্লান্ত হতেন না।
ছোট্ট একটি মেয়ে কীভাবে অভিনয় করতে পারে—কথা বলতে পারে, হাসতে পারে, কাঁদতে পারে, নাচতে পারে—সবই দেখতাম দীঘির মাধ্যমে। তার হাসিতে আমরা হাসতাম, তার কান্নায় কাঁদতাম। দীঘির উপস্থিতি নায়ক-নায়িকার থেকেও বেশি প্রভাবশালী ছিল; গল্প যেন প্রায় সবসময় তাকে ঘিরে রচিত হতো।
দীঘি: প্রতিভার সঙ্গে সময়ের পরীক্ষায়
সময়ের নিয়মে সেই দীঘি এখন পরিপূর্ণ যুবতী। কিন্তু আফসোস, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতারা একজন প্রতিভাবান শিল্পীকে যথেষ্ট সুযোগ দিচ্ছেন না। বড় হয়ে দীঘির রূপ, সৌন্দর্য, ফিগার বা অন্যান্য কার্যকলাপ নিয়ে সমালোচনা বেশি হয়, অথচ তার অভিনয়ের দক্ষতা অনেক বেশি প্রশংসার যোগ্য।
আরো পড়ুন: ঝড় তুললো ‘জয় কালী’, রঘু ডাকাত সিনেমার নতুন গান
অভিনয়কে সে ভালোভাবে জানে। বড়বেলায় যে কিছু কাজ করেছে, সবখানেই নিজের সেরাটা দিয়েছে। দর্শকদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন শাবানা, ববিতা, শাবনূর বা মৌসুমীদের মতো একজন অভিনেত্রী উপভোগ করতে পারে—এই লক্ষ্যেই দীঘিকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো উচিত।
একজন ভক্তের চোখে, আমরা দূর থেকে দীঘির মঙ্গল কামনা করি। তার প্রতিভা যথাযথভাবে মূল্যায়ন পেলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে।