বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন নতুন এক নাটক চলছে জনগণের পছন্দের ভয় নামের এক অভিনব স্ক্রিপ্ট! যাদের মুখে সারাক্ষণ ‘জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে’ এমন আত্মবিশ্বাসের বুলি তারাই এখন ভোটের ময়দানে পা রাখতে ভয় পাচ্ছে।
নিজেদের তৈরি নাটকের ফাঁদে
রাজনীতির মঞ্চে নাটক লেখা সহজ, কিন্তু বাস্তবে অভিনয় করা কঠিন। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রমাণ করেছে যারা প্রতিনিয়ত “গণতন্ত্র রক্ষা”র নাটক সাজায়, আসলে তারাই গণতন্ত্রের পরীক্ষায় ফেল করছে। জনমতের ভয়, ভোটের ভয়, আর ব্যর্থতার আতঙ্ক সব মিলিয়ে তারা এখন নিজেদের তৈরি গল্পেই বন্দি।
পিআর দাবির মুখোশ
জনগণের ‘পিআর’ দাবি তুলে তারা বোঝাতে চায়, যেন তাদের পক্ষে জনরায় নিশ্চিত। কিন্তু বাস্তব চিত্র একেবারেই উল্টো মাঠে নামলে বোঝা যায়, এই পিআর আসলে ‘পাবলিক রিয়েকশন’ নয়, বরং ‘পেইড রিহার্সাল’। গণমাধ্যমে প্রচারণা যত জোরালো, ভোটের মাঠে তাদের পদচারণা ততই নিস্তব্ধ।
কেন এই ভয়?
ভয়ের মূল কারণ একটাই জনগণের আসল রায়। গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো ভোট, আর সেই ভোটই যখন সত্যিকারের পরীক্ষার মুখে দাঁড় করায়, তখন মুখোশ খুলে যায়। তাই দেখা যায়, অনলাইনে যতই জনপ্রিয়তা দেখানো হোক, ব্যালট বাক্সে সত্যিটা একদম আলাদা গল্প বলে।
আরো পড়ুন: চট্টগ্রামে র্যাবের রাতভর অভিযান: বায়েজিদ ও রাউজানের গোলাগুলিতে হতাহতের ঘটনায় ৬ জন গ্রেফতার
রাজনীতি মানে সেবার প্রতিশ্রুতি, নাটক নয়। যারা নাটকের মঞ্চে অভিনয় করছে, তারা শেষমেশ দর্শকের হাততালি পায় না পায় বাস্তবের কঠিন সমালোচনা। ভোটের ভয় তাদের রাজনীতির আসল মুখ উন্মোচন করেছে।

