ভারত থেকে চাল আমদানির সূচনা হয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মোট ১২টি ট্রাকে ৪২১ মেট্রিক টন চাল দেশে এসেছে। এই প্রথম আমদানির কারণে দেশের বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং দাম ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত দুটি পর্যায়ে এই চাল আমদানি হয়েছে। প্রথম চালানে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে ৯টি ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন এবং দ্বিতীয় চালানে ৩টি ট্রাকে ১০৬ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল দিয়ে দেশে এসে পৌঁছেছে।
ছাড়পত্রের অপেক্ষায় চাল
তবে রোববার ভারতের সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ছাড়পত্রের জন্য বেনাপোল থেকে কোনো সিএনএফ এজেন্ট কাগজপত্র দাখিল করেনি। সোমবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর চালগুলো ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
আরো পড়ুন:
দেশে লুট হওয়া অস্ত্র ফেরত দিতে পারলে ৫ লক্ষ টাকা পুরষ্কার: ঘোষনা দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বেনাপোল স্থলবন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আমদানিকৃত এই চাল প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছে এবং মানসম্পন্ন বলে প্রমাণিত হয়েছে। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলেই এটি বাজারে ছাড়া হবে।
বাজারে প্রভাব ও দাম হ্রাসের সম্ভাবনা
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানির কারণে দেশের বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। এতে চালের দাম ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে। বিশেষ করে মধ্যম ও নিম্নমানের চালের দামে এই হ্রাস লক্ষণীয় হবে।
বেনাপোল ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা বলেছেন, এই আমদানি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে ভোক্তারা সাশ্রয়ী দামে চাল কিনতে পারবেন।
চাল আমদানির এই উদ্যোগ একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ। সরকার দেশের ক্রমবর্ধমান চালের চাহিদা মেটাতে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে এই আমদানি কার্যক্রম শুরু করেছে।
আমদানি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী দিনগুলোতে নিয়মিত চাল আমদানি অব্যাহত থাকবে। এর ফলে বাজারে চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে।
ভারত থেকে আমদানিকৃত এই চাল দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী দামে পুষ্টিকর খাদ্য পৌঁছাতে এটি সহায়ক হবে।
খাদ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই আমদানি দেশীয় উৎপাদনের পাশাপাশি খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। তবে তারা দেশীয় কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেছেন।