গুগলের ন্যানো বানানা এআই ইমেজ মডেল ভারতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ফোকাস কিওয়ার্ড “গুগল ন্যানো বানানা” ঘিরে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নানান সৃজনশীল ট্রেন্ড—কখনো বলিউডের নব্বই দশকের রেট্রো লুক, আবার কখনো ঐতিহ্যবাহী শাড়ির ভিনটেজ ছবি। ব্যবহারকারীদের এই অনন্য অংশগ্রহণ গুগল জেমিনি অ্যাপকে বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানে তুলেছে।
গুগল ন্যানো বানানা নিয়ে ভারতের উন্মাদনা
গুগলের নতুন ইমেজ জেনারেশন মডেল গুগল ন্যানো বানানা (Gemini 2.5 Flash Image) প্রকাশের পর থেকেই বিশ্বব্যাপী আলোচনায়। তবে ভারতে এর ব্যবহার যেন ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন বাজারে লক্ষাধিক ব্যবহারকারী প্রতিদিন এই মডেল ব্যবহার করে নিজেদের ছবি ও দৃশ্যপট নতুনভাবে কল্পনা করছেন।
প্রথমদিকে ভারতীয়রা নিজেদের ১৯৯০-এর বলিউড রূপে কল্পনা করে ভিনটেজ ফ্যাশন, হেয়ারস্টাইল ও মেকআপসহ ছবি তৈরি করেন। এ ছাড়া জনপ্রিয় হয়েছে “এআই শাড়ি ট্রেন্ড”, যেখানে ব্যবহারকারীরা শাড়ি পরা রেট্রো স্টাইলের ছবি তৈরি করছেন।
ভারতীয় ব্যবহারকারীরা শুধু দেশীয় নয়, বৈশ্বিক ট্রেন্ডেও ভূমিকা রাখছে। যেমন—“ফিগারিন ট্রেন্ড”, যেখানে মানুষ নিজেদের ক্ষুদ্র প্রতিকৃতি তৈরি করে ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে বসাচ্ছেন। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল থাইল্যান্ডে, পরে ইন্দোনেশিয়ায় ছড়ায় এবং অবশেষে ভারতীয় ব্যবহারকারীদের সৃজনশীলতার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়।
আরো পড়ুন: ড্রোনপ্রেমীদের জন্য সুখবর: বাজারে এলো DJI Mini 5 Pro
এ ছাড়া জেমিনির Veo 3 এআই ভিডিও মডেল ব্যবহার করে অনেকে পুরোনো পারিবারিক ছবিকে ছোট ভিডিওতে রূপ দিচ্ছেন।
অ্যাপফিগারস-এর তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ভারতে গুগল জেমিনি অ্যাপের ডাউনলোড হয়েছে ১ কোটি ৫২ লাখেরও বেশি, যা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক বেশি। সেপ্টেম্বরে ন্যানো বানানা চালুর পর দৈনিক ইনস্টল সংখ্যা ৬৬৭% বৃদ্ধি পেয়ে শীর্ষে উঠে যায়।
যদিও ডাউনলোডে ভারত এগিয়ে, তবে আয় বা ইন-অ্যাপ পারচেজে যুক্তরাষ্ট্র এখনো শীর্ষে। তবু ভারতের ব্যয় বৃদ্ধির হার ১৮%—যা বৈশ্বিক হারের চেয়ে অনেক বেশি।
ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে এআই মডেল দিয়ে রূপান্তর করায় গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গুগল জানায়, প্রতিটি এআই-তৈরি ছবিতে SynthID ওয়াটারমার্ক ব্যবহার করা হয়, যা ছবির আসল উৎস চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া শিগগিরই সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্যও যাচাই প্ল্যাটফর্ম চালু করা হবে।