ভারতে মুক্তি পাচ্ছে কি না—এই প্রশ্নকে ঘিরেই কয়েক দিন ধরে তীব্র বিতর্কে ছিল ফওয়াদ খান ও বাণী কাপুর অভিনীত সিনেমা ‘আবির গুলাল’। গত শুক্রবার খবর ছড়িয়ে পড়ে, ছবিটি নাকি ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতে প্রেক্ষাগৃহে আসছে। মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পাকিস্তানি অভিনেতার ছবি ভারতে মুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। তবে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে—এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা।
‘আবির গুলাল’ ছবির মুক্তি নিয়ে আসল ঘটনা
ফওয়াদ খান ও বাণী কাপুরের এই রোমান্টিক ড্রামা সিনেমাটি মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে মুক্তি পায় ১২ সেপ্টেম্বর। প্রথমে ৯ মে মুক্তির কথা থাকলেও পহেলগাঁও কাণ্ড ও ভারত–পাকিস্তান সম্পর্কে অবনতির কারণে তা স্থগিত হয়। বিভিন্ন সংগঠন ছবিটি ভারতে মুক্তি না দেওয়ার দাবি তোলে। এমনকি ছবির নায়িকা বাণীকেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয় পাকিস্তানি অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার জন্য। অবশেষে প্রযোজনা সংস্থার সিদ্ধান্তে ছবিটি শুধু আন্তর্জাতিক স্তরেই মুক্তি পায়।
কেন বিতর্কে জড়াল ‘আবির গুলাল’?
২০১৬ সালে উরির সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারতে কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসে। সেই সময় ফওয়াদ খানও বলিউডে নিষিদ্ধ হন। প্রায় নয় বছর পর তাঁর প্রত্যাবর্তনের খবরে ভক্তদের আগ্রহ ছিল প্রবল। কিন্তু চলতি বছরের পহেলগাঁও ঘটনার পর ফের একবার সিনেমাটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। ফলস্বরূপ ভারতে এর মুক্তি আটকে যায়।
আরো পড়ুন: দুর্গাপূজায় ছুটি: শিক্ষার্থী পাবে ১২ দিন, চাকরিজীবীরা পাবে ৩ দিন
ছবির কাহিনি আবির ও গুলালকে ঘিরে। গুলাল (বাণী কাপুর) বিয়ে থেকে পালিয়ে লন্ডনে যায় এবং সেখানে তার দেখা হয় আবিরের (ফওয়াদ খান) সঙ্গে। আবির অতীতের কষ্ট বয়ে বেড়ানো এক রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী। দুই ভিন্ন মানুষ ধীরে ধীরে গড়ে তোলে কোমল প্রেমকাহিনি। আন্তর্জাতিক মুক্তির পর ইতিমধ্যে ছবিটি দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছে।
বাণী কাপুর এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়া অনেকটা বিষাক্ত হয়ে গেছে। আমরা যদি একটু কম ঘৃণা করি আর বেশি ভালোবাসা দিই, তবে পৃথিবী আরও সুন্দর হবে। একজন দয়ালু মানুষ হওয়ার চেষ্টা আমাদের সবার করা উচিত।’ তাঁর এই বক্তব্য অনেক দর্শকের মন ছুঁয়ে গেছে।