আট মাস পরই মাঠে গড়াবে বিশ্বকাপ ফুটবল। তার আগে ব্রাজিল কোচ কার্লো আনচেলত্তি পুরো দলটা নতুন করে সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ৫-০ গোলের জয়ে ব্রাজিল যেমন দারুণ ছন্দে ছিল, তেমনি কোচও পেয়েছেন কিছু নিশ্চিত উত্তর কারা হবেন তাঁর ভরসার খেলোয়াড়।
তবে এখন পর্যন্ত আনচেলত্তির দলে নিশ্চিত জায়গা কেবল একজনের ব্রুনো গিমারেস। নিউক্যাসল ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডার যেন হয়ে উঠেছেন ব্রাজিলের ইঞ্জিন রুমের স্থায়ী মুখ। কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে ব্রাজিলের হয়ে সর্বাধিক ম্যাচ খেলা এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারই আনচেলত্তির অধীনে হওয়া সবকটি ম্যাচে প্রথম একাদশে ছিলেন।
গত সেপ্টেম্বরেই আনচেলত্তি তাঁকে বলেছিলেন “অপ্রতিদ্বন্দ্বী”। সেই কথার প্রমাণ মিলছে পরিসংখ্যানে বিশ্বকাপ-পরবর্তী ৩০ ম্যাচে ব্রুনো গিমারেস ২৫টিতে ছিলেন মূল একাদশে, একটিতে বদলি, আর বাদ পড়েছেন মাত্র দুটি ম্যাচে, যার একটি নিষেধাজ্ঞার কারণে।
জাতীয় দলে নিজের এই ধারাবাহিকতা নিয়ে গিমারেসও আত্মবিশ্বাসী,
তিনি বলেন,
জাতীয় দলের হয়ে এটা আমার সেরা সময়গুলোর একটি। অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে আমরা এখন আরও শক্তিশালী। আমি চাই ক্লাবেও ভালো পারফরম্যান্স করতে, যাতে কোচের আস্থা ধরে রাখতে পারি।
আনচেলত্তির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও বেশ ঘনিষ্ঠ। এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে তাঁর ফ্লাইটে সমস্যা হলে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন বিশেষ ব্যবস্থায় তাঁকে মাঠে পৌঁছে দেয় এটিই প্রমাণ করে, কোচের পরিকল্পনায় তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন:ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে পতন, বিশ্বকাপ বাঁচাতে সামনে টানা ২৪ ম্যাচের লড়াই বাংলাদেশের
জাপানের বিপক্ষে আসন্ন প্রীতি ম্যাচেও শুরু থেকেই একাদশে থাকার সম্ভাবনা গিমারেসের। তাঁর নিজের ভাষায়,
বিশ্বকাপের আগে সবাই নিজেদের জায়গার জন্য লড়ছে। এটা শুধু প্রথম একাদশের ব্যাপার নয়, পুরো স্কোয়াডের বিষয়। আমরা সবাই জানি, এখন আমাদের লক্ষ্য একটাই বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে সেরাটা দেওয়া।