বিসধর সাপ রাসেল ভাইপার এর আতঙ্ক ও কামড়ালে এর প্রতিকার

রাসেল ভাইপার

রাসেল ভাইপার খুবই মারাত্মক ও বিষধর সাপ এটার কামড়ে সময় মত চিকিৎসা না করলে মানুষ মারা যায়। এ সাপটি সাঁতার কাটতে খুবই ওস্তাদ। তাই বন্যার পানিতে বিভিন্ন এলাকায় এই সাপটি ছড়িয়ে পড়েছে। এ সাপটি বসতবাড়িতে খুবই কম দেখা যায় এগুলো প্রায়ই বনভাদা নদী বা বালুচরের প্রায় থেকে থাকে।

রাসেল ভাইপার চেনার উপায়

১।গায়ে কালো সাদা ডোরাকাটা দাগ আছে
২।মাতা হাল্কা মোটা আছে
৩।চোখ দেখতে প্রায় গিরগিটের মত
৪।এটি প্রায় দুই হাতের মতো লম্বা হয়
৫।এর আকৃতি পেট মোটা ও মুখ চেপটা এবং লেজ চিকন
৬।দেখতে অজগর সাপের মত।

বিভিন্ন জেলায় আতঙ্ক রাসেল ভাইবার

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এই বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার ঢুকে পড়েছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের আতঙ্কটা একটু বেশি। তাই এই রাসেল ভাইপার ভয়ানক আতঙ্ক থেকে বাঁচতে হলে নিজেকে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে যারা নদীতে মাছ ধরতে যান অথবা তারা জমিতে চাষাবাদ করেন তাদের অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

যেসব জেলায় রাসেল ভাইপার ঢুকে পড়েছে

বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যে ঢুকে পড়েছে যেমন ঢাকা,সিলেট,ভোলা, খুলনা,বরিশাল,পটুয়াখালি,চাদপুর এছাড়া আর আনেক জেলায় ঢুকে পড়েছে এই রাসেল ভাইপার।

রাসেল ভাইপার কামড় দিলে করণীয়

১। রাসেল ভাইবার সাপে কামড়ালে স্থির হয়ে বসে থাকতে। হবে নাড়াচাড়া করা যাবে না।
২। কামড় দিলে চুপ করে বসে থাকতে হবে।
৩। হাতে কামড় দিলে হাত নাড়াচাড়া করা যাবে না।
৪।আক্রান্ত স্থানে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
৫। একটি ভেজা তোয়াল দিয়ে মুছতে হবে।
৬। আক্রান্ত স্থানে কোন কিছু দিয়ে শক্ত করে বাধা যাবে না।
৭। কোন তাবিজ বা অলংকার বা ঘড়ি ইত্যাদি থাকলে খুলে ফেলতে হবে।
৮। দংশনের স্থানে কোন কিছু দিয়ে কাটা যাবে না।
৯। আক্রান্ত রোগীকে কোন ওঝার কাছে নিয়ে যাবেন না।
১০। রোগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।

সাপের কামড়ে মানুষের অবস্তা

এ সাপ একসময় বিলুপ্ত হয়ে গেছিল প্রায়। বন্যার কারণে এই সাপগুলো বাংলাদেশ চলে এসেছে। এই সাপটি এতটাই মারাত্মক যে এটিতে কামড় দিলে আক্রান্ত স্থানে পচন ধরে। কামড়ে ৪-৫ মিনিটে আক্রান্ত স্থানে ফুলে যায়। এতে করে কিডনি ও ফুসফুসি কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

অতএব সকলকে সুস্থ থাকার জন্য সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে চোখ কান খোলা রেখে। মনে রাখতে হবে একটি বিপদ মানুষের সারা জীবনের কান্না হতে পারে।

Post Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *