বিশ্ব বিজ্ঞান দিবস ২০২৫: বিজ্ঞান টেকসই ভবিষ্যতের দিশা একটি আন্তর্জাতিক প্রতিপাদ্য যেখানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালকে জাতিসংঘের ‘আন্তর্জাতিক কোয়ান্টাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বর্ষ’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে, যা এই বছর বিজ্ঞানকে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। এই প্রতিপাদ্যের অধীনে, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ এবং সংস্থা তাদের নিজস্ব ইভেন্ট আয়োজন করে, যার মধ্যে টেকসই সম্প্রদায়ের জন্য কর্মে বিজ্ঞান (Science in Action for Sustainable Communities) এবং অজানাকে কাজে লাগানো বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎকে শক্তিশালী করা(Harnessing the Unknown: Powering the Future through Science and Innovation) উল্লেখযোগ্য।
টেকসই ভবিষ্যৎ: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উদ্ভাবনের মাধ্যমে একটি উন্নত, টেকসই এবং স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা।
বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনের ভূমিকা: বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং উদ্ভাবনী সমাধানগুলো একটি উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণের মূল চাবিকাঠি।
বৈশ্বিক সহযোগিতা: বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য, এবং অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য যৌথভাবে কাজ করা।
প্রাসঙ্গিক তথ্য
আন্তর্জাতিক কোয়ান্টাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বর্ষ: ২০২৫ সালকে জাতিসংঘের দ্বারা এই বছর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতাকে আরও জোরদার করবে।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা ২০২৫: অনেক দেশ তাদের নিজস্ব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা ও উৎসবের আয়োজন করে, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিজ্ঞানের ভূমিকা তুলে ধরে।
বিজ্ঞান মাস উদযাপন ২০২৫: অনেক দেশে, এই সময়ে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের বিস্ময় উদযাপন করতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা এবং কার্যকলাপের আয়োজন করা হয়।
জাতীয় বিজ্ঞান দিবস ২০২৫: ভারতের মতো কিছু দেশে, জাতীয় বিজ্ঞান দিবসটি “বিকশিত ভারতের জন্য বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বের জন্য ভারতীয় যুবকদের ক্ষমতায়ন” থিম নিয়ে পালন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন : রোবট নাওয়ের কণ্ঠে বিজ্ঞান উৎসবের উদ্বোধন ২০২৫
২০০১ সালে UNESCO এই দিনটি ঘোষণা করে, এবং ২০০২ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী উদযাপন শুরু হয়। তারপর থেকেই প্রতি বছর ১০ নভেম্বর বিজ্ঞান ও মানবতার মেলবন্ধনের প্রতীক হিসেবে পালিত হচ্ছে এই দিনটি।বিজ্ঞান শুধু আবিষ্কার নয়, এটি মানবতার আলোকবর্তিকা।বিশ্ব বিজ্ঞান দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় জ্ঞান ভাগ করলে তা কমে না, বরং বিশ্বকে আলোকিত করে।

