বিমানের নতুন উড়োজাহাজ শিগগিরই যুক্ত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে। হজ মৌসুম ও আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট সংকট মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে চারটি উড়োজাহাজ লিজ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে নতুন বিমান কেনার জন্য এয়ারবাস ও বোয়িংয়ের প্রস্তাব যাচাই–বাছাই করছে বিমান কর্তৃপক্ষ। কর্মকর্তারা বলছেন, এবার সিদ্ধান্ত হবে আর্থিক যুক্তি ও বাস্তব চাহিদার ভিত্তিতে, রাজনৈতিক বিবেচনায় নয়।
বিমানের বহরে যুক্ত হচ্ছে চারটি নতুন উড়োজাহাজ
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ঘাটতি ও রুট সংকট দূর করতে নতুন চারটি উড়োজাহাজ লিজে আনার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বিমানের বহরে ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে। উড়োজাহাজ স্বল্পতার কারণে সম্প্রতি কয়েকটি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট কমানোসহ কিছু রুট বন্ধ করতে হয়েছে।
বিমানের জনসংযোগ মহাব্যবস্থাপক বুসরা ইসলাম বলেন,নতুন বিমান কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও তা হাতে পেতে সময় লাগবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত। এর আগেই হজ ও ব্যস্ত মৌসুমে ফ্লাইট সংকট দেখা দেবে। তাই আপাতত চারটি উড়োজাহাজ লিজে আনার পরিকল্পনা চলছে।
দীর্ঘমেয়াদে কেনা হবে নতুন এয়ারক্রাফট
২০২৩ সালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সফরকালে তৎকালীন সরকারকে ১০টি এয়ারবাস কেনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিমান বোর্ড চারটি বিমান কেনার অনুমোদন দেয়, প্রতিটির দাম ধরা হয়েছিল প্রায় ১৮০ মিলিয়ন ডলার, সঙ্গে পাঁচ মিলিয়ন ডলার ‘প্রতিশ্রুতি ফি’।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং তুলনামূলক কম দামে এবং মাত্র এক মিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি ফি দিয়ে প্রস্তাব দেয়। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর আলোচনাটি স্থগিত হয়। এখন অন্তর্বর্তী সরকার পুনরায় উভয় কোম্পানির প্রস্তাব বিশ্লেষণ করছে।
আরো পড়ুন : স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে তিনবার গণভোট
বিশেষজ্ঞদের মত
বিমান খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্লাইট পরিচালনা স্বাভাবিক রাখতে লিজ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করা জরুরি। পাশাপাশি নতুন কেনাকাটার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড, আর্থিক স্বচ্ছতা ও ভবিষ্যতের বাস্তব চাহিদা বিবেচনায় নিতে হবে। তাঁদের মতে, বিমান কেনার সিদ্ধান্ত যেন আর রাজনৈতিক প্রভাবাধীন না হয়, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।


