বিকাশ-নগদ একাউন্ট হ্যাক করে যেভাবে হ্যাকার
বর্তমানে ডিজিটাল লেনদেন যতই দিন দিন বাড়ছে ততই যেন হ্যাকারের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের অনেকের মনে একটাই প্রশ্ন জাগে সেটা হল যে পিন নাম্বার ছাড়া কিভাবে বিকাশ নগদ একাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়?
তাই আজকের পোস্টে জানাবো প্রতাকচক্র কিভাবে বিকাশ নগদে একাউন্ট হ্যাক করে নিয়ে যায়। এবং বিকাশ নগদরের টাকা চুরি করে কিভাবে?
যেভাবে হ্যাক করা হয় বিকাশ-নগদ একাউন্ট
- প্রথমে প্রত্যারকচক্র প্লে স্টোর থেকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে। অ্যাপটির নাম Apk Editor Pro. তারপর তারা এই অ্যাপটি ব্যবহার করে নগদ অ্যাপটি ক্লোন করে নতুন একটি নগদ অ্যাপস তৈরি করে।
- তারপর তারা অ্যাপটি ওপেন করে এবং তারা একটা অজানা নাম্বার দিয়ে নগর অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে যায়। সেখানে একটি অজানা নাম্বার দেয় এবং কিছু কমন পিন কোড দিয়ে লগইন করার চেষ্টা করেন।
- যদি সেই নাম্বারে নগদ একাউন্ট থাকে এবং তাদের দেওয়া পিন নাম্বার মিলে যায় তখন তারা সেই নাম্বারে ফোন করে।
- ফোন করে তাকে নগদ কাস্টমার সার্ভিস এর পরিচয় দিয়ে ব্যবহারকারীর মোবাইলে পাঠানো একটি ওটিপি কোড জেনে নেয়। তারা বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে সেই নগদ ব্যবহারকারীর সাথে।
- বর্তমানে সবাই বিকাশ নগদ ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু তারা সঠিকভাবে জানেনা এই অ্যাপ সম্পর্কে। বর্তমানে বেশি প্রতারণা হয় যারা সরকারি ভাতা পায়। তাদের বেশিরভাগ মানুষই পড়াশোনা জানে না আবার অনেকে এই সম্পর্কে ভালো বোঝে না। যার কারণে সেই নগদ ব্যবহারকারী কে প্রতারকরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তার কাছ থেকে পিন নাম্বার না পেয়ে তার ফোনে পাঠানো OTP কোডটি জেনে নেয়।
সতর্কতা,
কমন পিন কোড ব্যবহার করা যাবে না
- যেমন, 1122, 2233, 3344, 4455, 5566, 6677, 7788, 8899, 9900, 1133, 2255 এই ধরনের ডাবল কোন কোড নগদ একাউন্টে দিবেন না।
- যেমন, 2580, বা মিলিয়ে দেওয়া অথবা 2022, 2023, 2024 এই ধরনের কোন পিন কোড নগদ একাউন্টে ব্যবহার করবেন না।
জটিল পিন নাম্বার
আপনি ৪ ডিজিটের ৪টি সংখ্যা এলোমেলো করে ব্যবহার করবেন। যদি মনে না থাকে তাহলে নিজের সুরক্ষা জায়গায় লিখে রাখবেন।
বিশেষ সতর্কতা:
আপনার ফোনে কোন অচেনা ব্যক্তি অথবা নগদ কাস্টমার কেয়ার এই ধরনের মানুষ যদি ফোন করে। তাহলে আপনি তার সাথে কথা না বলে ফোন কেটে দিবেন। আর যদি আপনার একাউন্টে সমস্যার কথা বলে তাহলে তার ফোন কেটে দিয়ে আপনি নিজেই নগদ অফিসিয়াল কোড নাম্বারে ফোন করে কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করবেন। কাউকে কোন পিন বা ওটিপি কোড দিবেন না।
সে যদি আপনার পিন নাম্বার জেনেও যায় তাহলেও কিন্তু নগদ একাউন্ট হ্যাক করতে পারবেনা। যদি আপনি ওটিপি কোড না দেন।
আপনার যদি একটি স্মার্ট ফোন থেকে থাকে তাহলে নগদ এপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে। আপনার নগদে অ্যাকাউন্টটি লগইন করে রাখবেন। তাহলে কেউই আপনার নগদ একাউন্ট দিয়ে নগদ অ্যাপে ও দ্বিতীয়বার লগইন করতে পারবেনা।
যদি আপনার নগদে একাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়। তাহলে আপনার করণীয় কি? এই বিষয় নিয়ে আমার একটি পোস্ট লেখা আছে নিচের লিংকে ক্লিক করে দেখে নিন।
সর্বশেষে:
এই ধরনের সকল মোবাইল ব্যাংকিং এর সকল টিপস পেতে আমাদের গুগল নিউজ ফলো করে রাখুন।