বার্সেলোনার প্রথম হোম ম্যাচ ঘিরে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—কোথায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি? ক্যাম্প ন্যুতে সংস্কার শেষ না হওয়ায় এখনো ফেরার সুযোগ নেই। অলিম্পিক স্টেডিয়ামে খেলার প্রস্তুতিও নেয়নি ক্লাবটি। অন্যদিকে ইয়োহান ক্রুইফ স্টেডিয়ামের আসনসংখ্যা নিয়ম অনুযায়ী কম। ফলে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ভেন্যু নিয়ে দ্বিধা তৈরি হয়েছে। এই অনিশ্চয়তা শুধু সমর্থকদেরই নয়, বরং সেই নয়জন খেলোয়াড়েরও যাদের ক্যাম্প ন্যুতে অভিষেক এখনো হয়নি।
দুই বছরেরও বেশি সময় কেটে গেছে, কিন্তু এখনো নিজস্ব মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে ফিরতে পারেনি বার্সেলোনা। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ রয়েছে বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়াম। সমর্থকদের সেই চেনা গ্যালারির আবহ আর খেলোয়াড়দের মাটির টানে ভরপুর মাঠ যেন এখন শুধুই স্মৃতিচারণে সীমাবদ্ধ।

চলতি মৌসুমের শুরুতে বার্সেলোনার প্রত্যাশা ছিল ঘরের মাঠে ফেরার। কিন্তু আগস্টের হোয়ান গাম্পার ট্রফি খেলতে হয়েছে নারী দলের স্টেডিয়াম এস্তাদিও ইয়োহান ক্রুইফে। এ মাঠের ধারণক্ষমতা মাত্র ৬ হাজার, যেখানে লা লিগার নিয়মে ন্যূনতম ৮ হাজার দর্শক প্রয়োজন। বিশেষ ছাড় পেলেও তা কার্যকর হতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা।
আগামী সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে লা লিগা ফিরছে মাঠে। সেই সঙ্গে বার্সেলোনা খেলবে মৌসুমের প্রথম “হোম ম্যাচ” ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে। তবে ম্যাচের ভেন্যু এখনো নির্ধারণ হয়নি। লা লিগা কর্তৃপক্ষও কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি, ফলে কাতালান ক্লাবটি গভীর অনিশ্চয়তায় রয়েছে। অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ফেরার ইচ্ছাও নেই বার্সার, কারণ নতুন মৌসুমে সেখানে খেলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি।

ক্যাম্প ন্যুতে ফিরতে না পারায় খেলোয়াড়দের মধ্যেও বাড়ছে অস্থিরতা। বর্তমান স্কোয়াডের অন্তত নয়জন ফুটবলার আছেন, যারা এখনো বার্সেলোনার হয়ে এই স্টেডিয়ামে পা রাখেননি। গোলরক্ষক হোয়ান গার্সিয়া ও ভয়েচেক শেজনি থেকে শুরু করে তরুণ রক্ষণভাগের পাউ কুবারসি ও জেরার্দ মার্তিন—সবার জন্য অপেক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে। একইভাবে মিডফিল্ডার ফেরমিন লোপেজ, মার্ক কাসাদো ও দানি ওলমোও অপেক্ষায় আছেন নিজেদের ঘরের মাঠে প্রথমবার খেলার জন্য।
অন্যদিকে, ফরোয়ার্ড মার্কাস রাশফোর্ড আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে ক্যাম্প ন্যুতে খেললেও বার্সার হয়ে মাঠে নামা তার জন্য একদম নতুন অভিজ্ঞতা হবে। আর নতুন সাইনিং রুনি বারদাগির জন্য সবকিছুই একেবারে অচেনা। কুয়েতে জন্ম নেওয়া সুইডিশ এই তরুণ উইঙ্গার স্বপ্ন দেখছেন একদিন ক্যাম্প ন্যুতে পা রাখার।