চকলেটপ্রেমীদের জন্য খারাপ খবর, বিশ্ববাজারে কোকোয়ার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। মূল কারণ প্রতিকূল আবহাওয়া, পোকামাকড়ের প্রাদুর্ভাব এবং সরবরাহ সংকট। ফলে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশে চকলেটের খুচরা দাম বেড়েছে ১১–১২ শতাংশ। সুইস চকলেট নির্মাতা লিন্ডটের মতে, দাম আর আগের অবস্থায় ফিরবে না। যদিও ২০২৫ সালে কিছুটা স্বস্তি দেখা যাচ্ছে, তবে বর্তমান ঘাটতি ও অতীতের উচ্চ দাম চকলেটপণ্যের ওপর চাপ রাখতে থাকবে। আগামী ইস্টারের সময় সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও দীর্ঘমেয়াদে দাম প্রায় ছয় হাজার ডলারের আশেপাশে স্থিতিশীল থাকতে পারে।
গত কয়েক বছরে কোকোয়ার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। ২০২৪ সালের শেষ প্রান্তিকে প্রতি টন কোকোয়া প্রায় ৮ হাজার ডলারের কাছাকাছি ছিল। মূল কারণ-পোকামাকড়ের প্রাদুর্ভাব, প্রতিকূল আবহাওয়া ও সরবরাহ সংকট।
যুক্তরাজ্যের ভোক্তা জরিপ অনুযায়ী, চকলেটপণ্যের দাম গড়ে ১১ শতাংশ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে হার্শিস কিসেসের দাম বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। ব্যবসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে।
সুইস চকলেট নির্মাতাদের সংগঠন চকোসুইসের মতে, কোকোয়া মূল্যের চার গুণ বৃদ্ধি উৎপাদন খরচ বাড়িয়েছে। খুচরা দামের পরিবর্তন ধীরে হওয়ায় লাভের হার কমে যাচ্ছে। ছোট ব্যবসা থেকে বড় রপ্তানিকারক-সবাই চাপের মুখে।
জানুয়ারিতে প্রতি টন কোকোয়ার দাম ছিল ৮,১৭৭ ডলার, আগস্টে নেমে এসেছে ৭,৮৫৫ ডলারে। তবে সাম্প্রতিক পতনের প্রভাব এখনই চকলেটের দামে পড়বে না। শিল্পের অতীত উচ্চ দাম এখনো পুরোপুরি সামলাতে হবে।
আরো দেখুন: বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক: হতে পারে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি
২০২৬ সালের ইস্টারের সময় সরবরাহ কিছুটা বাড়তে পারে। ইকুয়েডর ও ব্রাজিলে নতুন ফলন বাজারে আসছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় চাহিদা ও সরবরাহ সামঞ্জস্য হতে পারে।
পশ্চিম আফ্রিকায় রোগব্যাধি ও বিনিয়োগের অভাব উৎপাদন কমিয়েছে। যুক্তরাজ্যে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি ও যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কের প্রভাবে চকলেটের খুচরা দামে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হচ্ছে।
ডিসক্লেমার: এই সংবাদটি বিভিন্ন সরকারি ও শিল্প সূত্র, বাজার বিশ্লেষণ এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা হয়েছে। চূড়ান্ত দাম এবং বাজারের অবস্থা সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে।