বাগেরহাটে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত আসন হ্রাসের প্রতিবাদে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে হরতাল পালিত হচ্ছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলা বিএনপি, জামায়াত ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সমর্থনে চলমান এই ৪৮ ঘণ্টার হরতালের কারণে বাগেরহাটের সঙ্গে দেশের ১০ জেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
হরতালের অংশ হিসেবে জেলার বিভিন্ন সড়কে অবরোধ দেওয়া হয়েছে। খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের নওয়াপাড়া, কাটাখালি, মোল্লাহাট সেতু এবং পিরোজপুর মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাজারসহ শতাধিক স্থানে যানবাহন ও বেঞ্চ ব্যবহার করে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসক অফিস, জজ কোর্ট চত্বর ও নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে অভিনব কারচুপির অভিযোগ উমামা ফাতেমার
সাধারণ মানুষের ভোগান্তি
হরতালের কারণে দূরপাল্লার পরিবহনসহ অভ্যন্তরীণ ১৮টি রুটের সকল পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও দোকানদাররা সকলেই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। অনেক দোকানপাট হরতালের সমর্থনে বন্ধ রাখা হয়েছে।
আন্দোলনের কারণ
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কারিগরি কমিটি বাগেরহাট জেলার চারটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। জেলা রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই প্রস্তাব বাতিল ও চারটি আসন বহাল রাখার দাবি জানায়। ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন চূড়ান্তভাবে তিনটি আসনের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করলে জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে।
সর্বদলীয় কমিটির বাগেরহাট জেলা সমন্বয়ক এম এ সালাম বলেন, “প্রস্তাবিত আসন হ্রাস অযৌক্তিক, বেআইনি ও জনবিরোধী। বাগেরহাটবাসীর হৃদয় এতে আহত হয়েছে। অবিলম্বে চারটি আসন বহাল রাখতে হবে।”
জামায়াত ইসলামী জেলা আমির মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, “দ্রুত চারটি আসন বহাল করতে হবে। তা না হলে আগামীকাল লাগাতার হরতালসহ জেলা ও দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখা হবে।”