ইন্টারনেট যত উন্নত হবে তত আমরা উন্নত দিকে যেতে পারবো। বর্তমানে সারা বিশ্বের মানুষই ইন্টারনেট উপর নির্ভরশীল। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা ভারী ভারী যন্ত্রের কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারি। এছাড়াও ইন্টারনেটের খুবই গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে। বর্তমানে সারা বিশ্বেই 4G চালু রয়েছে। তাই টেকনিকক্যাল ও খুবই উন্নত দিকে যাচ্ছে। তাইতো চলে আসছে আমাদের মাঝে 5G ইন্টারনেট।
বাংলাদেশে 5g নেটওয়ার্ক কবে চালু হবে – 5g in bangladesh
সারাবিশ্বে হাতে গোনা মাত্র ৮ টি দেশে চালু হয়েছে 5G ইন্টারনেট। এবং বাংলাদেশেও ফাইভ-জি ইন্টারনেট এর পরীক্ষামূলক কাজ করেছে। ফাইভ-জি ইন্টারনেটের দিক দিয়ে বাংলাদেশ ৯ নাম্বারে অবস্থান রয়েছে। বাংলাদেশের পরীক্ষামূলক কাজ সম্পন্ন হলেও এটি এখনো কোথাও চালু করা হয়নি।
বাংলাদেশের প্রথম 5G ইন্টারনেট পরীক্ষা করেন টেলিটক সিম প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকায় ফাইভ-জি ইন্টারনেট পরীক্ষা সম্পন্ন করেন।
এরপর থেকে আস্তে আস্তে বাকি যে সিম কোম্পানি প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে। তারাও 5g ইন্টারনেট এর পরীক্ষামূলক কাজ গুলো সম্পন্ন করেন।
গ্রামীনফোনেও সফলভাবে চট্টগ্রাম ও ঢাকা দুটি স্থানে তারা ফাইভ-জি ইন্টারনেটের পরীক্ষামূলক কাজ সম্পন্ন করেন।
5G ইন্টারনেট চালু
5G ইন্টারনেট চালু হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সাল থেকে। কিন্তু প্রতিটা প্রতিষ্ঠানই এখনো মাঠ পর্যায়ে পিছিয়ে রয়েছে। তাই তারা বলে দিয়েছে ২০২৩ সালে তারা ৫জে ইন্টারনেট মাঠ পর্যায়ে আনতে পারবে না। বাংলাদেশের টার্গেট ছিল ২০২৬ সালের মধ্য বাংলাদেশের প্রতিটা স্থানে ফাইভ-জি ইন্টারনেট চালু করে দেবে। কিন্তু এখনো বাংলাদেশ স্বপ্নের মধ্যে রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ সফলভাবে 5g পরীক্ষা করলেও তারা মাঠ পর্যায়ে সার্ভিস দেওয়ার সক্ষমতা নেই।
প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছেন যে বললেই বাংলাদেশে ফাইভ-জি চালু করা সম্ভব নয়। এখনো টেকনোলজি দিক দিয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। ফাইভ-জি ইন্টারনেট চালু করার জন্য যে পদ্ধতি গুলো রয়েছে সেগুলো এখনো বাংলাদেশে সম্পন্ন হয়নি।
অবশেষে বলতে পারি যে আমরা ২০২৩ সাল যে 5G ইন্টারনেট চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা সেটি পাচ্ছিনা।
আনুমানিকভাবে বলা যায় বাংলাদেশে ফাইভ-জি চালু হতে আরও দুই থেকে তিন বছরের মত সময় লেগে যাবে। তবে এর মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় হয়তো চালু হয়ে যেতে পারে দুই-এক বছরের মধ্যে।
5G ইন্টারনেট চালু হলে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে?
আমাদের বাংলাদেশে যদি ফাইভ জি ইন্টারনেট চালু হয়ে যায় তাহলে আমরা অনেক উন্নতি করতে পারব। ফাইভ-জি ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান করতে পারব। যে দেশে টেকনোলজি যত উন্নত হবে সে দেশ তত উন্নত হবে। তাই সে ধারাবাহিক অনুসারে আমরা যে রোবটিক্স কাজগুলো করে থাকি বিভিন্ন ইন্টারনেটের মাধ্যমে। সেই কাজটি করতে আমরা এখন ব্যবহার করতেছি 4G ইন্টারনেট।
কিন্তু এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা কিন্তু ততটা স্পিডে কাজ সম্পন্ন করতে পারতেছি না। তাই আমাদের মাঝে যদি ফাইভ-জি ইন্টারনেট চলে আসে। তাহলে আমরা যে স্পিডে কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারতেছি এখন সে কাজটা আমরা আরও দূরত্ব করতে পারবো এবং আমাদের দেশটা আরো উন্নতর দিকে চলে যাবে। এছাড়া আমরা যে প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ব্যবহার করে যাচ্ছি সেটিও আমরা অনেকটা দ্রুত করতে পারব।
যেমন ধরুন, আপনি ইন্টারনেটে গেমস খেলেন অথবা আপনি ইন্টারনেটে ব্রাউজিং করেন। এই কাজগুলো করার জন্য কিন্তু আপনার একটা স্পিড প্রয়োজন আছে। যখন গেমসগুলো খেলতে যান তখন কিন্তু আমাদের অনেক সময় লোডিং নেয় যেটা হচ্ছে আমাদের নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকে। কিন্তু এখানে যদি আপনি ফাইভ-জি ইন্টারনেট দিয়ে গেমস গুলো খেলেন তাহলে আপনি ততটাও নেটওয়ার্কের সমস্যা পাবেন না।
এছাড়া রয়েছে অনেকেই কিন্তু ভিডিও দেখেন বিভিন্ন ইন্টারনেটের মাধ্যম থেকে সেগুলো দেখার সময় আমাদের কিন্তু একটু সমস্যা ফেস করতে হয় নেটওয়ার্কের জন্য। তাই আমাদের নেটওয়ার্কটা যত বেশি উন্নত দেখে যাবে তত বেশি আমরা কিন্তু সুবিধা পাব। এছাড়া আমরা ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের কাজগুলো করে থাকি অফিসের। অফিসের কাজগুলো করার জন্য কিন্তু আমাদের একটু ভালো নেটওয়ার্কের প্রয়োজন হয়। তাই বলা যায় যে আমাদের বাংলাদেশে যদি 5g ইন্টারনেট চালু হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আমরা অনেকটা সুবিধা ভোগ করতে পারবো।
অবশেষে বাংলাদেশে চালু হতে যাচ্ছে গ্রামীণফোন 5G Network
যদি বাংলাদেশে গ্রামীণফোন 5G চালু হয় নাই, তবে আমরা ঢাকা গ্রামীণফোনের প্রধান অফিসের ল্যাবে লাইভ পরীক্ষা করে কিছু সুবিধা দেখেছি তা নিচে দেওয়া হলঃ
গ্রামীণ 5G পরীক্ষার জন্য অফিস ল্যাবে বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তিগত ডিভাইস রয়েছে। যার সাহায্যে গ্রামীণ 5g এর গতি অনুমান করা যায়। তাহলে দেখা যাক বাংলাদেশে যদি 5G আসে তাহলে আমরা কত দ্রুত ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি। আর দেখুন কত দ্রুত এই ইন্টারনেট কাজ করতে পারে?
অবশেষে বাংলাদেশে চালু হতে যাচ্ছে গ্রামীণফোন 5G Network