নেপালে সহিংস বিক্ষোভে পরিস্থিতি ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২১ জন। এর মধ্যেই বাংলাদেশ দূতাবাস নেপালে অবস্থানরত নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে জরুরি যোগাযোগের জন্য দুটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার কারফিউ জারি করেছে।
নেপালে চলমান অস্থিরতা ও সহিংস পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ দূতাবাস জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের বাইরে না যাওয়ার কঠোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন ভ্রমণেচ্ছু বাংলাদেশিদের আপাতত নেপাল সফর না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নেপালে অবস্থানরত বা আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে নিজ নিজ হোটেল বা বাসস্থানে অবস্থান করতে হবে। কোনো জরুরি পরিস্থিতি দেখা দিলে +৯৭৭৯৮০৩৮৭২৭৫৯ ও +৯৭৭৯৮৫১১২৮৩৮১ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি নেপাল সরকার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপসহ মোট ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অ্যাপ ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তরুণদের নেতৃত্বে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আস।
আরো দেখুন: থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এক বছরের কারাদণ্ড: রাজনীতিতে বড় ধাক্কা
রাজধানী কাঠমান্ডুসহ অন্তত সাতটি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজও নতুন করে আরও দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। সরকারের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের কারণে ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে কাঠমান্ডু, ললিতপুর ও ভক্তপুর জেলায় কারফিউ জারি করা হয়। তবে বিক্ষোভকারীরা কারফিউ উপেক্ষা করে রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন। রাজধানীর পার্লামেন্ট ভবনের সামনে থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
চলমান বিক্ষোভের মুখে নেপাল সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। পাশাপাশি তীব্র চাপের মুখে অবশেষে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি পদত্যাগ করেছেন।