শমিত সোমের গোলেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে মাথা ছুঁইয়ে দারুণ এক হেডে জাতীয় দলে নিজের প্রথম গোলের দেখা পান কানাডা প্রবাসী এই মিডফিল্ডার। সেই গোলে ম্যাচে সমতা ফেরালেও এক মিনিট পরই জয় হারায় বাংলাদেশ। তবু শমিতের কণ্ঠে নেই অভিযোগ বললেন, নিজের গোলের চেয়ে দলের জয়ই ছিল তার বড় তৃপ্তি।
শেষ মুহূর্তের রোমাঞ্চে শেখার বার্তা
জাতীয় স্টেডিয়ামে ৩-৩ সমতায় ফিরিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন শমিত। মোরছালিনের কর্নারে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের মাথা ঘেঁষে বল পৌঁছায় দূরের পোস্টে, সেখান থেকেই নির্ভুল হেডে গোল দেন তিনি। তবে আনন্দটা স্থায়ী হয়নি, যোগ করা সময়ের পরের মিনিটেই গোল হজম করে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচশেষে হতাশ হলেও শমিতের চোখে এটিই শেখার সুযোগ।
শেষ মুহূর্তে গোলটা হজম করা হতাশাজনক। কিন্তু এটাও শিক্ষা। আগে ১–৩ পিছিয়ে থেকেও কেউ ভাবত না আমরা ফিরব এখন পারছি। দলের ভেতরে প্যাশন আছে, ক্যারেক্টার আছে। এখান থেকেই এগোব আমরা।”
দল না জিতলে গোলের মানে নেই
ম্যাচের পর শমিত বলেন,দেশের হয়ে প্রথম গোল দিতে পারা গর্বের। কিন্তু আমি গোল না পেলেও যদি দল জিতত, তাতেই বেশি খুশি হতাম। গোলের মানে তখনই, যখন দল জেতে। তবু এই অনুভূতিটা জীবনের সেরা মুহূর্তগুলোর একটি।
আরো পড়ুন:রিয়াদ মাহরেজের গোলেই ১২ বছর পর বিশ্বকাপে ফেরা আলজেরিয়ার, আফ্রিকায় লড়াই চলছে আরও ২৮ দেশের
জয়হীন বাংলাদেশের ভুলের পুনরাবৃত্তি
২০২৭ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে এখনও জয়হীন বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে ড্রয়ের পর সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের কাছে টানা দুই হারে অবস্থান কঠিন হয়েছে। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও সহজ গোল হজমের ভুল করেছিল দল। শমিতও স্বীকার করেন,এমন ইজি গোল দিলে জেতা যাবে না। আমাদের জানতে হবে কীভাবে ব্যাকলাইন আর মিডফিল্ডে ভালোভাবে ডিফেন্ড করতে হয়। কোচের সঙ্গে ভিডিও রিভিউ করব। আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্লাবের চেয়ে আলাদা—এখানে ভুলের মূল্য অনেক।”