পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ঘুম হওয়া মূলত হরমোন পরিবর্তন এবং রক্তক্ষরণের ফলে হয়। ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের হ্রাস সেরোটোনিন হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলে, আর রক্তক্ষয় শরীরের শক্তি হ্রাস করে। বিশেষ করে ভারী রক্তপাতের সময় নারীরা সাধারণের তুলনায় বেশি ক্লান্তি অনুভব করেন।
পিরিয়ডের সময় নারীদের জন্য স্বাভাবিক জীবনযাপন অনেক সময়ই কঠিন হয়ে ওঠে। শুধু মানসিক অস্থিরতা নয়, শরীরিক অসুবিধা যেমন মাথাব্যথা, পায়ে ঝিনঝিন ভাব, এবং স্তনে ব্যথা সাধারণত দেখা দেয়। তবে অনেক নারী এসময় অতিরিক্ত ঘুম অনুভব করেন, যা ডাক্তারদের মতে পিরিয়ডকালীন ক্লান্তির স্বাভাবিক লক্ষণ।
আরো পড়ুন: ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে সুন্দর ত্বক – জাম্বুরার অসাধারণ উপকারিতা
পিরিয়ডে ঘুম বেশি হওয়ার মূল কারণ হলো শরীরের হরমোন পরিবর্তন। বিশেষ করে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের হ্রাস সেরোটোনিনের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে, যা ঘুমের নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই পরিবর্তনের ফলে নারী তার পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি ঘুম অনুভব করতে পারেন।
রক্তক্ষরণের কারণে শরীরের শক্তি কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, হালকা বা ভারী রক্তপাত টিস্যুতে অক্সিজেন ও আয়রনের সরবরাহ কমিয়ে দেয়, ফলে পেশীগুলো ক্লান্ত হয়। সেই সঙ্গে মাসিকের ব্যথা ও অস্বস্তিও ঘুমের মানকে প্রভাবিত করে, যা শরীরকে আরও ধীর করে তোলে।

পিরিয়ডে ক্লান্তি আরও বাড়ায় আয়রনের ঘাটতি, ব্যথা, ঘুমের ব্যাঘাত এবং শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি। বিশেষ করে ভারী রক্তপাতের সময় নারীরা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি ক্লান্তি অনুভব করেন।
করণীয় ও পরামর্শ:
- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা।
- অতিরিক্ত চিনি ও প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট কমানো।
- ক্যাফেইন সীমিত করা।
- পর্যাপ্ত পানি পান করা।
- হাঁটা, যোগব্যায়াম বা হালকা ব্যায়াম রাখা।
- ঘুমের নিয়মিত সময়সূচী মেনে চলা।

