গুগলের পিক্সেল ১০ আর অ্যাপলের নতুন আইফোন ১৭–এর লড়াই এখন প্রযুক্তি দুনিয়ার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। আইফোন ১৭ এবার বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে—উজ্জ্বল ডিসপ্লে, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি, দ্রুত চার্জিং, আর দ্বিগুণ স্টোরেজ। তবে টেলিফটো ক্যামেরা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ফিচার এবং ম্যাগনেটিক চার্জিংয়ের মতো দিক থেকে এখনও শক্ত অবস্থানে আছে পিক্সেল ১০।
ক্যামেরা: টেলিফটোতে এগিয়ে গুগল
অ্যাপল এখনও টেলিফটো ক্যামেরা শুধু প্রো মডেলেই রেখেছে। বেস আইফোন ১৭–এ আছে শুধু মেইন ও আলট্রাওয়াইড ক্যামেরা। অন্যদিকে গুগল পিক্সেল ১০–এ যুক্ত করেছে ৫ গুণ জুম সুবিধাসহ একটি ডেডিকেটেড টেলিফটো লেন্স। যদিও ভিডিও স্থিতিশীলতায় পিছিয়ে আছে, তবে পোর্ট্রেট ও ল্যান্ডস্কেপ ছবিতে টেলিফটো বড় পার্থক্য তৈরি করছে।
সেলফি ক্যামেরা: অ্যাপলের বড় চমক

আইফোন ১৭–এ প্রথমবারের মতো ১৮ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা এসেছে। নতুন স্কোয়ার মাল্টি-অ্যাসপেক্ট সেন্সর তীক্ষ্ণ ছবি, বড় গ্রুপ শট ও আরও স্থিতিশীল ভিডিও তুলতে সক্ষম। ফেসটাইম কল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভিডিও বা ব্লগের জন্য এটি বড় সুবিধা।
আরো পড়ুন: খরচ কমাতে গুগলের নতুন পদক্ষেপ: বন্ধ হচ্ছে FT সাবস্ক্রিপশন
চার্জিং ও ব্যাটারি: দুই কোম্পানির ভিন্ন কৌশল
আইফোন ১৭–এ ৪০ ওয়াট চার্জারে ২০ মিনিটে অর্ধেক চার্জ হয়, আর ব্যাটারি লাইফ ৩০ ঘণ্টা ভিডিও প্লেব্যাক পর্যন্ত টিকতে পারে। অন্যদিকে পিক্সেল ১০–এর ৪৯৭০ এমএএইচ ব্যাটারি ও ৩০ ওয়াট চার্জিং দৈনন্দিন ব্রাউজিং ও ভিডিওর ক্ষেত্রে ভালো ফল দেখালেও গেমিংয়ে দুর্বল। তবে উভয় ফোনই ওয়্যারলেস চার্জিং সমর্থন করে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI): গুগলের শক্তি
অ্যাপল আইওএস ২৬–এ নতুন “অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স” চালু করলেও ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতায় গুগল এগিয়ে। পিক্সেল ১০–এর “বেস্ট টেক”, “ম্যাজিক এডিটর”, “অডিও ইরেজার” বা “ভয়েস ট্রান্সলেট”–এর মতো ফিচার বাস্তব সময়ে বেশ কার্যকর।
স্টোরেজ ও দাম
আইফোন ১৭ এখন ২৫৬ জিবি স্টোরেজসহ ৭৯৯ ডলারেই পাওয়া যাচ্ছে, যেখানে পিক্সেল ১০ শুরু হচ্ছে ১২৮ জিবি দিয়ে। যদিও টেলিফটো ক্যামেরা পিক্সেল ১০–কে আলাদা করে তুলছে, বেশি স্টোরেজ চাইলে এর দাম বাড়তে পারে।
অ্যাপল আইফোন ১৭–কে এ বছরের সবচেয়ে সম্পূর্ণ বেস মডেলে পরিণত করেছে। তবে টেলিফটো ক্যামেরা, উন্নত এআই ফিচার ও ম্যাগনেটিক চার্জিংয়ের কারণে গুগল পিক্সেল ১০ এখনও আইফোন ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করতে পারে। একদিকে অ্যাপল ঘাটতি পূরণ করেছে, অন্যদিকে গুগল ভেঙেছে পুরোনো বাধা—ফলে প্রতিযোগিতা আরও জমে উঠেছে।